সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে গোসলে নেমে নিখোঁজ আরো দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা তিনজনে দাঁড়িয়েছে।

রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়নের ঝাঁটিবেলাই এলাকা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত দুই শিক্ষার্থী হলো- সিরাজগঞ্জ শহরের মাসুমপুর মহল্লার ইমরুল হাসান সোহেলের ছেলে সারজিল (১৬) ও বাহিরগোলা ঘোষপাড়া মহল্লার মৃত বিশ্বজিৎ নিয়োগীর ছেলে কৃষ্ণ নিয়োগী (১৫)। তারা সিরাজগঞ্জ কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। এর আগে, গতকাল সন্ধ্যায় নিখোঁজ রাফিন ইসলাম নামের আরেক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, শনিবার সকালে ঝাঁটিবেলাই গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক রঞ্জুর বাড়িতে বেড়াতে আসে তার নাতি জারিফের পাঁচ বন্ধু। একই দিন বিকেলে ছয়জন স্থানীয় ফুলজোড় নদীতে গোসলে নামে। এ সময় তিনজন নদীর পানিতে ডুবে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় রাফিন ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আজ উদ্ধার হলো বাকি দুই জনের মরদেহ।

কামারখন্দ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর অপু কুমার মন্ডল বলেন, ‘‘খবর পাওয়ার পরপরই ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। গতকাল একজন ও আজ দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।’’

কামারখন্দ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘‘মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।’’

ঢাকা/রাসেল/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সেই শিশুটির জন্য রাস্তায় চলচ্চিত্র শিল্পীরা

মাগুরায় বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে বোনের শ্বশুরের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৮ বছরের এক শিশু। এই ঘটনায় বিস্মিত গোটা দেশ। জড়িতদের উপযুক্ত বিচার চেয়ে রাস্তায় নেমেছে সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন স্থানে চলছে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ। অপরাধীদের শাস্তি চেয়ে সোমবার (১০ মার্চ) বিকেলে এফডিসি’তে মানববন্ধন করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্যরা।

শিল্পী সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত এই প্রতিবাদ সমাবেশে সকল ধর্ষণ ও নারীদের প্রতি সহিংসতার মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবি জানিয়েছেন শিল্পীরা।

সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর বলেন, ‘আমরা সবাই অবগত যে কী হয়েছে? কী ঘটেছে? এবং আমরা সবাই এই ব্যাপারে সোচ্চার যে আমরা কী করতে চাই, কী বলতে চাই। ওই চাওয়া-পাওয়ার মাঝখান থেকে আজ আবেগের বহিঃপ্রকাশ। আমরা কী চাই? আমরা চাই শিশু ধর্ষণসহ সকল ধর্ষণ ও নারীদের প্রতি সহিংসতার মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হোক। অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক; যাতে অন্যরা এই ধরনের অপরাধ করার আগে একবার না, দশবার ভাবে। একইসঙ্গে, প্রমাণ সংগ্রহ ও তদন্ত প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করতে হবে, যাতে অপরাধীরা কোনোভাবেই রেহাই না পায়।’

শিশু ধর্ষণের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সরকার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিচার বিভাগের কাছে আহ্বান জানাই, অনুরোধ জানাই—শিশু ধর্ষণের বিরুদ্ধে দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করুন।’

বিএফডিসি’তে অনুষ্ঠিত ধর্ষণবিরোধী প্রতিবাদ সমাবেশে মিশা সওদাগর ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রোজিনা, ডিএ তায়েব, শিপন মিত্র, জয় চৌধুরী, রুমানা ইসলাম মুক্তি প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ