গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রথম ধাপের আখেরি মোনাজাত শেষে বাড়ি ফিরছেন মুসল্লিরা। কেউ বাসে, কেউ ট্রেনে, কেউবা বাড়ি ফিরছেন হেঁটে। এতে টঙ্গীর তুরাগতীর ও আশপাশের এলাকায় দেখা দিয়েছে মানুষের ভিড়। যান চলাচলে দেখা দিয়েছে চরম ধীরগতি।

গত বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলার আম বয়ানের মধ্য দিয়ে বিশ্ব ইজতেমার ৫৮তম জমায়েত শুরু হয়। এ পর্বে অংশ নিয়েছেন মাওলানা জুবায়ের অনুসারীরা।

রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় প্রথম পর্বের ইজতেমা। মোনাজাতে বিশ্ব মুসলমানদের শান্তি কামনা করা হয়।

মোনাজাত শেষে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, ঢাকা-আশুলিয়া সড়ক, টঙ্গী-ঘোড়াশাল আঞ্চলিক সড়ক, টঙ্গীর কামারপাড়া-মন্নুগেট সড়কসহ আশপাশের সড়ক ও অলিগলিতে মানুষের ঢল নামে। মুসল্লিদের চলাচলের সুবিধার্থে গতকাল রাত ১০টার পর থেকেই এই সড়কগুলোয় যান চলাচল সীমিত রাখে গাজীপুর ট্রাফিক পুলিশ।

আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে আজ ভোর থেকেই মুসল্লিদের ঢল নামে। অনেকে ১০ কিলোমিটার হেঁটে ইজতেমা মাঠে আসেন।

এবার ইজতেমার প্রথম পর্ব হচ্ছে দুই ধাপে। এর মধ্যে, ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রথম ধাপের ইজতেমা। এ ধাপে অংশগ্রহণ করছেন ৪১ জেলা ও ঢাকার একাংশের মানুষ।

এরপর ৩ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি হবে দ্বিতীয় ধাপের ইজতেমা। তাতে অংশগ্রহণ করবেন ২২ জেলা ও ঢাকার বাকি অংশের মানুষ। দ্বিতীয় ধাপের আখেরি মোনাজাত হবে ৫ ফেব্রুয়ারি। দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা হবে ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

ঢাকা/রেজাউল/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ইজত ম প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

চেয়ারম্যানকে ধরতে গিয়ে স্থানীয়দের হামলায় আহত ৩ পুলিশ

হাটহাজারী উপজেলার ধলই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল মনসুরকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে স্থানীয়দের তোপের মুখে পড়েছে ডিবি পুলিশের কয়েকজন সদস্য। এ সময় তিন পুলিশ গুরুতর আহত হয়।

বুধবার বিকেল ৩টার দিকে ধলই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ওই চেয়ারম্যানকে ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার করে। 

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ বুধবারও ধলই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল মনসুরকে গ্রেপ্তার করতে দুপুর দেড়টার দিতে হাইচ গাড়ি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে ঘিরে ফেলে ডিবি পুলিশের একটি টিম। আবুল মনসুরকে গ্রেপ্তার করে গাড়িতে তোলার পর স্থানীয়রা রাস্তায় নেমে আসে। একপর্যায়ে তারা পুলিশের গাড়ি থেকে চেয়ারম্যানকে ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশের ওপর হামলা করে অস্ত্র ছিনিয়ে নেয় উত্তেজিত জনতা। পরে চট্টগ্রাম খাগড়াছড়ি মহাসড়কের কাটিরহাট বাজারে সড়ক অবরোধ করে তারা। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক করে।

এ বিষয়ে জানার জন্য মডেল থানার ওসি আবু কাওসার মাহমুদ হোসেন ও ওসি (তদন্ত) মোস্তাককে একাধিকবার ফোন করে পাওয়া যায়নি।

হাটহাজারী মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার নাজমুল হোসেন বলেন, ধলই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে পুলিশ। আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। বিস্তারিত পরে জানাব।

সম্পর্কিত নিবন্ধ