বগুড়া সুহৃদের ‘প্রকৃতি ও প্রীতি যাত্রা’
Published: 2nd, February 2025 GMT
প্রকৃতি আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই প্রকৃতির স্নিগ্ধ ছোঁয়া আমাদের হৃদয়কে করে তোলে প্রশান্ত। এর সঙ্গে যদি যুক্ত হয় সুহৃদ পরিবারের প্রীতি, তবে সেই যাত্রা হয়ে ওঠে এক অনন্য আনন্দময় অভিজ্ঞতা। ঠিক তেমনই একটি দিন কাটিয়েছেন বগুড়া সমকাল সুহৃদ সমাবেশের সদস্যরা। আনন্দ, উচ্ছ্বাস, এবং সৌন্দর্যের অনন্য মেলবন্ধনে ভরা এ দিনটি তাদের জীবনে একটি চিরস্মরণীয় স্মৃতি হিসেবে থেকে যাবে।
প্রকৃতির স্নিগ্ধতা ও আমাদের মিলনমেলা
বগুড়া সমকাল সুহৃদ সমাবেশ আয়োজন করে এক দিনের ভ্রমণের। নওগাঁ জেলার সাপাহারের জবই বিলের মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে আয়োজন করা হয়েছিল এই ‘প্রকৃতি ও প্রীতি যাত্রা’। দিনের শুরু থেকেই সদস্যরা একে একে উপস্থিত হতে থাকেন। তাদের উচ্ছল মুখ আর প্রাণবন্ত হাসি যেন প্রকৃতির সঙ্গেই একাত্ম হয়ে গিয়েছিল।
আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিল প্রকৃতির নৈসর্গিক রূপ উপভোগ করা এবং সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করা। দিনটি কেটেছে বিভিন্ন কার্যক্রম, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ এবং হাসি-আড্ডার মধ্য দিয়ে। সকালের নাশতা থেকে শুরু করে দিনব্যাপী নানা আয়োজন সবার মুখে হাসি ফোটায়।
দিনব্যাপী আয়োজনে যুক্ত হন সুহৃদ উপদেষ্টা সরকারি আজিজুল হক কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মতিউর রহমান, সমকাল উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিনিধি লিমন বাসার, সমকাল বগুড়া ব্যুরোপ্রধান এসএম কাওসার এবং হাজী ফিলিং স্টেশন ও হাজী মোটরসের স্বত্বাধিকারী মিজানুর রহমান। এ ছাড়া সুহৃদ সভাপতি আবু মোত্তালেব মানিক, সিনিয়র সহসভাপতি সাজিয়া আফরিন সোমা, সহসভাপতি শেখর রায়, মশিউর রহমান জুয়েল, আব্দুর রহমান ও সিরাজ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আসলাম হোসাইন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজু আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সঞ্জু রায়, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলে রাব্বি, অর্থ সম্পাদক চন্দন কুমার ঘোষ, দপ্তর সম্পাদক মানিক রতন ঘোষ, নারী ও শিশু কল্যাণ সম্পাদক হাবিবা নাসরিন, সহ-নারী ও শিশু কল্যাণ সম্পাদক রাফসানা আক্তার রাখি, কার্যনির্বাহী সদস্য শানেওয়াজ শাওন, নাহিদ ইসলাম, আতিক হাসান, তুহিন ইসলাম, আরমান হোসেন, আসিফ আহমেদ, তুহিন ইসলাম, রিমি, হুমায়রা ও সরকারি আজিজুল হক কলেজ শাখার সদস্য সিরাজুল ইসলাম।
সভাপতি আবু মোত্তালেব মানিক বলেন, বগুড়া সুহৃদ সমাবেশের সব সদস্য মিলে আমরা একটি পরিবারের মতো। প্রকৃতি ও বন্ধুত্বের এ আয়োজন আমাদের বন্ধনকে আরও দৃঢ় করেছে। এ ধরনের আয়োজন আমাদের নতুনভাবে প্রেরণা দেয় এবং প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা জাগিয়ে তোলে। আমরা চাই এই যাত্রা যেন আমাদের জীবনকে আরও সমৃদ্ধ ও আনন্দময় করে তোলে।
সারাদিনের কার্যক্রম
আয়োজনের দিনটি নানা ধরনের মজাদার কার্যক্রমে ভরপুর ছিল। সকালের নাশতা, দলবদ্ধ খেলা, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং প্রকৃতি ঘুরে দেখার মধ্য দিয়ে দিনটি ছিল ভিন্নরকম আনন্দময়। সদস্যদের প্রাণখোলা হাসি আর আড্ডার পরিবেশ আয়োজনটিকে আরও বেশি স্মরণীয় করে তোলে। সুন্দর এই দিনের প্রতিটি মুহূর্ত যেন একটি স্মৃতি হয়ে রয়েছে। আয়োজনে অংশগ্রহণকারীরা প্রকৃতির সৌন্দর্য এবং পারস্পরিক বন্ধুত্বের মধ্য দিয়ে দিনটিকে উপভোগ করেছেন। এই প্রকৃতি ও প্রীতির যাত্রা সবার জন্য হয়ে থাকবে এক অনন্য অভিজ্ঞতা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ভ রমণ র রহম ন ইসল ম সমক ল আনন দ সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
২৮ বলে ১৫ ছক্কায় ১০১—অস্ত্র জমা দিলেও ট্রেনিং জমা দেননি ডি ভিলিয়ার্স
অস্ত্র জমা দিয়েছি, ট্রেনিং তো জমা দিইনি—কথাটা এবি ডি ভিলিয়ার্সের খুনে মেজাজের ব্যাটিংয়ের সঙ্গেই যায়।
২০১৮ সালে আচমকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন ডি ভিলিয়ার্স। ২০২১ সালে সব ধরনের ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেন। সেই ডি ভিলিয়ার্স কাল আবারও ব্যাট হাতে তুলে নিয়েছেন। চার বছর পর ফিরেই ২৮ বলে সেঞ্চুরি উপহার দিয়েছেন। মেরেছেন ১৫টি ছক্কা, নেই কোনো চার, ডট দিয়েছেন মাত্র দুটি।
প্রতিপক্ষ বোলারদের কচুকাটা করে ডি ভিলিয়ার্স বুঝিয়ে দিয়েছেন, ‘অস্ত্র’ হাতে পেলে এখনো আগের মতোই ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারেন। ব্যাট তো তাঁর কাছে অস্ত্রই!
মাঠের সব পাশে খেলতে পারেন বলে ডি ভিলিয়ার্সকে ডাকা হয় ‘মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রি’। কাকতালীয়ভাবে দক্ষিণ আফ্রিকান কিংবদন্তির অপরাজিত ১০১ রানে ইনিংসের স্ট্রাইক রেটও ৩৬০!
আরও পড়ুনকোহলি, ডি ভিলিয়ার্স, গেইল থাকার পরও বেঙ্গালুরু কেন শিরোপা জিততে পারেনি১৫ এপ্রিল ২০২৪গত জানুয়ারিতে ক্রিকেট সাংবাদিক মেলিন্ডা ফারেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডি ভিলিয়ার্স জানিয়েছিলেন, আবারও ক্রিকেটে ফিরতে চান। তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক কোনো ম্যাচ নয়, খেলতে চান প্রদর্শনী ম্যাচে।
কাল সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্ট পার্কে টাইটানস লিজেন্ডস ও বুলস লিজেন্ডস ম্যাচ দিয়েই ফিরেছেন ডি ভিলিয়ার্স। তিনি খেলেছেন তাঁর দীর্ঘদিনের ঘরোয়া দল টাইটানসের হয়ে।
টি–টোয়েন্টি সংস্করণের ম্যাচটিতে সপ্তম ওভারে ৫০ রানে ৩ উইকেট হারায় টাইটানস। এরপর ব্যাটিংয়ে নামেন ডি ভিলিয়ার্স।
মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই মারেন ছক্কা। সেঞ্চুরিও পূরণ করেন ছক্কা মেরে। তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পরপরই তিনি ব্যাটিং থেকে অবসর নেন। তাঁর বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ভর করেই টাইটানস ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে করে ২৭৮ রান।
লক্ষ্য তাড়ায় বুলস লিজেন্ডস ১৪ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৫ রান তোলার পর মুষলধারে বৃষ্টি নামে। আর খেলা সম্ভব হয়নি।
ওয়ানডে ইতিহাসের দ্রুততম সেঞ্চুরির বিশ্ব রেকর্ডটা ডি ভিলিয়ার্সেরই। ২০১৫ সালে জোহানেসবার্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩১ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি।
গত বছর আইসিসির হল অব ফেমে জায়গা করে নিয়েছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স