ঢাকায় আ.লীগের লিফলেট বিতরণ, অংশ নিলো সরকারি কর্মকর্তাও
Published: 2nd, February 2025 GMT
অজ্ঞাত স্থান থেকে ঘোষিত আওয়ামী লীগের কর্মসূচির প্রথম দিনে লিফলেট বিতরণ করেছে দলটির কর্মীরা।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের প্রধান ফটকের সামনে ও আশপাশের এলাকায় পথচারী ও যাত্রীদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করে আওয়ামী লীগের কর্মীরা। দুপুর ১২টা পর্যন্ত কর্মসূচি পালন করে তারা।
লিফলেট বিতরণে অংশ নেন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আনোয়ার হোছাইন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মুকিব মিয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এস এম আব্দুর রহিম, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক এনামুল হক প্রিন্স, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক দিদার মুহাম্মদ নিজামুল হক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এম এম নাজমুল হাসান, সহ-সভাপতি হাসান আহমেদ খান, সাবেক উপ-মানবসম্পদ সম্পাদক কপিল হালদার সজল, আমিনুল ইসলাম, আব্দুস সামাদ লাভলু, আলী হোসেন, মাহমুদুল হাসান মামুনসহ অন্য নেতারা।
এর মধ্যে মুকিব মিয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী, বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের ৩১তম ব্যাচের কর্মকর্তা। লালমনিরহাটের পাটগ্রামের সরকারি জসমুদ্দিন কাজী আব্দুল গণি কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তিনি।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় টানা ১০ বছর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরে ছিলেন মুকিব। তার সহকর্মীরা জানিয়েছেন, সে সময়েও নিয়মিত আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে অংশ নিতেন তিনি। আওয়ামী লীগের পতনের পরও দলটির কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন মুকিব। এ কর্মকর্তাকে গত ৬ অক্টোবর নিরীক্ষা অধিদপ্তর থেকে হবিগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজে বদলি করা হয়। পরে গত ২১ অক্টোবর তাকে লালমনিরহাটের পাটগ্রামে বদলি করা হয়।
মুকিব মিয়া জানান, তিনি লিফলেট বিতরণ করে চাকরিবিধি লঙ্ঘন করেননি। তিনি বলেন, “ড.
চাকরিতে যোগ না দেওয়ার বিষয়ে মুকিব মিয়া জানান, ছুটির আবেদন করেছেন।
সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯-এর ২৫(১) ধারায় বলা হয়েছে, “সরকারি কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক দলের বা রাজনৈতিক দলের কোনো অঙ্গসংগঠনের সদস্য হতে অথবা অন্য কোনোভাবে যুক্ত হতে পারবেন না অথবা বাংলাদেশ বা বিদেশে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে বা কোনো প্রকারের সহায়তা করতে পারবেন না।”
এ ধারা লঙ্ঘনের শাস্তি চাকরিচ্যুতি।
আওয়ামী লীগ ড. মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে ১ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। প্রথম দিনের কর্মসূচিতে অংশ নিলেন আলোচিত মুকিব মিয়া।
ঢাকা/হাসান/টিপু
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র কর ম আওয় ম সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
এবার বিএসইসির সার্ভিলেন্স বিভাগে দুদকের অভিযান
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) আবারো অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানে সার্ভিলেন্স ও মনিটরিং বিভাগে এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে বলে দুদক সূত্র জানা গেছে।
সোমবার (১০ মার্চ) ঢাকার আগারগাঁওয়ে সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে বিএসইসির কার্যালয়ে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে এই অভিযান শুরু হয়েছে। দুইজন সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি টিম এই অভিযান পরিচালনা করছেন।
জানা গেছে, দুদকের তদন্ত দল প্রথমে এসেই বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরপর বিএসইসির সার্ভিলেন্স ও মনিটরিং বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগে অভিযান পরিচালনা করছেন।
এর আগে গত ২ মার্চ বিএসইসিতে অভিযান পরিচালনা করে দুদক। অভিযানকালে পাওয়া অনিয়মগুলো শিগগিরই কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে বলেও জানায় দুদক।
এর আগে অভিযানকালে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম ২০১০ সাল পরবর্তী দুই কমিশনের মেয়াদের অনিয়ম ও দুর্নীতির অনেক প্রমাণ পেয়েছেন বলে জানা গেছে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন কোম্পানির প্রসপেক্টাসে থাকা আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্যেও ম্যানিপুলেট করা হয়। আর্থিক অবস্থা দুর্বল থাকা কোম্পানিকে সবল দেখানো হয়। তারপর মার্কেটে ছাড়া হয় আইপিও। সেই কোম্পানি অব্যাহত প্রবৃদ্ধিও করেছে। তারপর একপর্যায়ে তাদের শেয়ারদর পড়তে শুরু করে। এতে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে বিভিন্ন সময় এসব কোম্পানির বিষয়ে সতর্ক করে সুপারিশ করা হলেও বিএসইসি তা আমলে নেয়নি।
এছাড়া, প্রাইভেট প্লেসমেন্ট জালিয়াতি ও বাণিজ্য, অধিক মূল্যে শেয়ার প্রাইস নিয়ে মার্কেটে প্রবেশ ও অল্প সময়ে শেয়ার বিক্রি, প্রাইসের দ্রুত অবনমনের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ার বিষয়টিও পরিলক্ষিত হয়েছে বলে দুদক জানায়।
দুদক জানিয়েছে, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনায় টিম আরো প্রত্যক্ষ করে যে দুর্বল কোম্পানিগুলোকে অবৈধভাবে অনুমোদন দেওয়ায় ক্যাপিটাল মার্কেটে প্রবেশের অল্পদিনেই তাদের লো পারফর্মিং কোম্পানি হিসেবে জেড ক্যাটাগরিভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া, জালিয়াতির মাধ্যমে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের প্রস্তুতকৃত উইন্ডো ড্রেসড ব্যালান্সশিট ও ফ্যাব্রিকেটেড আর্নিং রিপোর্ট ও ইস্যু ম্যানেজারের তৈরীকৃত ওভারভ্যালুড কোম্পানি প্রোফাইলের পরিপ্রেক্ষিতে অনিয়মের আশ্রয়ে বিএসইসি আইপিওর অনুমোদন দিয়েছে। প্রাপ্ত অনিয়মগুলোর বিষয়ে দুদক টিম প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে কমিশন বরাবর একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে।
ঢাকা/এনটি/ইভা