বান্দরবানের লামা থেকে সাত শ্রমিককে অপহরণ করা হয়েছে। শনিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার সরই ইউনিয়নের কমলা বাগান এলাকার একটি খামারবাড়ি থেকে তাদের অপহরণ করা হয়।

স্থানীয়দের দাবি, কাঠ ব্যবসায়ীর কাছে সাত লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে স্থানীয় একটি গ্রুপ। দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে তারা শ্রমিকদের অপহরণ করা হয়েছে।

অপহৃতরা হলেন- মো.

নুরু (৫০), মো. আলমগীর (৩৫), মো. শফি আলম (৩২), মো. হেলাল (৪০) ও গাড়িচালক মো. জামাল (৩২)। অপর দুজনের নাম জানা যায়নি। কে বা কারা এই অপহরণ করেছে তা এখনও জানাতে পারিনি পুলিশ।
 
লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথবাহিনী অপহৃতদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে। 

তিনি আরও বলেন, কাঠ ব্যবসায়ী মো. হেলালের তত্ত্বাবধানে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করছেন শ্রমিকরা। এসময় তারা অপহরণের শিকার হন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ন দরব ন অপহরণ

এছাড়াও পড়ুন:

নিরাপত্তার দাবিতে কুবি শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) আইন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ সবুজকে অপহরণের ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ চার দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা। 

রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য বরাবর এ স্মারকলিপি দেন তারা।

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, গত ৩০ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ সবুজকে অপহরণ করে তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। মুক্তিপণের জন্য তার পরিবারের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হয়। পরে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায়, টানা ৫ ঘণ্টার অভিযান শেষে কুমিল্লা শহরের একটি দোকান থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোন সহায়তা পাওয়া যায়নি। 

স্মারকলিপিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য চার দফা দাবি প্রস্তাব করা হয়। প্রথম দুটি দাবি হলো- শহরে আসা-যাওয়া শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং বিপদে পড়া শিক্ষার্থীদের তৎক্ষণাৎ সাহায্য করার জন্য ‘র‍্যাপিড অ্যাকশন সেল’ গঠন করতে হবে; ছাত্রদের বিভিন্ন সমস্যায় (ছিনতাই, অপহরণ ইত্যাদি) বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের বাদী হয়ে মামলা করতে হবে।

অন্য দাবিগুলো হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের এলাকায় প্রশাসনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, স্পিডব্রেকারের ব্যবস্থা করা এবং শিক্ষার্থীদের দুর্ঘটনা এড়াতে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যৌথ পরিকল্পনা গ্রহণ করা; ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে বহিরাগতদের অবাধ চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা।

এ বিষয়ে নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুহসিন জামিল বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আজ আমরা স্মারকলিপি প্রদান করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে এবং কুমিল্লা শহরে যাতায়াতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। সবুজের সঙ্গে আরো খারাপ কিছু হতে পারত।”

তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ছাত্রী শহরে টিউশনি করেন। যেকোন ধরনের ঘটনাই ঘটতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়ও ছাত্রীরা নিরাপদ নন। অনেক সময় তাদের হেনস্তার শিকার হতে হয়। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যাতে আরো সক্রিয় ভূমিকা পালন করে, সেজন্য শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আমরা স্মারকলিপি প্রদান করি।”

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল বলেন, “আমরা স্মারকলিপি হাতে পেয়েছি। শিক্ষার্থীদের যে দাবি, তা যৌক্তিক। আমরা এ নিয়ে প্রশাসনিকভাবে বসব। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।”

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনায় বসব। নিরাপত্তা তো আসলে একা দেওয়া যাবে না, এর জন্য একটা প্রশাসনিক বডি রয়েছে। সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিরাপত্তার দাবিতে কুবি শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি