লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে বোল্ডার (পাথর) আমদানি সাময়িক বন্ধ করেছে বুড়িমারী স্থলবন্দরের আমদানিকারকেরা। শনিবার পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ভারত ও ভুটান থেকে পাথর আমদানি সাময়িক বন্ধ রাখেন ব্যবসায়ীরা। তবে অন্যান্য পণ্য আমদানি ও সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। বোল্ডারের আমদানি মূল্য কমানোর দাবিতে‌ বন্দরের ব্যবসায়ীরা বোল্ডার (পাথর) আমদানি সাময়িক বন্ধ করেন।

এ বিষয়ে বুড়িমারী স্থলবন্দরের সিএন্ড এফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এ এস এম নিয়াজ নাহিদ বলেন, আমরা মূলত কাস্টমস ক্লিয়ারিং করি। আমদানিকারকেরা সাধারণত পাথর আমদানি করে। আমদানিকারকের যৌক্তিক দাবিগুলো সহযোগিতা করা প্রযোজন। আজকে থেকে পাথর আমদানি সাময়িক বন্ধ করা রয়েছে। আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকের মধ্যে যতক্ষণ না সঠিক সমাধান হবে ততক্ষণ পর্যন্ত পাথর আমদানি সাময়িক বন্ধ থাকবে।

বুড়িমারী স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফারুক হোসেন বলেন, পাথরের রেট কমালে আমরা নেব। যতদিন ওরা আমাদের রেট মানবে না ততদিন পর্যন্ত সাময়িক পাথর আমদানি বন্ধ থাকবে। অন্যান্য আইটেম চালু আছে। ওরা অযথা ট্রাক ভাড়া বেশি ধরে আমাদের কাছ ৩ থেকে ৪ ডলার নেয়।

এ বিষয়ে বুড়িমারী স্থলবন্দরে আমদানিকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি সভাপতি আবু রাইয়ান আশয়ারী রছি জানান, কিছুদিন ধরে আমরা ভুটান থেকে স্টোন
বোল্ডার তোর্শা প্রতি মেট্রিকটন ১৬ ডলারে আমদানি করে আসছি এবং ভারত থেকে ১০ ডলারে আমদানি করছি। দেখা যাচ্ছে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে যে বিক্রয় মূল্য দাঁড়ায় তা আমাদের জন্য ব্যবসা পরিচালনা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে আমদানি মূল্য প্রতি মেট্রিক টন ভুটান থেকে স্টোন বোল্ডার তোর্শা ১৫ ডলার এবং সামসি ১৪ ডলারে ও ভারত থেকে স্টোন বোল্ডার তোর্শা ১০ ডলারের বেশি হলে বুড়িমারী স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে। প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকতে পাথরের আমদানি মূল্য কমানোর দাবিতে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সকল প্রকার পাথর আমদানি সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার (এসি) রাহাত হোসেন বলেন, আমাদের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। পাথর আমদানি বন্ধের বিষয়ে আমদানিকারকরা বলতে পারবেন। এই বিষয়ে আমাদের কোননো মন্তব্য নেই। যদি ইমপোর্ট করে তখন আমরা জানতে পারবো। বোল্ডার আমদানি বন্ধ সেটা ইমপোর্ট এক্সপোর্টারের বিষয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র র আমদ ন

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হলো ১০০ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ১০০ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল আমদানি হয়েছে। শেখ ট্রেডার্স নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চালগুলো আমদানি করে। সোমবার দুপুরে স্থলবন্দরের ইয়ার্ডে এসব চাল আনলোড করা হয়।

বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ জানান, শনিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৫ মেট্রিক টন করে চারটি ট্রাক বন্দরের ইয়ার্ডে প্রবেশ করে। এর আগে, চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি এবং ২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর ও ৮ ডিসেম্বর পৃথক দফায় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে আতপ চাল আমদানি হয়েছিল।

তিনি আরও জানান, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর মূলত ৯৫% পাথর আমদানির ওপর নির্ভরশীল হলেও বর্তমানে চালসহ অন্যান্য খাদ্যপণ্যও নিয়মিত আমদানি হচ্ছে। শেখ ট্রেডার্সসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠান এসব চাল আমদানি করছে।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা উজ্জল হোসেন জানান, ভারত থেকে আমদানি করা ১০০ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল বন্দরে পৌঁছানোর পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। নিয়মিত এভাবে চালসহ অন্যান্য খাদ্যপণ্য আমদানি করা হলে দেশের বাজারে ভোগ্যপণ্যের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের আহ্বায়ক রেজাউল করিম শাহিন বলেন, ‘‘বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর ভৌগলিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে বন্দরটি দিয়ে চাল আমদানি হচ্ছে, যা বাজারের স্থিতিশীলতায় ভূমিকা রাখবে। আমরা আরও কী কী পণ্য আমদানি করা যায়, সে বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করছি এবং তাদের উৎসাহিত করছি।’’

চালের পাশাপাশি অন্যান্য পণ্য আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হলে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দেশের অর্থনীতিতে আরও ইতিবাচক অবদান রাখতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাংলাবান্ধা দিয়ে ভারত থেকে এলো আরো ১২৫ টন চাল
  • বাংলাবান্ধা দিয়ে এল ১০০ টন সিদ্ধ চাল 
  • বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হলো ১০০ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল