তিতুমীরের অনশনরত ৩ শিক্ষার্থীর অবস্থা আশঙ্কাজনক : চিকিৎসক
Published: 2nd, February 2025 GMT
রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে ৫ম দিনের মতো অনশনরত শিক্ষার্থীদের শারীরিক অবস্থার অবনতি নিয়ে কথা বলেছেন সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. রাসেল।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি অনশনরত ৩ শিক্ষার্থীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান৷
তিনি বলেন, “অনশনের কারণে ডিহাইড্রেশন অবস্থায় কিডনি তার স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে পারছে না৷ অনশনে থাকা ৩ শিক্ষার্থীর অবস্থা আশঙ্কিজনক। যাদের প্রসাব তৈরি হচ্ছে না। তিনজনের মধ্যে একজনের প্রবাস হচ্ছে না। কিডনি প্রসাব তৈরি করার জন্য যে প্রক্রিয়া থাকে, তা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।”
অনশনরত এ ৩ জন শিক্ষার্থী হলেন, বাংলা বিভাগের রানা আহমেদ (২০২০-২১), মার্কেটিং বিভাগের রাশেদুল ইসলাম রাশেদ (২০২০-২১) ও গণিত বিভাগের রায়হান (২০২০-২১)।
গত ২৯ জানুয়ারি (বুধবার) সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে শিক্ষার্থীরা এই অনশন কর্মসূচি শুরু করে।
অনশনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন, কলেজের বাংলা বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের বেলাল আহমেদ ও ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের রানা আহমেদ, গণিত বিভাগের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের আমিমুল ইসলাম, মার্কেটিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, অর্থনীতি বিভাগের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের ইউসুফ আলী।
ঢাকা/হাফছা/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল ইস্যুতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জরুরি বৈঠক
ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশের পণ্য তৃতীয় দেশে যাওয়ার ব্যবস্থা মঙ্গলবার বাতিল করেছে ভারত। এ নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আজ বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় বৈঠকে বসছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৈঠক চলছে। এতে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন সভাপতিত্ব করছেন।
ঢাকার কারওয়ান বাজারের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়েছে। এতে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরাও উপস্থিত রয়েছেন। আর অনলাইনে যুক্ত রয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার।
ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশের পণ্য তৃতীয় দেশে যাওয়ার জন্য ২০২০ সালের ২৯ জুন একটি আদেশ জারি করেছিল ভারত। ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস (সিবিআইসি) গতকাল মঙ্গলবার সেই আদেশ বাতিল করেছে।
২০২০ সালের ২৯ জুনের পর থেকে বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় কোনো দেশে পণ্য রপ্তানিতে ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে ভারতের একটি শুল্ক স্টেশন ব্যবহার করে অন্য কোনো বন্দর বা বিমানবন্দর ব্যবহার করার সুযোগ ছিল। গতকাল ভারত বলেছে, যেসব পণ্যবোঝাই যানবাহন ইতিমধ্যে ভারতের ভূখণ্ডে আছে, সেগুলোকে দ্রুত ভারতের ভূখণ্ড ত্যাগ করতে হবে।