আখেরি মোনাজাত চলাকালে ড্রোন আতঙ্ক, আহত শতাধিক
Published: 2nd, February 2025 GMT
তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার দুই ধাপের প্রথম পর্ব আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়েছে। তবে মোনাজাতের শেষের দিকে হঠাৎ মুসল্লিরা আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করেন। ড্রোনের বাতাস ও ড্রোন মাটিতে পড়ার শব্দ থেকে এই আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।
এতে ঘটনাস্থলে সংবাদ সংগ্রহে থাকা অবস্থায় সমকালের টঙ্গী প্রতিনিধি আবু সালেহ মুসাসহ শতাধিক মুসল্লি আহত হয়েছেন।
রোববার শুরায়ে নেজামের আখেরি মোনাজাত চলাকালে টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী মুসল্লিরা জানান, তারা মোনাজাতে মগ্ন ছিলেন। এসময় হঠাৎ প্রচণ্ড বাতাস আসে। পরে একটি ড্রোন মাটিতে পড়ে যায়। এই আতঙ্কে তারা ছুটাছুটি করতে থাকেন। এসময় বেশ কয়েকজন মুসল্লি পড়ে গিয়ে আহত হন।
আহত মুসল্লি ফয়সাল বলেন, আমার সামনে হঠাৎ ড্রোন পড়ে গিয়ে বাঁশের সঙ্গে লেগে শব্দ হয়। এতে আতঙ্ক দেখা দিলে মুসল্লিরা দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন। আমিসহ অনেক মুসল্লি আহত হয়েছেন।
টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে কর্তব্যরত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) বেলায়েত হোসেন বলেন, আতঙ্কে অনেক মুসল্লি দৌড়ে হাসপাতালে আসেন। তাদের চিকিৎসা দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম জানান, ড্রোনটি ইজতেমার মাঠের কাছে পড়ে যাওয়ায় মুসল্লিদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। পরে ছুটাছুটি করলে কিছু মুসল্লি আহত হয়েছেন। ড্রোনের ব্যাটারি শেষ হওয়ার কারণে মাটিতে পড়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ড্রোনটি কার তা জানা যায়নি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব শ ব ইজত ম আতঙ ক
এছাড়াও পড়ুন:
ঝালকাঠিতে ‘বোমা ফাটিয়ে’ ডাকাতির চেষ্টা, আহত ৩
ঝালকাঠি শহরে ইফতারির সময় বোমা ফাটিয়ে ডাকাতি চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসময় তিনজন আহত হন। রবিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার পর ঝালকাঠি শহরের ডাক্তারপট্টি সড়ক এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
ঝালকাঠি সদর থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, “ইফতারের পরপরই ককটেল জাতীয় বস্তু ফাটিয়ে ডাকাতির চেষ্টা চালায় কিছু ব্যক্তি। পরে তারা পালিয়ে যায়। তাদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।”
আহতরা হলেন- ডাক্তারপট্টি এলাকার মাহামুদুল হাসান আদিল (৩৭), প্রণব কুমার নাথ ভানু (৬০), মানিক মালো (৩৫)। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
যশোরের প্রথম নারী এসপি রওনক জাহান
নিখোঁজ যুবকের মরদেহ ৭ দিন পর মিলল পাহাড়ে
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডাক্তারপট্টি সড়কটি ঝালকাঠি শহরের স্বর্ণকার পট্টি হিসেবে পরিচিত। আজ ইফতারের সময় এই এলাকায় একটি পিকআপ গাড়িতে এসে বোমা ফাটিয়ে দোকান লুটের চেষ্টা চালায় ডাকাতরা। এসময় দোকান মালিকরা চিৎকার দিলে জনতা ডাকাত দলকে ধাওয়া দেয়। ডাকাত দল পিকআপ থেকে বোমা ফাটিয়ে ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে বরিশালের দিকে চলে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী রিপন ভূইয়া বলেন, “আমরা বাসার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেম। এসময় একটি নীল রঙের পিকআপ জনতার ধাওয়া খেয়ে পূর্ব দিকে আসছিল। আমরা পিকআপটি আটকানোর চেষ্টা করি। পিকআপ থেকে বোমা নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় আমরা সরে আসলে পিকআপটি শহরের ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে বরিশালের দিকে চলে যায়।”
স্থানীয়রা জানান, ঘটনার পরপরই ডাক্তারপট্টির সব স্বর্ণের দোকান বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন।
অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন বলেন, “পতিত সরকারের মদতে দুর্বৃত্তরা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটানোর জন্য ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে ধারণা করছি।”
ঢাকা/অলোক/মাসুদ