বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহী জেলা ও মহানগর কমিটিতে ‘প্রকৃত বিপ্লবীদের’ যথাযথ স্বীকৃতি ও স্থান না দেওয়ায় বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীদের একাংশ। 

রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী কলেজের প্রধান ফটকের সামনে থেকে মিছিলটি বের হয়। সেটি নগরের সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। 

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা জানান, আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী এবং ত্যাগ স্বীকারকারীদের উপেক্ষা করে কমিটি দেওয়া হয়েছে। এই কমিটি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।

আরো পড়ুন:

তিতুমীর শিক্ষার্থীদের ‘গুলশান ব্লকেড’  

সিরাজগঞ্জে নদীতে গোসলে নেমে ৩ স্কুলছাত্র নিখোঁজ

সমাবেশে শিক্ষার্থী আবদুর রহিম, সাফিউল ইসলাম অনিক, আরিবুল ইসলাম আবির বক্তব্য দেন। এদের মধ্যে অনিক ও আবির কমিটিতে সদস্য পদ পেয়েছিলেন। তারা পদ প্রত্যাখান করেছেন। রাজশাহী কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী আবদুর রহিম কোনো পদ পাননি।

গত বৃহস্পতিবার ছয় মাসের জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহী জেলা ও মহানগরের কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর পরদিনই শিক্ষার্থীদের একটি অংশ সংবাদ সম্মেলন করে কমিটি প্রত্যাখান করেন এবং তা বাতিলে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন। কমিটি বাতিল করা না হওয়ায় আজ বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করলেন তারা।

এদিকে, নতুন কমিটি নিয়ে ক্ষোভ থেকে বিভেদে না জড়ানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহী জেলা ও মহানগর কমিটি। গত শুক্রবার জেলা ও মহানগরের এক যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীদের প্রতি এ আহ্বান জানানো হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সবাই মিলে আমরা একটি সুন্দর আগামীর প্রত্যয় নিয়ে সামনে অগ্রসর হবো।”

ঢাকা/কেয়া/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র কম ট

এছাড়াও পড়ুন:

লিফলেট বিতরণ না করতে অনুরোধ, আ.লীগের হাতুড়িপেটায় আহত স্বেচ্ছাসেবক দলের ৫

নড়াইলের লোহাগড়ায় লিফলেট বিতরণ করছিলেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। লিফলেট বিতরণ না করতে অনুরোধ করায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের হাতুড়ি, লোহার রড দিয়ে পিটিয়েছেন তারা। এ ঘটনায় পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক এসকে মিন্টুসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

গতকাল মঙ্গলবার রাতে পৌর সভার চোরখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আজ বুধবার মিন্টুর চাচা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এজাহারভুক্ত দুজনকে আটক করেছে।

আহত এসকে মিন্টু বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে জানতে পারি চোরখালী এলাকায় আনিস মোল্যার চায়ের দোকানে আওয়ামী লীগের কর্মীরা লিফলেট বিতরণ করছেন। বিষয়টি জানার পর বিএনপির কর্মীদের নিয়ে আনিসের দোকানে গিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মীদেরকে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করি। এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি না করার আহবান জানাই। এ সময় আওয়ামী লীগের কর্মীরা আমাদের সঙ্গে তর্ক শুরু করেন। একপর্যায়ে চোরখালী গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী মনিরুজ্জামান মনির নেতৃত্বে আক্কাস ফকির, ইদ্রিস সরদার, রবিউল মল্লিক, ইব্রাহিম মোল্যা, আনিস মোল্যা, ঝন্টু ফকিরসহ ২৫-৩০ জন হাতুড়ি, লোহার রড, রামদা, লাঠি নিয়ে হামলা চালান। এতে আমিসহ পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ঝন্টু মিয়া, বিএনপি কর্মী হাফিজুর রহমান, বাবলু শেখ, দোলেনা বেগমকে পিটিয়ে গুরুতর আহত হয়েছি।’
 
লোহাগড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী সুলতানুজ্জামান সেলিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন,  হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাই। 

লোহাগড়া থানার ওসি আশিকুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় চোরখালী গ্রামের আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে ২৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয়ে কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। পুলিশ এজাহারভুক্ত আসামি আক্কাস ফকির ও ঝন্টু ফকিরকে আটক করেছে। অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ