মঞ্চের সামনে তরুণী ভক্তের সেলফি তোলার আবদার মেটান ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী উদিত নারায়ণ। সেলফি তোলার পর উদিতের গালে চুমু খান ওই তরুণী। এরপর তরুণীর ঠোঁটে চুমু খেতে দেখা যায় এই গায়ককে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি ভিডিওতে এমন দৃশ্য দেখা যাচ্ছে।

ঊনসত্তরের উদিতের এমন কাণ্ডে অনেকে হতবাক। আবার কেউ কেউ বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন— এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ফসল। তবে সব সন্দেহ উড়িয়ে উদিত স্বীকার করেছেন ভিডিওটি তারই। পাশাপাশি পুরো ব্যাপারটি নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন বরেণ্য এই শিল্পী।

ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে উদিত নারায়ণ বলেন, “এই ঘটনা কিন্তু কয়েক মাস আগের। নতুন করে কেন ভাইরাল করা হলো, বুঝতে পারছি না! সম্ভবত কেউ আমাকে কলঙ্কিত করতেই বিষয়টি ঘটিয়েছেন।”

আরো পড়ুন:

বরগুনায় সেতু ভেঙে খালে, হাজারো মানুষের ভোগান্তি

গায়িকা-অভিনেত্রী মারিয়ান ফেইথফুল আর নেই

খানিকটা সময় নিয়ে হাসতে হাসতে উদিত নারায়ণ বলেন, “এতে শাপে বর হয়েছে, উল্টো আমার জনপ্রিয়তা আরো বেড়েছে।”

আপনার এ ঘটনা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। এ তথ্য জানানোর পর উদিত নারায়ণ বলেন, “আরে এই ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও এ রকম হয়েছে। অনুরাগিনীকে চুম্বন করেছি। সবটাই জনপ্রিয়তার কারণে। অনেকের অনেক রকম আবদার থাকে। পূরণ করি, পূরণ করতে হয়। দর্শক-শ্রোতাদের জন্যই তো আমরা আছি।”

ভক্তকে চুমু খাওয়ার বিষয়টি পরিবার জানে কিনা? এ প্রশ্নের জবাবে উদিত নারায়ণ বলেন, “মঞ্চের আশেপাশে অনেক সময় আমার স্ত্রী দীপা থাকে, ছেলে আদিত্য থাকে। সেদিনও আদিত্য মঞ্চে ছিল। ওর সামনেই সব ঘটেছে। কিচ্ছু মনে করে না ওরা। আমার জনপ্রিয়তায় ওরা খুব খুশি।”

সেলফি তুললে কি চুমু ফ্রি? এ প্রশ্ন রাখা হলে উদিত নারায়ণের কণ্ঠ গম্ভীর হয়ে যায়। তিনি বলেন, “বিষয়টি খামোখা কুৎসিতভাবে দেখানোর চেষ্টা চলছে। আমাদের হাতের পাতায় এভাবে কত ভক্ত চুমু খান। আমরাও করে থাকি। গালেও চুম্বন করা হয়। ঠোঁটে চুমু খাওয়া মানেই কিন্তু খারাপ নয়; এতে কোনো পাপ নেই।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জনপ র য় ব ষয়ট

এছাড়াও পড়ুন:

কানাডায় শুরু হলো মার্কিন পণ্য বয়কট, কতটা ক্ষতি হবে মার্কিন কোম্পানির

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে কানাডায়। কানাডাবাসীদের ক্ষোভের কারণে সে দেশে মার্কিন কোম্পানির ব্যবসা মার খাবে বলে আশঙ্কা।

কানাডার পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত ২ এপ্রিল পর্যন্ত সাময়িক স্থগিত রেখেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু ইতিমধ্যে কানাডায় যুক্তরাষ্ট্রের অনেক পণ্য, বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের পানীয়ের বিক্রি বন্ধ হয়ে গেছে। খবর সিএনবিসির

আশঙ্কা করা হচ্ছে, কানাডার ক্রেতাদের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার মুখে পড়তে পারে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিপণ্য, মাংস ও গাড়ি। মার্কিন হোটেল ও বিমান পরিবহন কোম্পানিগুলোও চাপের মুখে পড়তে পারে। এর ফলে কানাডায় যুক্তরাষ্ট্রের বিলাসী পণ্যের বিক্রি মার খেতে পারে। বহুল পরিচিত ব্র্যান্ডগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কানাডার বিতরণ থেকে মার্কিন পণ্যের ব্র্যান্ডগুলো সরানোর সিদ্ধান্ত ‘বাই কানাডীয় সেন্টিমেন্ট বা কানাডার পণ্য কিনুন—এই অনুভূতির পালে হাওয়া দেবে।

জ্যাক ড্যানিয়েলসের মূল কোম্পানি ব্রাউন ফরম্যানের প্রধান নির্বাহী লসন হুইটিং জানিয়েছেন, কানাডার অনেক বিপণিবিতানের তাক থেকে এই হুইস্কি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তিনি মনে করছেন, এই ঘটনা পাল্টা শুল্ক আরোপের চেয়ে বেশি খারাপ। সম্প্রতি তিনি বলেছেন, এটা বিক্রি একেবারে বন্ধ করে দেওয়া ২৫ শতাংশ শুল্কের প্রতিবাদে যা একেবারেই অসামঞ্জস্যপূর্ণ।

জ্যাক ড্যানিয়েলসের মোট বিক্রির মাত্র ১ শতাংশ হয় কানাডায়। তাই এই প্রতিক্রিয়া সামলে নেওয়া যাবে বলে জানিয়েও হুইটিং বলছেন, ‘কানাডার কিছু ক্রেতা জ্যাক ড্যানিয়েলসের বোতল কিনতে পারবেন না। কানাডায় জ্যাক ড্যানিয়েলস বড় ও জনপ্রিয় ব্র্যান্ড। তাই দেখতে হবে, এটা কীভাবে ও কত দিন চলে। ক্যালিফোর্নিয়ার ওয়াইন শিল্পও কানাডার গ্রাহকদের প্রত্যাঘাত নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন।

ওয়াইন ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট ও সিইও রবার্ট পি কচ বলেন, মার্কিন ওয়াইনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাজার হচ্ছে কানাডা। কানাডায় বছরে ১ দশমিক ১ বিলিয়ন বা ১১০ কোটি ডলারের বেশি খুচরা ওয়াইন বিক্রি হয়। শুল্ক ও শুল্কের হুমকি এমন কঠিন সময়ে এসেছে, যখন এই শিল্প নজিরবিহীন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন।

পরামর্শক সংস্থা কিয়ার্নির জ্যেষ্ঠ অংশীদার গ্রেগ পর্টেল জানিয়েছেন, কানাডার পণ্য বয়কট অন্যান্য মার্কিন কোম্পানিও চিন্তিত। তিনি বলেন, ‘উদ্ভূত বাণিজ্যযুদ্ধের পরিস্থিতিতে মার্কিন কোম্পানিগুলোর জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে অস্বস্তি তৈরি করছে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিক্রি বন্ধ হয়ে যাওয়াটা কখনোই ভালো নয়। আর তা যদি সংশ্লিষ্ট কোম্পানির নিয়ন্ত্রণের বাইরে অন্য কারণে হয়, তা আরও সমস্যার।

তথ্যানুসারে, কানাডার মোট ভোগ্যপণ্য আমদানির একটা বড় অংশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে এলেও বেশির ভাগ মার্কিন কোম্পানির মোট রপ্তানিতে কানাডার অংশীদারি তেমন একটা নয়। এখন কানাডার মানুষ রেগে গিয়ে কোলগেট টুথপেস্ট বয়কট করলে গ্রিন বেভারের মতো কানাডীয় ব্র্যান্ড লাভবান হবে। তবে কোলগেট-পালমোলিভেরর মোট ব্যবসার মাত্র ২৫ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রসহ গোটা উত্তর আমেরিকা থেকে আসে। তাই কোনো একটি দেশে বয়কটের ডাক দেওয়া হলে যুক্তরাষ্ট্রের বড় ভোগ্যপণ্য কোম্পানিগুলোর ব্যবসায় খুব একটা প্রভাব পড়ার কথা নয়।

তবে অনেক দেশ একযোগে মার্কিন পণ্য বয়কটের রাস্তায় হাঁটলে বা শুল্ক বাড়ালে মার্কিন কোম্পানিগুলো ক্ষতির মুখে পড়বে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ