পুনর্বহালের দাবিতে সচিবালয়ে চাকরিচ্যুত পুলিশের প্রতিনিধি দল
Published: 2nd, February 2025 GMT
বিগত সরকারের আমলে চাকরিচ্যুত সকল পুলিশ সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছে ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায় শিক্ষা অধিকার চত্বর থেকে চাকরিচ্যুত পুলিশের প্রতিনিধি দল সচিবালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হন।
এ সময় প্রতিনিধি দলে ছিলেন- চাকরিচ্যুত ইন্সপেক্টর দুলাল সাগর, এস আই ফারহান সাগর, এস আই মামুন, সিরাজুল হক, এএসআই সাইফুল আলম, কনস্টেবল আরাফাত ও কনস্টেবল তানিয়া আক্তার।
চাকরিচ্যুত পুলিশের দাবিগুলো হলো:
১.
২. স্বৈরাচারী সরকারের আমলে পুলিশ বাহিনীর বেশিরভাগ সিনিয়র কর্মকর্তা পুলিশ বাহিনীকে ভয়ঙ্কর দানবে পরিণত করতে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে চাকরিচ্যুত করেছে।
৩. বিভাগীয় মামলা তদন্তের ক্ষেত্রে ন্যায় সঙ্গত কোনপ্রকার প্রসিডিউর অনুসরন করেনি। তদন্তকারী কর্মকর্তা, তদন্ত,
৪.মিথ্যা সাক্ষ্য গ্রহণ সহ সকল কিছুতেই তাদের পক্ষের একতরফা নীতি অনুসরণ করেছে।
তারা এমনভাবে মামলা সৃজন করেছে যেন, আদালত থেকেও কোনভাবে বিবাদী নিজেকে নির্দোষ প্রমান করতে না পারে।
৫.বিজ্ঞ আদালত হতে ০১ রায়, ০২ রায়, ০৩ রায় পাওয়ার পয়েও আমাদেরকে চাকরিতে পূণর্বহাল করেনি।
৬.স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতাল ও অন্যান্য অনুমোদনহীন হাসপাতাল থেকে ডোপ টেস্টের মাধ্যমে নিরীহ পুলিশ সদস্যদেরকে চাকরিচ্যুত করেছে। বেশিরভাগ চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্য ঐদিনই ঢাকা মেডিকেল ও পিজি হাসপাতাল থেকে ডোপ টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট জমা দিলেও তা গ্রহণ করেনি।
৭. ডোপ টেস্টে যারা মোটা অংকের টাকা ঘুষ দিয়েছে বা যারা স্বৈরাচারী সরকারের লোক ছিলেন তাদেরকে চাকরিতে বহাল রেখেছেন। আর যারা টাকা দিতে পারেনি তাদেরকে চাকরিচ্যুত করেছেন।
৮। যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুকে কমেন্ট করেছেন তাদেরকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করেছেন।
৯। বিগত স্বৈরাচারী দোসরদের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে কিছু পুলিশ সদস্য কে চাকরিচ্যুত করতে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে মাদক ও অস্ত্র দিয়ে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দিয়েছেন।
১০। পুলিশ বাহিনীর কিছু অসাধু কর্মকর্তা নিজেদের পরিচিত লোকের মাধ্যমে মিথ্যা, ভিত্তিহীন অভিযোগ দিয়ে অসংখ্য পুলিশ সদস্যকে চাকরিচ্যুত করেছেন।
১১। ২০০৭ সালে সাবেক আইজিপি জনাব নূর মোহাম্মদ স্যার বিভাগীয় মামলার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন শাস্তি প্রদানের প্রজ্ঞাপন জারী করেন কিন্তু স্বৈরাচারী সরকারের দোসরার আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে ছোট-খাটো অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি চাকরিচ্যুত করেছেন।
১২। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার অব. এম সাখাওয়াত হোসেন স্যার মানবিক বিবেচনায় সকল পুলিশ সদস্যকে পুনর্বহালের আদেশ প্রদান করার পরেও স্বৈরাচারী সরকারের নিয়োজিত দোসররা তা বাস্তবায়নে বাধা প্রদান করছেন।
১৩। অনেক পুলিশ সদস্যকে চাকরিচ্যুত করার পর যদি বিজ্ঞ আদালতে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চায়। তা হলে গুম খুনের হুমকি দিয়েছেন। এসবের ভয়ে অনেক পুলিশ সদস্য আদালতে মামলা দায়ের করতে পারেনি।
১৪ অনেক পুলিশ সদস্যকে জোর পূর্বক অথবা স্বাক্ষর জাল করে চাকরি হতে সেচ্ছায় অবসর বা বাধ্যতা মূলক অবসর।
ঢাকা/রায়হান/ইমন
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চ কর চ য ত কর ছ ন চ কর চ য ত প ল শ প ল শ সদস য সরক র র
এছাড়াও পড়ুন:
আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে রূপগঞ্জে ছাত্রদলের মশাল মিছিল
আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিচার ও আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধের দাবীতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে উপজেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি পদ প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম বাবুর নেতৃত্বে উপজেলার গাউসিয়া এলাকার ঢাকা টু সিলেট মহা সড়কে এ মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিতি ছিলেন রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লা রহমান,সরকারি মুড়াপাড়া কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হৃদয় মিয়া, আহ্বায়ক সদস্য তারিকুল ইসলাম শান্ত,সদস্য আরিফুল, রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদল নেতা রাসেল ফকির, গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা, ফারুক আশরাফুল, ফেরদৌস, সানি, কাউছার, নাইম, নাফিজ, সাইফুল, দিপু, সুজন, ভোলাব ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা আনাস, মিরাজ, ছাব্বির, মুড়াপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা ফয়সাল, নাছিম, রুবেল , ভূলতা ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা সোহান, দিপু,আল-আমিন, বাইজিদ,সোহান,আবু রজিন, রূপগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা, ইমরান, সাইফুল, অমিত, চনপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা হোসাইন ফরাজী,অমিত, রিফাত, হাসান প্রমুখ।