পটুয়াখালীতে শীতের তীব্রতা কিছুটা কমলেও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টায় জেলার কলাপাড়ায় কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা ২০০ মিটারের কম ছিল। গত তিন দিন ধরে উপকূলীয় এলাকায় এমন অবস্থা বিরাজ করছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এদিকে, ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতেও সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। ব্যাহত হচ্ছে লঞ্চসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল। দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তরমুজ সহ শীতকালীন সবজি চাষিরা। এমন অবস্থা চলতে থাকলে বড় ক্ষতি মুখে পরবেন জানিয়েছেন তারা।

কলাপাড়ার মিঠাগঞ্জ গ্রামের তরমুজ চাষি খোকন শিকদার বলেন, ‘‘এ বছর তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে। কিন্তু,গত কয়েক দিন ধরে ব্যাপক কুয়াশা পড়ছে। এভাবে কুয়াশা ঝড়তে থাকলে গাছ পচে যেতে পারে।’’

পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তার জাহান বলেন, ‘‘আকাশ ঘন মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। তাই কুয়াশার পরিমাণটাও বেড়েছে। আগামী এক সপ্তাহজুড়ে এমন অবস্থা থাকতে পারে। তবে, কুয়াশা কমলে শীতের তীব্রতাও বাড়তে পারে।’’

ঢাকা/ইমরান/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পাবনায় পেট্রোল পাম্পে ধর্মঘট, চালক-যাত্রীদের ভোগান্তি

‘বিনা নোটিশে’ সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলার পেট্রোল পাম্পে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলছে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস, ডিস্ট্রিবিউটরস, এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজশাহী বিভাগীয় কমিটি ধর্মঘটের ঘোষণা দেয়।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে ধর্মঘট শুরু হওয়ায় পেট্রোল পাম্প বন্ধ রয়েছে। অন্যান্য জেলার মতো পাবনা জেলাতেও ধর্মঘট চলছে। ফলে তেল না পেয়ে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছেন যানবাহন চালক ও ক্রেতারা।

সকালে বিভিন্ন তেল পাম্প ঘুরে দেখা যায়, অনেকে পেট্রোল পাম্প বন্ধ ঘোষণার বিষয়টি আগে জানতে পারেননি। যেকারণে পাম্পে তেল নিতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান। অনেকে মোটরসাইকেল ঠেলে নিয়ে এসেও তেল পাননি। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তারা।

আরো পড়ুন:

ঢাকার প্রথম তেলের পাম্প

মোটরসাইকেল চালক আব্দুল হালিম জানান, তেল পাম্প বন্ধ তা তিনি জানেন না। এখন তেল নিতে এসে দেখেন পাম্প বন্ধ। এখন তো মহা মুশকিলে।

আরেক মোটরসাইকেল চালক সাইদুর রহমান জানান, মোটরসাইকেলের তেল শেষ হয়ে যাওয়ায় শহর থেকে ঠেলে নিয়ে এডওয়ার্ড কলেজের পাশে পাম্পে যান তেল নিতে। গিয়ে দেখেন তেল দেওয়া হচ্ছে না। তখন আবার গাড়ি ঠেলে নিয়ে বাসায় ফিরতে হয়েছে। 

লড়ি চালক মোকছেদ আলী জানান, গতরাতে গাড়ি নিয়ে শহরে এসেছেন। মালামাল নামিয়ে রাতে শহরে ছিলেন। সকালে জেনেছেন তেল পাম্প বন্ধ। এখন পাম্প না খেলা পর্যন্ত পাবনায় বসে থাকা ছাড়া আর উপায় নেই।

মেসার্স হাইওয়ে পেট্রোল সার্ভিসের ম্যানেজার সঞ্জয় কুণ্ডু জানান, মালিক পক্ষ ফোন করে সকাল ৮টা থেকে তেল পাম্প বন্ধ রাখতে বলেছেন। তাই তেল বিক্রি বন্ধ। কখন চালু হবে জানা নেই।

পাবনা পেট্রোলিয়ামের ম্যানেজার লিটন হোসেন জানান, নওগাঁতে সড়ক ও জনপদ বিভাগ উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে। সেখানে একটি পেট্রোল পাম্প নাকি ভেঙে দিয়েছে। তার প্রতিবাদে এই ধর্মঘট। তবে মালিক সমিতির সঙ্গে প্রশাসনের আলোচনার মাধ্যমে দ্রুতই সমাধান হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন। 

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস, ডিস্ট্রিবিউটরস, এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অভিযোগ করেন, গত ৪ ফেব্রুয়ারি নওগাঁর সড়ক ও জনপথ বিভাগ পূর্ব ঘোষণা, নোটিশ বা আনুষ্ঠানিক চিঠি না দিয়ে আকস্মিক উচ্ছেদ অভিযান চালান। তাতে পেট্রোল পাম্প মালিকেরা ক্ষুব্ধ। এর প্রতিবাদে ধর্মঘটের কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। এতে একযোগে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬ জেলার পেট্রোল পাম্প বন্ধ রয়েছে।

ঢাকা/শাহীন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ