ফরিদপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণার সংগীত ‘জয় বাংলা, জিতবে এবার নৌকা. গানের সঙ্গে ছাত্রীদের নেচে-গেয়ে উল্লাসের ভিডিও ফাইরাল হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জেলাজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে।

শনিবার ২১ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে মুহুর্তেই তা ভাইরাল হয়। বিষয়টি তদন্তে সাত সদস্যের কমিটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। 

জানা গেছে, গত রোববার (২৬ জানুয়ারি) ফরিদপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে দশটায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এর উদ্বোধন করেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্লা। 

ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, প্রতিযোগিতার দিনে অনুষ্ঠান মঞ্চের সামনে উল্লাস করছে ছাত্রীরা। আর অনুষ্ঠানের মাইকে বাজছে গান- কোটি মানুষের একটাই ডিসিশন, জিতবে নৌকা নাই কোনো টেনশন, জয় বাংলা জিতবে এবার নৌকা।

প্রথমে ভিডিওটি এডিট বলে দাবি করা হলেও পরে জানা যায় যে, এটি ওই অনুষ্ঠানেরই ধারণ করা ভিডিওয়ের অংশ বিশেষ। ঘটনার পাঁচদিন পরে আল আমীন অন্তর নামে এক ব্যক্তি ভিডিওটি ফেসবুকে পোস্ট করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নাসিমা বেগম ওই অনুষ্ঠানের ভিডিওর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তবে তিনি দাবি করেন, দুপুরে টিফিনের সময় মেয়েরা স্কুলের মাঠে আনন্দ করছিল। এসময় মাইকে অন্য গান বাজছিল। হঠাৎই তখন ওই গানটি মাইকে বেজে ওঠে। বিষয়টি টের পেয়ে তাৎক্ষণিক মাইকের ওই গানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিষয়টি ভুলে হয়ে গেছে। 

তিনি আরও বলেন, তবে আমাদের প্রশ্ন, ওই ভিডিওটি ধারণ করল কে, আর সেটি প্রচারই বা কে করল? এ বিষয়টি জানতে স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক পাপড়ি বাড়ৈকে প্রধান করে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। রোববারের মধ্যে তারা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে। তখনই বিষয়টি পরিস্কার জানা যাবে সবকিছু।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ ব ষয়ট

এছাড়াও পড়ুন:

যানজট নিরসনে সড়কে ইউএনও, লাঠিপেটার অভিযোগে পরিবহনশ্রমিকদের অবরোধ

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিরুদ্ধে বাসচালককে লাঠিপেটার অভিযোগ এনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পরিবহনশ্রমিকেরা। আজ সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত দেড় ঘণ্টা তাঁরা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ও সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল সড়কের মুক্তাগাছা পৌর এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এ জন্য থানার সামনের এলাকার রাস্তার ওপর থেকে বাসস্ট্যান্ড সরিয়ে পৌর বাস টার্মিনালে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও রাস্তার ওপর বাস দাঁড়িয়ে থাকে এবং যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজট রোধে আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ইউএনও আতিকুল ইসলাম পৌরসভার পুরোনো বাসস্ট্যান্ড মোড় এলাকায় যান। ওই সময় সড়কের ওপর ইসলাম পরিবহনের একটি বাস দাঁড়িয়ে ছিল। ইউএনও বাসটিকে সরিয়ে নিতে বলেন। ওই ঘটনা নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হয়। তখন পরিবহনশ্রমিকেরা চালককে মারধর করার অভিযোগ এনে ইউএনওর বিচার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।

বাসটির চালক মো. আকাশ ওরফে ভুলু (৪৬) প্রথম আলোকে বলেন, ‘মনিরামবাড়ি থেকে বাস নিয়ে বাস স্টপেজে দাঁড়ানোর আগেই ইউএনও স্যার আমার বাসে উঠে পড়েন। তিনি নিজের গাড়ির চালককে লাঠি আনতে বলতে থাকেন। আমি তখন বলি, রোজা রেখেছি, আমাকে মাফ করে দেন। কিন্তু তিনি কোনো কথা না শুনে আমার হাতে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন।’

লাঠিপেটার অভিযোগ অস্বীকার করে ইউএনও আতিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, বাসগুলো পৌর বাস টার্মিনালে সরিয়ে নেওয়া হবে। তারপরও রাস্তার ওপর বাস দাঁড়াচ্ছিল। আজ সকালে রাস্তার ওপর বাস দাঁড় করিয়ে রাখায় কারণ জানতে চেয়েছিলাম। এ কারণে চালকেরা ইস্যু সৃষ্টির চেষ্টা করছেন।’

মুক্তাগাছা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের আহ্বায়ক বাবুল মিয়া বলেন, ‘ভুল–বোঝাবুঝি থেকে এ ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। আজ বিকেলে আমরা আলোচনায় বসে বিষয়টি মিটমাট করে নেব। ইউএনও রাস্তার যানজট কমাতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আজ হয়তো ইউএনও রাগের মাথায় ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছেন।’

মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, বাসের চালককে ইউএনও মারধর করেছেন—এমন অভিযোগে শ্রমিকেরা সড়ক আটকে দিয়েছিলেন। পরে সেনাবাহিনী বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ