ঘন কুয়াশায় দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, চালক নিহত
Published: 2nd, February 2025 GMT
জয়পুরহাট ঘন কুয়াশায় দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এনামুল হক (৩৫) নামে এক ট্রাকচালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অপর ট্রাকের চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছেন।
রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জয়পুরহাট-বগুড়া মহাসড়কে কালাই পৌরশহরের ঠুশিগাড়ী (ব্র্যাক অফিস) এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া ট্রাকের ক্যাবিন থেকে নিহত চালকের লাশ উদ্ধার করে।
নিহত ট্রাকচালক এনামুল হক জয়পুরহাট শহরের একাডেমি নগর মহল্লার মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঘন কুয়াশার মধ্যে সব যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে মহাসড়কে চলাচল করছে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কালাই পৌরশহরের ঠুশিগাড়ি এলাকায় ব্র্যাক অফিসের সামনে বালু ও সিমেন্ট বোঝাই দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় দুই ট্রাকের ক্যাবিন দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
বালু বোঝাই ট্রাকের চালক ও সহকারী পালিয়ে গেলেও সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকের চালক স্টিয়ারিংয়ের চাপে আটকে মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে ক্যাবিন কেটে নিহত চালককে বের করেন।
ওসি জাহিদ হোসেন বলেন, নিহতের পরিবারের লোকজন থানায় আসলে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। অভিযোগ পেলে অপর ট্রাকের চালক ও সহকারীকে আইনের আওতায় আনা হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে সমস্যা বোধ করছি না: বাণিজ্য উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলছেন, ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের কারণে আমরা কোনো সমস্যা বোধ করছি না।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশের পণ্য তৃতীয় দেশে যাওয়ার ব্যবস্থা ট্রান্সশিপমেন্ট গতকাল মঙ্গলবার বাতিল করেছে ভারত।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উপদেষ্টা বলেন, “এটা (ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল) আমাদের ওপর হঠাৎ করে আরোপিত হয়েছে। সাথে সাথেই আমাদের সব অংশীজন নিয়ে গতকাল আমি মিটিং করেছি। এটাতে আমরা কোনো সমস্যা বোধ করছি না। আমাদের নিজস্ব সক্ষমতা, প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় যাতে কোনো ঘাটতি না হয় এবং আমাদের রপ্তানির ক্ষেত্রে যাতে যোগাযোগের কোনো ঘাটতি না পড়ে, সেক্ষেত্রে আমরা সব ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমি আশা করি, এটা আমরা উতরে যাব।”
কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এ প্রশ্নের জবাবে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “আমি এই মুহূর্তে আপনার সঙ্গে শেয়ার করব না। প্রতিযোগিতায় আমাদের যে প্রতিবন্ধকতাগুলো আছে, সেগুলো কিছু কাঠামোগত, কিছু খরচের দিক থেকে—সব জিনিস সমন্বয় করে আমরা সক্ষমতা বৃদ্ধি করব। আমি এখানে কোনো সমস্যা দেখছি না।”
ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল বিষয়ে আপনারা ভারতকে কোনো চিঠি দেবেন কি না, জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, “আমরা এই মুহূর্তে বিবেচনা করছি না।”
ভারতের দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধায় কী পরিমাণ পণ্য রপ্তানি হয়, জানতে চাইলে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “আমাদের এখান থেকে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টনের মতো ম্যাটেরিয়াল সড়ক পথে এখান থেকে ভারতের বিভিন্ন বন্দর বিশেষ করে দিল্লি, কলকাতা বন্দরের মাধ্যমে রপ্তানি হতো। আমরা আশা করি, এই ম্যাটেরিয়ালগুলো বহনের জন্য নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এ সমস্যা অতিদ্রুত সমাধান করব। সাধারণত ইউরোপিয়ান দেশগুলোতে পণ্যগুলো যেত।”
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক স্থগিতের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ, ভেরি গুড। আমাদের বাণিজ্যের মধ্যে স্থিরতা দেখা দেবে। গতকাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসটিআরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমাদের মিটিং হয়েছে অনলাইনে। আমরা আমাদের কর্মসমষ্টিগুলো নিয়ে কাজ করছি। আমরা দ্রুত যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে আমাদের অবস্থান তুলে ধরব।”
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “স্থগিতাদেশ তো সাময়িক সময়ের জন্য। এ বিষয়ে আমাদের দীর্ঘ মেয়াদে করণীয় আছে। তাদের আকাঙ্ক্ষা তো শেষ হয়ে যায়নি। সেই আকাঙ্ক্ষাগুলোকে আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ওপর ভিত্তি করে কতটুকু করতে পারব, সেই বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করছি এবং সেই অনুযায়ী আমরা সিদ্ধান্ত নেব।”
তিনি বলেন, “মূল লক্ষ্য হচ্ছে—বাণিজ্য ঘাটতি কীভাবে সমন্বয় করা যায়। আমরা সে লক্ষ্য অর্জনেই কাজ করছি।”
ঢাকা/হাসনাত/রফিক