ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপে শেফিল্ড ইউনাইটেডের হয়ে অভিষেকেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখালেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী। শনিবার রাতে ডার্বি কাউন্টির বিপক্ষে ১-০ গোলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি, ফলে পান ম্যাচসেরার স্বীকৃতি।

প্রাইড পার্ক স্টেডিয়ামে পুরো ৯০ মিনিট শেফিল্ডের রক্ষণভাগ সামলেছেন হামজা। তার পারফরম্যান্সে খুশি কোচ ক্রিস ওয়াইল্ডারও। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, 'হামজা নিজের স্বাভাবিক খেলাটা খেলেছে। দীর্ঘদিন ফুটবলের বাইরে থাকলেও সে মাঠে আত্মবিশ্বাসী ছিল। আমি ভেবেছিলাম ৭০ মিনিটে তাকে বদলি করব, কিন্তু সে এত ভালো খেলছিল যে সেটি আর করা হয়নি।'

হামজা ম্যাচে বল স্পর্শ করেছেন ৬১ বার, ড্রিবলে শতভাগ সফল ছিলেন। তার পাসিং সঠিক ছিল ৮০ শতাংশ, লম্বা পাসে সফল হয়েছেন ৪ বার, গ্রাউন্ড ডুয়েল জিতেছেন ৫ বার, বল কেড়ে নিয়েছেন ৩ বার এবং প্রতিপক্ষের দুটি পাস কেটে দিয়েছেন। ডার্বির কোনো খেলোয়াড়ই তাকে ড্রিবল বা ট্যাকল করতে পারেননি।

লিস্টার সিটিতে নিয়মিত খেলার সুযোগ না পাওয়ায় ম্যাচ খেলার তাগিদেই জানুয়ারির দলবদলে শেফিল্ড ইউনাইটেডে ধারে যোগ দিয়েছেন ২৭ বছর বয়সী এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। অভিষেক ম্যাচেই নিজেকে প্রমাণ করেছেন তিনি।

ম্যাচের ৪৯ মিনিটে একমাত্র গোলটি করেন চিলির ফরোয়ার্ড বেন ব্রেন্টন দিয়াজ। এ জয়ে ৩০ ম্যাচ শেষে ৬১ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থান ধরে রেখেছে শেফিল্ড ইউনাইটেড, শীর্ষে থাকা লিডস ইউনাইটেডের পয়েন্ট ৬৩। চ্যাম্পিয়নশিপের শীর্ষ দুই দল সরাসরি প্রিমিয়ার লিগে ওঠে, তাই এই পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারলে শেফিল্ডের আগামী মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে ফেরার সম্ভাবনা প্রবল।

আগামী শনিবার পোর্টসমাউথের বিপক্ষে মাঠে নামবে হামজা চৌধুরীর দল, যেখানে নিজের দুর্দান্ত ফর্ম ধরে রাখতে চাইবেন তিনি।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

পিএসএলে কেমন ছিল সাকিব-তামিম-মাহমুদউল্লাহদের পারফরম্যান্স

১১ এপ্রিল শুরু হচ্ছে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল)। ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগটিতে এবার খেলতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের তিন খেলোয়াড়। উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান লিটন দাস করাচি কিংসে, লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন লাহোর কালান্দার্সে ও ফাস্ট বোলার নাহিদ রানা পেশোয়ার জালমিতে খেলবেন।

এই ত্রয়ীর আগে পিএসএলে খেলেছেন বাংলাদেশের সাত ক্রিকেটার। সবচেয়ে বেশি চার মৌসুম খেলেছেন তামিম ইকবাল। সবচেয়ে বেশি ম্যাচও খেলেছেন বাংলাদেশের এই সাবেক অধিনায়ক। আরেক সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান খেলেছেন তিনটি আসরে। মাহমুদউল্লাহ দুই মৌসুম খেলেছেন। এ ছাড়া মুশফিকুর রহিম, মোস্তাফিজুর রহমান, সাব্বির রহমান ও এনামুল হক একবার করে খেলেছেন পিএসএলে।

২০১৭ ও ২০১৮ সালে পরপর দুই বছর বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চারজন খেলেছেন পাকিস্তানের শীর্ষ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে। এরপর নানা কারণে বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা অনিয়মিত হয়ে পড়েন পিএসএলে। ২০১৯, ২০২১, ২০২২ ও ২০২৪—এই চার মৌসুমে বাংলাদেশের কেউ খেলেননি সেখানে।

লিটন-রিশাদ-রানারা এবার কী করতে পারবেন কে জানে। তাঁদের আগে বাংলাদেশের যাঁরা পিএসএলে খেলেছেন, তাঁরা কেমন করেছেন জানেন কী?

তামিম ইকবাল

ম্যাচ ২০, রান ৬০৫, সর্বোচ্চ ৮০*, স্ট্রাইক রেট ১১৩.০৮

২০১৮ সালে পেশোয়ার জালমির জার্সিতে তামিম ইকবাল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আবাহনীর জয়ে উজ্জ্বল অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক
  • ক্রিকেটারদের ‘সন্দেহজনক’ পারফরম্যান্স, গুরুতর অভিযোগ পারটেক্স কোচের
  • ৩১ ইনিংসে নেই সেঞ্চুরির জুটি,শুরুর হাল ধরবেন কে?
  • একের পর এক ছক্কা মারার রহস্য জানালেন পুরান
  • সামনের মৌসুমে ইপিএলের ৫ দল চ্যাম্পিয়নস লিগে
  • কোন ওষুধে কাজ হচ্ছে কোহলির বেঙ্গালুরুর
  • পিএসএলে কেমন ছিল সাকিব-তামিম-মাহমুদউল্লাহদের পারফরম্যান্স
  • অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে অগ্রণী ব্যাংককে জেতালেন তাইবুর
  • অ্যালেন স্বপন ফিরলেন, রোমাঞ্চ ফিরল কি
  • প্রস্তুতি ম্যাচে প্রত্যাশিত ফল