সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে ঢাকার মহাখালীতে কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তবে ইজতেমার মুসল্লিদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে পূর্ব ঘোষিত বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটির কর্মসূচি কিছুটা শিথিল করার কথা জানিয়েছেন।  

রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় ক্যাম্পাসের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক, ১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী আলি আহমদ।

তিনি বলেন, “আজ বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশ-বিদেশ থেকে আগত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের চলাচলে যেন কোনো বাধা সৃষ্টি না হয়, সে কারণে আমরা রেলপথ ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবরোধ প্রত্যাহার করেছি। তবে নর্থ সিটির অন্যান্য সড়কে আমাদের ব্লকেড কর্মসূচি চলবে।”

তিনি আরো বলেন, “তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবি দীর্ঘ ২৮ বছরের। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর আমরা সবকটি যথাযথ মাধ্যম ব্যবহার করেও কোনো প্রতিক্রিয়া পাইনি। নিরুপায় হয়েই আমরণ অনশন শুরু করি, যা আজ পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে। কিন্তু এখনো রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ কোনো সাড়া দেয়নি। আমাদের ৩৫ হাজার শিক্ষার্থী দেখছে। ভাইয়েরা মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে আছে, অথচ কোনো সিদ্ধান্ত আসছে না। তাই শিক্ষার্থীরা  ‘ব্লকেড টু নর্থ সিটি’ কর্মসূচির মাধ্যমে চূড়ান্ত চাপ প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

এর আগে শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে তিতুমীর কলেজের প্রধান ফটকের সামনে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা তাদের পূর্ব ঘোষিত বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।

ঢাকা/উম্মে হাফছা/ইভা

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পেট্রোল পাম্প ধর্মঘট প্রত্যাহার

সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য উত্তরবঙ্গের সব পেট্রোল পাম্প বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাহার করে নিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটর্স, এজেন্টস এন্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাপেওএ) রাজশাহী বিভাগ।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে বগুড়া জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজার সঙ্গে বৈঠক শেষে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন বাপেওএ-এর রাজশাহী বিভাগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল জলিল। এসময় বগুড়া সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

গতকাল মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিনা নোটিশে ও কোনো আনুষ্ঠানিক চিঠি ছাড়া সওজ বিভাগ আকস্মিক উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে। এতে পেট্রোল পাম্প মালিকদের মধ্যে চরম হতাশা ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ওই বিজ্ঞপ্তিতে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের পেট্রোল পাম্প মালিকদের এই ধর্মঘট সফল করতে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানানো হয়েছিল।

ঢাকা/এনাম/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ