চট্টগ্রামের সদরঘাট থানার নেপাল-২ এলাকায় মিছিলের প্রস্তুতিকালে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন– সাব্বির হোসেন (২৩), মোহাম্মদ সাজিদ ইরফান (২০), কামরুল ইসলাম ওয়াসিম (১৯), সাজ্জাদ হোসেন মারুফ (২০), আবু বক্কর সিদ্দিক (২৩), মোহাম্মদ শাহিদ সাব্বির (২২), তন্ময় দাস (২৩), নিলয় শীল (২৩), কৌশিক ধর (২২) ও সোলেমান আহমেদ (২৫)। 

সদরঘাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিব সাত্তি বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদরঘাট থানাধীন নেভাল-২তে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখানে চট্টগ্রাম মহানগর মুক্তিযুদ্ধ ছাত্রমঞ্চের সক্রিয় নেতা সাব্বিরের নেতৃত্বে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মীদের মিছিলসহ সন্ত্রাসী কার্যক্রমের প্রস্তুতিকালে ১০ জনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

ঢাকা/রেজাউল/ইমন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বুড়িগঙ্গায় সাকার ফিশ ‘সাফা কইরা দিছেন’ একজন মাঝি

রাজধানীর সদরঘাটে বুড়িগঙ্গা নদীতে যাত্রী পারাপার করান নৌকার মাঝি খলিলুর রহমান (৪২)। বুড়িগঙ্গায় এখন সাকার ফিশ পাওয়া যায় কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বললেন, সাকার ফিশ অনেকটাই কমে গেছে।

সাকার ফিশে ভরা ছিল দেশের অত্যন্ত দূষিত নদী হিসেবে পরিচিত বুড়িগঙ্গা। সে নদী থেকে এত সাকার ফিশ কোথায় গেল, জানতে চাইলে খলিলুর রহমান সঙ্গে সঙ্গে বলেন ফজলু মিয়ার কথা।

‘ফজলু একাই সব সাফা কইরা দিছেন,’ বলেন খলিল। ফজলু মিয়াকে কোথায় পাওয়া যাবে, তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাঁকে পাওয়া যাবে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বুড়িগঙ্গার পাড়সংলগ্ন বেবি সাহেবের ঘাটে।

খলিলের নৌকা নিয়েই ৭ মার্চ দুপুর ১২টার দিকে রওনা দিলাম ফজলু মিয়ার সন্ধানে। সদরঘাটে নোঙর করা বড় সব লঞ্চের ফাঁকফোকর দিয়ে খলিলের নৌকা চলা শুরু করল। ২০ মিনিট পর পৌঁছে গেলাম বেবি সাহেবের ঘাট এলাকায়, যেটি সদরঘাট থেকে বাঁ দিকে কিছু দূরে। ঘাটে গিয়ে খলিল একটি নৌকা দেখিয়ে বললেন, এটি ফজলুর। কিন্তু তিনি নেই।

ফজলুর সন্ধানে এসেছি, সেটা জানার পরে আশপাশের মাঝিরা বললেন, ‘ফজলু এখন ভাইরাল।’ অর্থাৎ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে ফজলুর কীর্তি। মাঝিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বুড়িগঙ্গায় যাঁরা সাকার ফিশ ধরেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ফজলু। দিনের পর দিন তাঁর মতো কেউ সাকার ফিশ ধরেনি।

মাঝিদের কয়েকজন জানান, ফজলু তাঁর বাসায় আছেন। জুমার নামাজের পরে দেখা দেখা পাওয়া যেতে পারে, এমনটা জানালেন তাঁরা। কেউ একজন খবর পাঠিয়েছেন ফজলুর বাসায়।

বেলা দুইটার আগে ফজলুর দেখা পাওয়া গেল ঘাটে আসার সরু পথে। কাছে এসে হাসিমুখে বললেন, ‘আমি ভাইরাল ফজলু।’

সাকার ফিশের মতো মাছ কেন ধরতে গেলেন, তা জানতে চাইলে ফজলু মিয়া (৪০) প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাগে, ক্ষোভে।’

বুড়িগঙ্গার মাঝি ফজলু মিয়া গত এক বছর ধরে নিয়মিত সাকার ফিশ ধরে যাচ্ছেন। যার ফলে সাকার ফিসের উপদ্রব কমে আসছে বলে জানিয়েছে ঢাকা জেলা মৎস্য অফিস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কেরানীগঞ্জে অন্তঃসত্ত্বা নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
  • বুড়িগঙ্গায় সাকার ফিশ ‘সাফা কইরা দিছেন’ একজন মাঝি
  • সদরঘাটে অপূর্ব, ফারিণের দৌড়...