কোচ পিটার বাটলারের প্রতি অভিযোগ আনা নারী ফুটবলাররা তাদের সিদ্বান্তে অটল রয়েছেন। গতকালও বাটলারের অনুশীলনে আসেননি তাদের ১৮ জন। বয়সভিত্তিক দলের ১৩ ফুটবলারকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে অনুশীলন পর্ব চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
গতকাল অনুশীলন পর্ব শেষে সংবাদমাধ্যমের সামনে নারী ফুটবলের চলমান সংকট নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে। উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বুঝিয়ে দেন সাবিনা, কৃষ্ণাদের মতো সাফজয়ী ফুটবলারদের ব্যাপারে কোনো আগ্রহ নেই তার।
‘এখানে যা হচ্ছে সে বিষয়ে কোনো ধারণা নেই। তাছাড়া কোনো আগ্রহও নেই। পেশাদার দৃষ্টিতে আমি কাজ করে যাচ্ছি। যারা অনুশীলনে আসছে তাদের নিয়ে কাজ চলমান থাকবে। পরের অনুশীলনে কিছু তরুণ ফুটবলার যোগ দেবে, বাকিদের নিয়ে আমি আগ্রহী নই। পরবর্তী অনূর্ধ্ব ২০ বয়সী খেলোয়াড়দের নিয়েই আমার সব আগ্রহ এবং কোনো সন্দেহ নেই যে তারা গর্বের সঙ্গে জার্সি পরে দেশের সেবা করবে।’
কোচ সাবিনাদের ব্যাপারে কোনো কৌতূহল না দেখালেও তাদের ফেরানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে বাফুফে। নারী কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ‘মেয়েদের ফেরাতে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা অবশ্যই চাই মেয়েরা ক্যাম্পে থাকবে, ট্রেনিং করবে এবং খেলতে যাবে। তাদের বোঝানোর চেষ্টা করছি।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ টবল র
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল কর্মী নিহত
নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া বালুর মাঠ এলাকায় ছুরিকাঘাতে অপূর্ব নামের এক ছাত্রদল কর্মী নিহত হয়েছেন। তিনি পঞ্চবটির বিসিক শিল্পনগরীর টি-শার্ট গার্মেন্টসের শ্রমিক ছিলেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে আয়োজিত ছাত্রদলের মিছিল শেষে রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছাত্রদল কর্মীরা সম্রাট নামের একজনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা নিহত ও হামলাকারী দুইজনকেই ছাত্রদল কর্মী বললেও, স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, হামলাকারী বিএনপির কেউ না। তাদের কর্মসূচি বানচাল করতে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও বিএনপির কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া মোহাম্মদ ইয়ামিন জানান, ধর্ষণের প্রতিবাদে ছাত্রদলের মিছিলের কর্মসূচি শেষ করে তারা চাষাড়াস্থ শহীদ মিনারের পেছন দিয়ে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় তিনি দেখতে পান, পপুলারের পেছন দিকে নিহত অপূর্ব ও হামলাকারী সম্রাটের মধ্যে বাকবিতণ্ডা চলছে। এক পর্যায়ে দুইজনের মধ্যে হাতাহাতি লেগে যায়। এসময় তিনি অপূর্বকে মাটিতে পড়ে যেতে দেখেন। পরে তার বুকে ছুরিবিদ্ধ দেখতে পান।
তিনি জানান, হামলার পরে সম্রাট পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাকে ধরে গণপিটুনি দেয়। তাকে ছাড়িয়ে নিতে তার ভাই আসলে তাকেও গণপিটুনি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে সম্রাটকে উদ্ধার করে। এসময় অপূর্বকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ও সম্রাটকে পুলিশ নারায়ণগঞ্জ তিনশ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক অপূর্বকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বাবা মাসদাইর জামালের গ্যারেজ এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ খোকন ও নিহতের স্ত্রী সাথী আক্তার জানান, নিহত যুবক বিসিকের টি-শার্ট গার্মেন্টসের শ্রমিক। তিনি ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবচেয়ে ছোট ছিলেন। তাদের গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার জাবুটিয়া গ্রামে। কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা তারা বুঝতে পারছেন না।
হাসপাতালে সম্রাট হোসেন নিজেকে নির্দোষ দাবি করে জানান, যারা হামলা করেছিল তারা চলে গেছে। তিনি শহীদ মিনারের পাশের বেইলি টাওয়ারের একটি ফাস্টফুডের দোকানের কর্মচারী।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপু জানান, সারাদেশে ধর্ষণের বিভিন্ন ঘটনার প্রতিবাদে ধর্ষণকারীদের বিচারের দাবিতে ছাত্রদলের মিছিলে নিহত অপূর্ব এসেছিল। যে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে তিনি বিএনপির কেউ না। আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তাদের কর্মসূচি বাতিল করতে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।