পটুয়াখালীতে আওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দিন আলাল পেয়েছেন শহীদ জিয়া স্মৃতি সম্মাননা। তিনি পটুয়াখালী পৌর আওয়ামী লীগের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক পৌর কাউন্সিলর। শহীদ জিয়া স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সম্মাননার ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেওয়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দু’দলের নেতাকর্মীরাই তার সমালোচনা করেন।

পটুয়াখালী বিএনপির নেতা শহিদুল ইসলাম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘পটুয়াখালী পৌর আওয়ামী লীগের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর আলাল। শহীদ জিয়া স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সম্মাননা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের হাত ধরে কীভাবে আওয়ামী লীগের এ নেতার হাতে এলো, তা পটুয়াখালী জেলা বিএনপি পরিবার কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে জানতে চায়।’ শহিদুল তাঁর ওয়ালে আওয়ামী লীগ আমলে আলালের বিভিন্ন দলীয় কর্মকাণ্ডের ছবিও পোস্ট করেন।

এইচ এম জাবির খান তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ‘শহীদ জিয়া স্মৃতি সম্মাননা-২০২৪ কীভাবে পেল ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা আলাল। এ কাণ্ডে পটুয়াখালী জেলা বিএনপি নীরব ভূমিকায় কেন? আমি দলের একজন কর্মী হিসেবে এ সম্মাননা প্রত্যাহারের দাবি জানাই।’

আলালের এ সম্মাননা নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাও পোস্ট দিয়েছেন। জেলা আওয়ামী লীগ নেতা জিএম দুলাল ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ জেলা বিএনপিকে, ধন্যবাদ দ্রুত রং পাল্টানো গিরগিটিকে হার মানানো আলালকে।’

পটুয়াখালী পৌর বিএনপির সভাপতি কামাল হোসেন বলেন, ‘আলাল আমার দলের নন। তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। কে বা কারা তাঁর জন্য সুপারিশ করেছে, তা আমার জানা নেই। তবে যারাই করেছে, কাজটা ভালো করেনি।’

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ আব্দুর রশীদ চুন্নু মিয়া বলেন, এটা মেনে নেওয়া যায় না। যারা আলালকে সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়ার সুপারিশ করেছে, তাদের চিহ্নিত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে হবে।’ 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ আওয় ম ল গ প রস ক র ব এনপ র আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

পাশাপাশি ঝুলছিল ‘প্রেমিক’ ও গৃহবধূ 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে দুজনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার রহনপুর পৌর এলাকার খয়রাবাদ গ্রামের প্রবাসী শান মোহাম্মদ সনুর বাড়ি থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। 

নিহতরা হলেন- মালয়েশিয়াপ্রবাসী শান মোহাম্মদ সনুর স্ত্রী টুসি বেগম (২৪) ও শিবগঞ্জ উপজেলার আড়গাড়াহাট গ্রামের মোশারফের ছেলে আব্দুর রাকিব (২৮)।

গোমস্তাপুর থানার ওসি খাইরুল বাশার বলেন, স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে শান মোহাম্মদ সনুর শয়ন কক্ষের দরজা ভেঙে পুলিশ টুসি ও রাকিবের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পাশাপাশি তাদের মরদেহ ঝুলছিল। পরে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে। 

ওসি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে, প্রেমের বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় টুসি ও তার প্রেমিক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। যে ঘর থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে সেখান থেকে টুসির দুই শিশু সন্তানকে ঘুমন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ