৪টা পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়ে সড়ক ছাড়লেন আহতরা
Published: 2nd, February 2025 GMT
সুচিকিৎসা, ক্ষতিপূরণ, রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে আন্দোলনে নামা গণঅভ্যুত্থানে আহতরা বিকেল ৪টা পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে দায়িত্বশীল কেউ যোগাযোগ না করলে সচিবালয় ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের রাজস্ব ভবন থেকে শুরু করে টিবি হাসপাতালের রাস্তা বন্ধ করে দেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত বেশ কয়েকজন। এরপর সেখান থেকে শ্যামলীর শিশুমেলা মোড়ে গিয়ে সড়ক অবরোধ করেন তারা। গতকাল রাতেও একই দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন তারা।
আজ দুপুর সোয়া ২টার দিকে আন্দোলনকারীরা সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে আহত মোহাম্মদ শরীফ বলেন, “রাস্তা অবরোধ করে দেওয়ায় মানুষের কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু এ ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না।”
"অন্তর্বর্তী সরকার রাস্তা বন্ধ করতে আমাদের বাধ্য করেছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতরা কী করছে, কী খাচ্ছে, কোথায় থাকছে- সেই খবর কেউ নিচ্ছে না।”
শরীফ বলেন, “আমরা বলতে চাই, এবারের আন্দোলন গতবারের আন্দোলনের মতো নয়। হাসিনার বন্দুকের গুলির সামনে বুক পেতে দিয়েছিলাম। অন্ধ হয়ে গেছি, খোঁড়া হয়ে গেছি, ভয় করি নাই। যদি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে বেঈমানি করা হয়, হাসিনা গেছে যে পথে তারাও যাবে সেই পথে।”
তিনি বলেন, “আমরা গতকাল রাত থেকে আন্দোলন করছি। এখন পর্যন্ত কোনো উপদেষ্টা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। আমরা আজ বিকেল ৪টা পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিলাম। যদি এর ভেতর তারা কেউ যোগাযোগ না করে আমরা সচিবালয় ঘেরাওয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেব। দরকার হলে আমরা শরীরে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার পথ বেছে নেব।”
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতরা যেসব দাবিতে আন্দোলন করছেন তার মধ্যে রয়েছে, জুলাই-আগস্টে আহতদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া। আহতদের ক্যাটাগরি নামক বৈষম্য দূর করা, আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা, শহীদ পরিবারের দ্রুত পূর্ণবাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
ঢাকা/সুকান্ত/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ন্যূনতম সংস্কার ছাড়া ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হবে না: জামায়াত আমির
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে চিন্তার ভিন্নতা থাকতেই পারে। এমন একটা নির্বাচন এ জাতির পাওয়া প্রয়োজন, যাতে প্রতিটি মানুষ নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হোক। ন্যূনতম সংস্কার না হলে একটা সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হবে না। এটা না হওয়া পর্যন্ত সবার ধৈর্য ধরে এ সরকারকে সহযোগিতা করা উচিত।
আজ সোমবার ফেনীর পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নে মুহুরী নদীর ভাঙনের স্থান বল্লার মুখ এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে ফুলগাজীর আনন্দপুর ইউনিয়নে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ইশতিয়াক আহমেদ শ্রাবণের কবর জিয়ারত ও তাঁর বাবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন জামায়াত আমির। এ ছাড়া জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় এবং আর্থিক অনুদান দেন তিনি।
জামায়াত আমির আরও বলেন, মুহুরী নদীর ভাঙন এলাকাটি দুই দেশের সীমান্তে পড়েছে। ভাঙা অংশটি ভারতের অংশে পড়েছে। তাদের এই ভাঙার কারণে আমাদের দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সরকার শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকে হাঁটুক এবং এর একটা সঠিক সমাধান হোক।