অজ্ঞাত স্থান থেকে ঘোষিত আওয়ামী লীগের কর্মসূচির প্রথম দিনে লিফলেট বিতরণ করেছে দলটির কর্মীরা। 

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের প্রধান ফটকের সামনে ও আশপাশের এলাকায় পথচারী ও যাত্রীদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করে আওয়ামী লীগের কর্মীরা। দুপুর ১২টা পর্যন্ত কর্মসূচি পালন করে তারা।

লিফলেট বিতরণে অংশ নেন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আনোয়ার হোছাইন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মুকিব মিয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এস এম আব্দুর রহিম, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক এনামুল হক প্রিন্স, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক দিদার মুহাম্মদ নিজামুল হক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এম এম নাজমুল হাসান, সহ-সভাপতি হাসান আহমেদ খান, সাবেক উপ-মানবসম্পদ সম্পাদক কপিল হালদার সজল, আমিনুল ইসলাম, আব্দুস সামাদ লাভলু, আলী হোসেন, মাহমুদুল হাসান মামুনসহ অন্য নেতারা।

এর মধ্যে মুকিব মিয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী, বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের ৩১তম ব্যাচের কর্মকর্তা। লালমনিরহাটের পাটগ্রামের সরকারি জসমুদ্দিন কাজী আব্দুল গণি কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তিনি।  

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় টানা ১০ বছর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরে ছিলেন মুকিব। তার সহকর্মীরা জানিয়েছেন, সে সময়েও নিয়মিত আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে অংশ নিতেন তিনি। আওয়ামী লীগের পতনের পরও দলটির কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন মুকিব। এ কর্মকর্তাকে গত ৬ অক্টোবর নিরীক্ষা অধিদপ্তর থেকে হবিগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজে বদলি করা হয়। পরে গত ২১ অক্টোবর তাকে লালমনিরহাটের পাটগ্রামে বদলি করা হয়।

মুকিব মিয়া জানান, তিনি লিফলেট বিতরণ করে চাকরিবিধি লঙ্ঘন করেননি। তিনি বলেন, “ড.

ইউনূস সংবিধান লঙ্ঘন করছেন, এর প্রতিবাদ করছি। আওয়ামী লীগও প্রতিবাদ করছে। তাই আওয়ামী লীগের লিফলেট আমার নেতৃত্বে বিতরণ করেছি। এতে চাকরিবিধি লঙ্ঘন হয়নি। আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিয়েছে, এ দলের লিফলেট বিতরণ করা আমার অধিকার।” 

চাকরিতে যোগ না দেওয়ার বিষয়ে মুকিব মিয়া জানান, ছুটির আবেদন করেছেন।

সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯-এর ২৫(১) ধারায় বলা হয়েছে, “সরকারি কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক দলের বা রাজনৈতিক দলের কোনো অঙ্গসংগঠনের সদস্য হতে অথবা অন্য কোনোভাবে যুক্ত হতে পারবেন না অথবা বাংলাদেশ বা বিদেশে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে বা কোনো প্রকারের সহায়তা করতে পারবেন না।” 

এ ধারা লঙ্ঘনের শাস্তি চাকরিচ্যুতি।

আওয়ামী লীগ ড. মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে ১ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। প্রথম দিনের কর্মসূচিতে অংশ নিলেন আলোচিত মুকিব মিয়া।

ঢাকা/হাসান/টিপু

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র কর ম আওয় ম সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট বিশ্বমঞ্চে দেশের সম্ভাবনা তুলে ধরার অসামান্য উদ্যোগ

দেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে ঢাকায় গত সোমবার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলন শুরু হয়েছে। ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট–২০২৫’ শীর্ষক এ বিনিয়োগ সম্মেলনের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। এ সম্মেলন আজ বুধবার শেষ হবে।

এ সম্মেলন নিয়ে এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যাসোসিয়েশন (বিহা)–এর সভাপতি খালেদ উর রেহেমান বলেছেন, এ সম্মেলন নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ইনভেস্টমেন্ট সামিট। ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট–২০২৫’ বিশ্বমঞ্চে দেশের সম্ভাবনা তুলে ধরার এক অসামান্য উদ্যোগ, যা নতুন দিগন্তের সূচনা করবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের হসপিটালিটি ও ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রি আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম চালিকা শক্তি। এ খাত শুধু বিদেশি পর্যটক বা ব্যবসায়ীদের স্বাগত জানাচ্ছে না; বরং দেশের বেসরকারি খাত থেকে উন্নয়নে সরাসরি অবদান রাখছে। বিআইএইচএর আওতাধীন সব হোটেল সদস্য বর্তমানে বাংলাদেশে আসা সব বিদেশি অতিথি, বিনিয়োগকারী ও পর্যটকদের সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। এ হোটেলগুলো দেশের সম্মান ও আস্থা বৃদ্ধি করছে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে এবং বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিবেশকে আরও দৃঢ় করছে। তবে এই খাতে টেকসই ও ব্যাপক অগ্রগতির জন্য সরকারের সহানুভূতিশীল সহযোগিতা, বিনিয়োগবান্ধব নীতিমালা ও প্রণোদনা প্রয়োজন। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে হলে এই খাতের প্রতি সরকারের দৃষ্টি ও সহায়তা অত্যন্ত জরুরি। এই সম্মেলন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। বিশ্বকে এখনই আমন্ত্রণ জানাতে হবে—বাংলাদেশে আসুন, আমাদের সম্ভাবনা দেখুন, আমাদের অংশীদার হোন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ