Samakal:
2025-03-10@12:35:37 GMT

ফরিদা পারভীন আইসিইউতে

Published: 2nd, February 2025 GMT

ফরিদা পারভীন আইসিইউতে

 


লালনসংগীতের বরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীন শ্বাসকষ্ট নিয়ে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ  হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গতকাল শনিবার ভোরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় বলে জানিয়েছেন তাঁর স্বামী যন্ত্রসংগীতশিল্পী গাজী আবদুল হাকিম।

তিনি বলেন , ফরিদা পারভীনের শারিরীক অবস্থা ভালো খুব একটা ভালো নয়। তাকে এখন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে রাখা হয়েছে। তাঁর ফুসফুসে পানি জমেছে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি জটিলতা রয়েছে। 

ওই হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশীষ কুমার বলেন, ‘তীব্র শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে বরেণ্য সংগীতশিল্পী  ভোরে ভর্তি হয়েছেন। শরীরিক অবস্থা বিবেচনায় তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। তাঁর ডায়াবেটিস রয়েছে।  উচ্চ রক্তচাপ এবং থাইরয়েডের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত কিছু সমস্যায়ও ভুগছিলেন। বক্ষব্যাধি, কিডনি এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞের তত্ত্ববাবধানে আছেন তিনি। তাঁর অবস্থা কিছুটা জটিল। তাকে ডায়ালাইসিস করতে হবে।’ 

১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুলসংগীত গাইতে শুরু করেন ফরিদা। ১৯৭৩ সালের দিকে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। ১৯৮৭ সালে সংগীতাঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক পান এই শিল্পী। পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ একাধিক সম্মাননা।  ‘অচিন পাখি স্কুল’ নামে একটি গানের স্কুলও রয়েছে তাঁর। ২০০৮ সালে তিনি জাপান সরকারের পক্ষ থেকে ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কারও পেয়েছেন এই কন্ঠশিল্পী।  

 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

নেত্রকোণার ধনু নদ থেকে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার

নেত্রকোণার খালিয়াজুরীতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনার দুইদিন পর ধনু নদী থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয় বলে জানান নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান।

মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- জেলার আটপাড়া উপজেলার রূপচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে শহিদ মিয়া (৪৮), মদন উপজেলার বাগজান গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে রুকন মিয়া (৪৫) ও কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ি গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে হৃদয় মিয়া (৩২)। 

আরো পড়ুন:

ট্যাপ থেকে বের হচ্ছিল রক্তযুক্ত পানি, ট্যাংকে পাওয়া গেল লাশ

ঘরে বৌ-শ্যালিকার লাশ, যুবক লাপাত্তা

এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও পুলিশ জানায়, কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন স্থান থেকে মাছ শিকারিরা সংঘবদ্ধ হয়ে খালিয়াজুরি উপজেলার বিভিন্ন জলমহালে পলো দিয়ে মাছ শিকার করছিলেন। গত শনিবার সকালে জেলার বিভিন্ন উপজেলার সহস্রাধিক মাছ শিকারি পলো ও লাঠি নিয়ে একটি জলমহালের মাছ শিকার করতে যান। ধনু নদের রসুলপুর ঘাটে ইজিবাইক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও পিকআপ রেখে নদ পার হতে ফেরি নৌকায় যেতে চাইলে রসুলপুর গ্রামের লোকজন মাছ শিকারিদের বাধা দেন। এরই জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

এসময় দুই পক্ষের অনেকে আহত হন। কিছু দোকান, ঘর, যানবাহন ভাঙচুরসহ আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষের ধাওয়ায় কয়েকজন মাছ শিকারি প্রাণ বাঁচাতে ধনু নদে ঝাঁপ দেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন নিখোঁজ হন। আজ সোমবার তিনজনের মরদেহ উদ্ধার হয়।

নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান বলেন, “আজ ধনু নদী থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”

ঢাকা/মিলন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ