চট্টগ্রামে মিছিলের প্রস্তুতিকালে ছাত্রলীগের ১০ জন গ্রেপ্তার
Published: 2nd, February 2025 GMT
চট্টগ্রামের সদরঘাট থানার নেপাল-২ এলাকায় মিছিলের প্রস্তুতিকালে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন– সাব্বির হোসেন (২৩), মোহাম্মদ সাজিদ ইরফান (২০), কামরুল ইসলাম ওয়াসিম (১৯), সাজ্জাদ হোসেন মারুফ (২০), আবু বক্কর সিদ্দিক (২৩), মোহাম্মদ শাহিদ সাব্বির (২২), তন্ময় দাস (২৩), নিলয় শীল (২৩), কৌশিক ধর (২২) ও সোলেমান আহমেদ (২৫)।
সদরঘাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিব সাত্তি বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদরঘাট থানাধীন নেভাল-২তে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখানে চট্টগ্রাম মহানগর মুক্তিযুদ্ধ ছাত্রমঞ্চের সক্রিয় নেতা সাব্বিরের নেতৃত্বে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মীদের মিছিলসহ সন্ত্রাসী কার্যক্রমের প্রস্তুতিকালে ১০ জনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
ঢাকা/রেজাউল/ইমন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ জনসহ সবাই খালাস
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুনসাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ জনসহ সাজাপ্রাপ্ত সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলাম ও বিচারপতি হামিদুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে আসামিদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ।
এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি এ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষ হয়।
তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনযোগে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। পথে সভা করার কথা থাকলেও বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টুসহ তার নেতৃত্বে মামলার অন্যান্য আসামিরা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঈশ্বরদী স্টেশন এলাকায় ট্রেনে গুলি ও বোমা বর্ষণ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
এ ঘটনায় ঈশ্বরদী জিআরপি থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ওইদিনই একটি মামলা করেন। পরে মামলাটির তদন্ত শুরু করে সিআইডি। ১৯৯৭ সালের ৩ এপ্রিল ৫২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। এদের মধ্যে পাঁচজন মারা গেলে তাদের চার্জশিট থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ২০১৯ সালে ৩ জুলাই জাকারিয়া পিন্টুসহ ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। সেই সঙ্গে ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৩ জনকে ১০ বছর মেয়াদ কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়।
পরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি খালাস চেয়ে আপিল করেন আসামিরা।
এম জি