পুলিশ ও ‘কানা জহির’ গ্রুপের গোলাগুলি, আহত ২
Published: 2nd, February 2025 GMT
মুন্সীগঞ্জ সদরের মেঘনা নদীতে পুলিশের সঙ্গে কানা জহির গ্রুপের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশের গুলিতে কানা জহির ও মাসুদ সিকদার নামের দুই ডাকাত আহত হয়েছেন। এসময় ৪টি ককটেল, ১ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, একটি করে চাইনিজ কুড়াল ও স্পিডবোট জব্দ করে পুলিশ। শনিবার বিকেলে ৩টার দিকে সদর উপজেলার কালীরচর গ্রামের অদূরে মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি এম সাইফুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে মেঘনার নৌ-ডাকাত কানা জহির ও তার বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তারের উদ্দেশে কালীরচর গ্রামের বাচ্চু মেম্বারের বাড়ি সংলগ্ন মেঘনা নদীতে অভিযান চালায় পুলিশ। তারা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গ্রুপের প্রধান নৌ-ডাকাত কানা জহিরসহ ৫ সহযোগী স্পিডবোটে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় পুলিশ তাদের পিছু নেয়। একপর্যায়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে ডাকাতরা। এ সময় পাল্টা গুলি ছোড়ে পুলিশও।
তিনি আরও জানান, পুলিশের গুলিতে কানা জহির ও তার সহযোগী মাসুদ গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তবে তারা পার্শ্ববর্তী টঙ্গীবাড়ি উপজেলার হাসাইল গ্রামের খালে ঢুকে পড়ে। পরে স্পিডবোট ফেলে রেখে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আহত
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে ট্রাফিককে মারধর করায় ছাত্রদল নেতা আটক
ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবলকে মারধর করায় অভিযোগ এনে যশোর সরকারি সিটি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শাওন ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী কনস্টেবল বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন।
থানা–পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে ট্রাফিক পুলিশ সদস্য (কনস্টেবল নম্বর ১৭১১) শরিফুল ইসলাম যশোর শহরের জেল সড়কে ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এসময় রাস্তার ওপর মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন ছাত্রদল নেতা শাওন। রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হলে ওই পুলিশ সদস্য তাকে মোটরসাইকেলটি সরিয়ে নিতে বলেন।
এসময় শাওনের সঙ্গে পুলিশ সদস্য শরিফুলের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শাওন ওই কনস্টেবলের মুখে ঘুষি মারেন। ধস্তাধস্তিতে শরিফুলের পোশাকও ছিঁড়ে যায়। পরে ট্রাফিক পুলিশের অন্য কয়েকজন সদস্য ঘটনাস্থলে এসে শাওনকে আটক করে কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করেন।
এ বিষয়ে জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মাফুজুর রহমান বলেন, ‘‘সড়কের ওপর ছাত্রদল নেতা শাওন মোটরসাইকেল রেখে যানজট সৃষ্টি করছিলেন। সেখানে দায়িত্বরত কনস্টেবল শরিফুল তাকে মোটরসাইকেল সরাতে বলেন। তখন শাওন বলেন, ‘চিনিস আমাকে, আমার মোটরসাইকেল ট্রাফিক সার্জেন্টও সরাতে পারে না। আর তুই!’ এ কথা বলেই তার নাকে ঘুষি মারেন। শরিফুলের নাক ফেটে রক্ত বের হয়েছে। তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। কোতোয়ালি থানায় এ বিষয়ে মামলা হয়েছে।’’
ঢাকা/প্রিয়ব্রত/এস