ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর নতুন প্রধান হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ইয়াল জামিরের নাম ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কার্টজ আজ (শনিবার) সন্ধ্যায় (ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর) পরবর্তী প্রধান হিসেবে মেজর জেনারেল (রেজি.

) ইয়াল জামিরকে নিয়োগের বিষয়ে একমত হয়েছেন।”

জামির লেফটেন্যান্ট জেনারেল হার্জি হালেভির স্থলাভিষিক্ত হলেন। 

আরো পড়ুন:

সামরিক প্রধান দেইফের নিহতের খবর স্বীকার হামাসের

গাজা খালি করার ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখান ফিলিস্তিন-মিশর-জর্ডানের

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের দুদিন পর গত ২১ জানুয়ারি পদত্যাগ করেন হারজি হালেভি। ওই সময় তিনি হামাসের হামলা ঠেকাতে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করেন। 

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, জামির ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সেনাবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি সেনাবাহিনীর সাউথ কমান্ডের প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া নেতানিয়াহুর সামরিক সচিব ছিলেন জেনারেল জামির।  
 

ঢাকা/ফিরোজ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

কানাডার প্রধানমন্ত্রী কার্নিকে অভিনন্দন জানালেন ট্রাম্প

কানাডার সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নিকে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুই নেতা শিগগিরই বৈঠক করার বিষয়ে একমত হয়েছেন।

আশা করা হচ্ছে, নির্বাচন–পরবর্তী সময়ে দুই দেশ নতুন অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা শুরু করবে।

কানাডার সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম সিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডার ওপর ট্রাম্পের বাণিজ্য শুল্ক আরোপ এবং দেশটির সার্বভৌমত্ব নিয়ে তাঁর একের পর এক মন্তব্যের বিষয়টিই মূলত এবারের নির্বাচনী প্রচারণার প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল। শেষ পর্যন্ত কার্নির লিবারেল পার্টি সে নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। তবে তারা এককভাবে সরকার গঠন করার মতো প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি।

নির্বাচনের এ ফল কার্নির জন্য দুটো চ্যালেঞ্জ হাজির করেছে। তাঁকে যেমন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দর–কষাকষি করতে হবে, আবার সেই সঙ্গে দেশের অভ্যন্তরীণ নানা সমস্যা মোকাবিলাও করতে হবে। কার্নির দলের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। আর তাই সরকার গঠন করার জন্য কার্নিকে এখন অন্য রাজনৈতিক দলের সমর্থন আদায় করতে হবে।

নির্বাচনের পর প্রথম ফোনালাপে ট্রাম্প কার্নিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর আরও বলেছে, ‘স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের একসঙ্গে কাজ করার গুরুত্ব’ সম্পর্কে দুই নেতা একমত হয়েছেন।

লিবারেলদের হাউস অব কমন্সে আইন পাস করাতে অন্যদের সমর্থনের ওপর নির্ভর করতে হবে। যেকোনো আস্থা ভোটে পরাজয়ের আশঙ্কাও আছে তাদের।

লিবারেলরা দুর্বল বামপন্থী দল নিউ ডেমোক্র্যাটদের কাছ থেকে সহযোগিতা পেতে পারে। অতীতেও দলটি তাদের সমর্থন দিয়েছে। এ ছাড়া ব্লক কেবেকোয়া দলের কাছ থেকেও সমর্থন পেতে পারে তারা।

কানাডার পার্লামেন্টে এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার জন্য একটি দলকে ১৭২টি আসনে জয়ী হতে হয়। লিবারেলরা ১৬৯টি আসনে এগিয়ে আছে।

এরপরও এ ফলকে দলটির জন্য ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, কয়েক মাস আগেও এ দল ধ্বংসের পথে বলে মনে হচ্ছিল।

কানাডা ও যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা কার্নি। গত মাসে দলের নেতা জাস্টিন ট্রুডো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করার পর তিনি তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। তিনিই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন। একটি বিষয়ে লিবারেলদের জন্য পার্লামেন্টে সমর্থন পাওয়া সহজ হতে পারে। তা হলো মার্কিন শুল্কের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া শ্রমিক ও শিল্প খাতকে সহায়তা দিতে আইন পাস করা। নির্বাচনী প্রচারণার সময় এ বিষয় নিয়ে সব দলই একমত ছিল।

সোমবারের নির্বাচনে চার বছর আগের তুলনায় লিবারেল ও কনজারভেটিভ দুই দলেরই ভোট বেড়েছে।

নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টি দ্বিতীয় অবস্থানে আছে। দলটি ১৪৪টি আসনে এগিয়ে আছে। তারা পার্লামেন্টে আনুষ্ঠানিক বিরোধী দল হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।

কানাডার দুই বড় দলের প্রতি জনসমর্থন বাড়ার কারণে ছোট দলগুলো, বিশেষ করে এনডিপি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের ভোট প্রায় ১২ শতাংশ কমে গেছে।

এবারের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৬৭ শতাংশ।

কনজারভেটিভ নেতা পিয়েরে পলিয়েভ্রে এবং এনডিপি নেতা জগমিত সিং—দুজনই তাঁদের আসন হারিয়েছেন। সিং বলেছেন, তিনি বামপন্থী দলের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ