আজকাল সারা বছর টমেটো পাওয়া গেলেও শীতকালে এর চাহিদা ও সরবরাহ বহু গুণে বেড়ে যায়। টমেটো দীর্ঘদিন তাজা এবং ব্যবহারযোগ্য রাখতে কিছু সহজ এবং কার্যকরী টিপস অনুসরণ করতে পারেন।
১. টমেটো সংরক্ষণ করার সময় টমেটোর ডাঁটাওয়ালা অংশ নিচের দিকে রাখুন। তাহলে বাতাস এবং আর্দ্রতা টমেটোতে প্রবেশ করতে পারে না। এর ফলে টমেটো বেশি দিন তাজা থাকে।
২.
৩. কাঁচা (সবুজ) এবং পাকা টমেটো আলাদা আলাদাভাবে সংরক্ষণ করুন। পাকা টমেটো থেকে নির্গত গ্যাস (ইথিলিন) কাঁচা টমেটোকে দ্রুত পাকিয়ে দেয়।
৪. কাঁচা টমেটো কাগজের ব্যাগে সংরক্ষণ করুন। কাগজের ব্যাগ আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করে এবং টমেটোকে নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করে।
৫. টমেটো সংরক্ষণ করার আগে হালকা গরম পানি দিয়ে ভালো ভাবে ধুয়ে নিন। টমেটোগুলো ভালো করে শুকিয়ে নিন যাতে আর্দ্রতার কারণে ছত্রাক না ধরে।
৬. টমেটোর উপরে খাবার তেলের (যেমন সরিষার তেল বা নারকেল তেল) হালকা প্রলেপ দিন। এর ফলে টমেটো ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক থেকে দূরে থাকবে।
৭. ফ্রিজার ব্যবহার করুন (দীর্ঘ সময়ের জন্য)
টমেটো কেটে অথবা পিউরি বানিয়ে ফ্রিজে রাখুন। ছোট ছোট করে জিপ-লক ব্যাগ অথবা এয়াটাইট পাত্রে সংরক্ষণ করুন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: টম ট
এছাড়াও পড়ুন:
যে প্রলোভনে মিয়ানমারে দুই বছর জেল খাটলেন ২০ কিশোর–তরুণ
কারও বয়স ১৬, কারও ১৮ ছুঁই ছুঁই। দালালের প্রলোভনে পড়ে মালয়েশিয়ায় ভালো বেতনে চাকরি আর উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখেছিলেন তাঁরা। পরিবারকে না জানিয়েই রওনা দিয়েছিলেন অবৈধ বিপদসংকুল সাগরপথে। কিন্তু মিয়ানমারে পৌঁছেই আটক হন তাঁরা। তারপর অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ২২ মাস কারাভোগ করেন।
অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ২০২৩ সালের জুনে মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক এসব কিশোর–তরুণ আজ মঙ্গলবার সকালে নৌবাহিনীর জাহাজে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছান। সেখান থেকে সন্ধ্যায় বাসে তাঁদের নেওয়া হয় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে। সেখানে অপেক্ষারত পরিবারের সদস্যদের কাছে তুলে দেওয়া হয় এসব কিশোর–তরুণকে।
সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সামনে বাস থেকে একে একে নামেন তরুণেরা। ছেলে কিংবা ভাইকে এত মাস পর কাছে পেয়ে দৌড়ে যান স্বজনেরা। কেউ কেউ কান্নায় ভেঙে পড়েন।
জানা গেছে, অসাধু দালালেরা এসব কিশোর–তরুণকে মালয়েশিয়ায় পাচারের চেষ্টা করেছিল। পথে মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তাঁরা আটক হন। তাঁদের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব যাচাইয়ের পর মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে সরকার। এরপর বাংলাদেশ দূতাবাস তাঁদের প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করে।
অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ফিরে আসা কিশোর–তরুণেরা কক্সবাজার জেলার টেকনাফ ও উখিয়া অঞ্চলের বাসিন্দা। মালয়েশিয়া যাত্রার কথা কেউ পরিবারকে জানাননি। প্রায় এক মাস পর স্বজনেরা জানতে পারেন তাঁরা আটক হয়েছেন। এক বছর আগে সরকারের কাছে তাঁদের ফিরিয়ে আনতে কাগজপত্র জমা দেয় পরিবার।
ফিরে আসা এক কিশোরের বোনের স্বামী আবদুল্লাহ বলেন, ‘পরিবারকে না জানিয়েই আমার শ্যালক দালালের খপ্পরে পড়ে মালয়েশিয়া যেতে চেয়েছিল। সে মিয়ানমারে আটক হয়। প্রায় এক মাস পর আমরা জানতে পারি। এখন সে পরিবারের কাছে ফিরে এসেছে।’
কিশোর–তরুণদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘তথ্য যাচাই করে তাঁদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। আমরা তাঁদের পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তর করেছি।’
এর আগে গত রোববার মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন শহরের এমআইটিটি বন্দর থেকে ২০ বাংলাদেশি নাগরিক বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ বিএনএস সমুদ্র অভিযানে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা করেন। আজ সকালে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায়।