ঘরে গৃহবধূ ও তরুণের লাশ, ঘুমিয়ে দুই শিশু
Published: 2nd, February 2025 GMT
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে একটি ঘর থেকে তরুণ ও গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় লোকলজ্জার ভয়ে তারা আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা পুলিশের। নিহত গৃহবধূর দু’টি সন্তান রয়েছে। তাদের একই ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
উপজেলার রহনপুর পৌর এলাকার খয়রাবাদ গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী শান মোহাম্মদ সনুর বাড়ি থেকে শনিবার রাতে পুলিশ মরদেহ দু’টি উদ্ধার করে। এর মধ্যে একজন তাঁর স্ত্রী টুসি বেগম (২৪)। অপরজন শিবগঞ্জ উপজেলার দায়পুখুরিয়া ইউনিয়নের আড়গাড়াহাট গ্রামের আব্দুর রাকিব (২৮)।
গোমস্তাপুর থানার ওসি খাইরুল বাশার জানান, স্থানীয় বাসিন্দাদের তথ্যের ভিত্তিতে শান মোহাম্মদ সনুর শয়নকক্ষের দরজা ভেঙে টুসি ও রাকিবের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পাশাপাশি দু’টি দড়িতে তারা ঝুলছিলেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় মরদেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
ওসি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অনৈতিক সম্পর্কের জেরে এবং বিষয়টি স্থানীয়ভাবে জানাজানি হওয়ায় গৃহবধূ ও তরুণ সম্মানের ভয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। যে ঘর থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানে টুসির দুই শিশু সন্তানকে ঘুমন্ত এবং অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়।
গৃহবধূর শ্বশুর হায়াত আলীর ভাষ্য, তাঁর ছেলে প্রায় দু’বছর আগে মালয়েশিয়া যান। এরপর একদফা সন্তানদের রেখে পালিয়েছিলেন তাঁর পুত্রবধূ। এরপর তাঁকে ফিরিয়ে আনা হয়। পরে শনিবার রাতে তাঁর ঘর থেকে শব্দ পেয়ে বের হয়ে দরজায় ধাক্কা দেয়ার পরও দরজা খোলেননি।
একপর্যায়ে জানালা দিয়ে তারা পুত্রবধূর সঙ্গে ঘরে ছেলেটিকে দেখতে পান জানিয়ে হায়াত আলী বলেন, তাদের চিৎকারে লোকজন জমায়েত হন। এ সময় দরজা ভেঙে উদ্ধারের আগেই তারা ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চ প ইনব বগঞ জ গ হবধ মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
হঠাৎ কেন ঘোড়ার পিঠে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এ মডেল
টগবগ করে ছুটছে ঘোড়া। রাজধানীর একশ ফিটের এলাকায় ঘোড়ার পিঠে চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারকা মডেল সায়রা আক্তার জাহান। কোনো শুটিংয়ের আয়োজন নেই। নেই চিরচেনা লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনেরও হাঁকডাক। কাছে আসতেই অনেকে চিনে ফেলেছেন সায়রাকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ কেউ এই দৃশ্যও দেখছেন। তাহলে কি তিনি কোনো সিনেমা কিংবা ওয়েব সিরিজে শুটিংয়ের জন্য ঘোড়ায় চড়া শিখছেন। বিষয়টি পরিষ্কার করলেন সায়রা নিজেই।
সমকালকে তিনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমি ঘোড়াপাগল ছিলাম। ইচ্ছা ছিল হর্স রাইডিং শিখব। এ জন্য মূলত শেখা। মরুভূমিতে ঘোড়ায় চড়ার বিষয়টি কল্পনা করতাম আমি। ঘোড়া সহজাতভাবে মহৎ। এ কারণে প্রাণীটির প্রতি আমার মায়া অনেক। আমাদের সবার এমন কিছু আছে, যা আমরা কল্পনা ও অনুভব করি। আমার জন্য এটি ছিল সর্বদা ঘোড়া। অবশেষে, আমার দিবাস্বপ্ন সত্য হয়েছে। ঘোড়ার পিঠে চড়ার প্রথম স্বাধীন অভিজ্ঞতা আমার পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়নি। তবে আমার জন্য এটি সহজ করায় বন্ধু ইমরান ওসমানকে ধন্যবাদ জানাই। সে ঘোড়াপ্রেমীদের জন্য ‘বুরাক’ নামে ঘোড়ার রাইডিং স্কুল খোলার উদ্যোগ নিয়েছে। সপ্তাহের একটি নির্দিষ্ট সময় আমি সেখানে ক্লাস করছি।’
শুধু প্যাশন ছিল বলেই ঘোড়া চালনা শিখছেন নাকি অন্য কোনো বিষয় মাথায় রেখেছেন? ‘হ্যাঁ, অন্য একটি কারণও আছে। ঘোড়া নিয়ে পুরোপুরি অ্যাকশনধর্মী সিনেমা এদেশে এখনও কেউ বানায়নি। আমি চাই আগামীতে কেউ এ ধরনের গল্প নিয়ে সিনেমা নির্মাণ করুক। তখন চাইলেই আমি কাজ করতে পারব।’
হর্স রাইডিংয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ঘোড়া চালনা খুব উপভোগ করছি। যারা ঘোড়াপ্রেমী তাদের এটি অবশ্যই অনেক ভালো লাগবে। প্রথমে একটু ভয় কাজ করছিল। পরে ঠিক হয়ে গেছে। ঘোড়ার পিঠে ওঠা আমার জন্য অনেক সহজ। এখন ঘোড়া নিয়ে দৌড়ানো শিখছি। আশা করছি, কিছুদিনের মধ্যে তা আয়ত্ত হবে। নতুন বছরের শুরুতে শেখা শুরু করেছি। শরীরে যতদিন শক্তি থাকবে, ততদিনই শিখব। কারণ এটি আমার প্যাশন। যে কেউ কনফিডেন্ট হলেই ঘোড়া চালনা শিখতে পারবে। তবে এ কাজে অবশ্যই লেগে থাকতে হবে।’
বিজ্ঞাপন ও মিউজিক ভিডিও দিয়ে শোবিজে যাত্রা শুরু সায়রার, এরপর বড় পর্দায় অভিষেক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে চাকরি শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে হঠাৎই কাজ থেকে বিরতি নেন।
গত ভালোবাসা দিবসে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত ক্লোজআপ কাছে আসার গল্প ‘লেগুনা’। আবুল খায়ের চাঁদের পরিচালনায় এ গল্পে তাঁকে দেখা গেছে মফস্বলের এক মেয়ের চরিত্রে। এরপর আরও কিছু কাজ করেছেন। এবারও ভালোবাসা দিবসে ভিন্ন আয়োজনে তাঁকে পাওয়ার যাবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন সায়রা।