গোসলে নেমে নিখোঁজ, আরো দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
Published: 2nd, February 2025 GMT
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে গোসলে নেমে নিখোঁজ আরো দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা তিনজনে দাঁড়িয়েছে।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়নের ঝাঁটিবেলাই এলাকা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃত দুই শিক্ষার্থী হলো- সিরাজগঞ্জ শহরের মাসুমপুর মহল্লার ইমরুল হাসান সোহেলের ছেলে সারজিল (১৬) ও বাহিরগোলা ঘোষপাড়া মহল্লার মৃত বিশ্বজিৎ নিয়োগীর ছেলে কৃষ্ণ নিয়োগী (১৫)। তারা সিরাজগঞ্জ কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। এর আগে, গতকাল সন্ধ্যায় নিখোঁজ রাফিন ইসলাম নামের আরেক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, শনিবার সকালে ঝাঁটিবেলাই গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক রঞ্জুর বাড়িতে বেড়াতে আসে তার নাতি জারিফের পাঁচ বন্ধু। একই দিন বিকেলে ছয়জন স্থানীয় ফুলজোড় নদীতে গোসলে নামে। এ সময় তিনজন নদীর পানিতে ডুবে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় রাফিন ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আজ উদ্ধার হলো বাকি দুই জনের মরদেহ।
কামারখন্দ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর অপু কুমার মন্ডল বলেন, ‘‘খবর পাওয়ার পরপরই ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। গতকাল একজন ও আজ দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।’’
কামারখন্দ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.
ঢাকা/রাসেল/রাজীব
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘যা সত্যি, সেটাই আমরা চিঠিতে লিখেছি’
বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের কাছে পাঠানো চিঠি ইংরেজিতে লেখা। গত বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের সামনে কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলা মেয়েদের তিন পৃষ্ঠার বিবৃতি লেখা বাংলায়। দুই ভাষায় লেখার কারণেই বিদ্রোহী খেলোয়াড়দের চিঠি নিয়ে সন্দেহ বাফুফের বিশেষ কমিটির। চিঠির মূল লেখকের নাম জানতে প্রত্যেক খেলোয়াড়কে আলাদাভাবে প্রশ্ন করেছেন বিশেষ কমিটির সদস্যরা।
জাপানে বেড়ে ওঠা মাতসুশিমা সুমাইয়া ইংরেজিতে চিঠি লিখেছেন বলে কমিটির সামনে উত্তর দিয়েছেন সবাই। এমনকি সুমাইয়াও বলেছেন সতীর্থদের হয়ে তিনিই চিঠি লিখেছেন। কিন্তু ইংরেজি লেখা চিঠি নিয়ে মেয়েদের এ দাবি বিশ্বাস হচ্ছে না বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কর্তাদের। তাদের কথা সভাপতি তাবিথ তো বাংলা বোঝেন, তাহলে তার কাছে যে চিঠি গেছে, সেটা ইংরেজিতে কেন? ঘটনাগুলো যেহেতু বাফুফের অভ্যন্তরীণ, অন্য কোনো দেশে ঘটেনি, সে হিসেবে ইংরেজিতে লেখার প্রশ্নই ওঠে না বলে মেয়েদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় উপস্থিত থাকা একটি সূত্র সমকালকে জানিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে গতকাল সাফজয়ী দলের অন্যতম খেলোয়াড় জাপানি বংশোদ্ভূত মাতসুশিমা সুমাইয়া জানালেন ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা! বেশ কিছু দিন ধরেই ধর্ষণ আর মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাকে। যার কথা ফেসবুকে পোস্টের মাধ্যমে তিনি তুলে ধরেছেন।
সমকালকে সুমাইয়া জানান, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আমি এই হুমকিগুলো পাচ্ছি। আমার যে পেজ আছে, সেখানে অনবরত বাজে কমেন্টস করা হচ্ছে। আমার এই স্ট্যাটাসের পর অনেক কমেন্টস ডিলিট করে দিয়েছে। যখন থেকে এই বিষয়গুলো (মেয়েদের আন্দোলন) সামনে এসেছে, তখন থেকেই হুমকি পাচ্ছি।
সুমাইয়ার মতে, হুমকি পাওয়ার কারণ কোচের বিপক্ষে চিঠি দেওয়া নিয়ে। এটি নিয়ে বাজে অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হওয়ার কোথাও জানান সুমাইয়া। সমকালকে তিনি বলেন, যা সত্যি, সেটাই আমরা চিঠিতে লিখেছি। আমরা তো বাড়তি কিছু লিখিনি কিংবা বানোয়াট কিছু লিখিনি। তদন্ত কমিটির কাছে বলেছি, চিঠিটি আমি লিখেছি। আমরা ১৮ জন মিলে যে ফাইট করছি, আমি ওদের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত থাকতে চাই। আমাদের একটিই চাওয়া– কোচ (বাটলার) পরিবর্তন করা হোক। মানসিক যন্ত্রণা আমরা আর নিতে পারছি না। ফুটবলে শুধু ট্রেনিং, ট্যাকটিকস এগুলোই নয়; একটা প্লেয়ারের ভালো পারফরম্যান্সের জন্য মানসিক শান্তিটা প্রয়োজন।