ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে ‘জয় বাংলা, জিতবে এবার নৌকা’ গানে নাচল ছাত্রীরা
Published: 2nd, February 2025 GMT
ফরিদপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণার সংগীত ‘জয় বাংলা, জিতবে এবার নৌকা. গানের সঙ্গে ছাত্রীদের নেচে-গেয়ে উল্লাসের ভিডিও ফাইরাল হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জেলাজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে।
শনিবার ২১ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে মুহুর্তেই তা ভাইরাল হয়। বিষয়টি তদন্তে সাত সদস্যের কমিটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, গত রোববার (২৬ জানুয়ারি) ফরিদপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে দশটায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এর উদ্বোধন করেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্লা।
ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, প্রতিযোগিতার দিনে অনুষ্ঠান মঞ্চের সামনে উল্লাস করছে ছাত্রীরা। আর অনুষ্ঠানের মাইকে বাজছে গান- কোটি মানুষের একটাই ডিসিশন, জিতবে নৌকা নাই কোনো টেনশন, জয় বাংলা জিতবে এবার নৌকা।
প্রথমে ভিডিওটি এডিট বলে দাবি করা হলেও পরে জানা যায় যে, এটি ওই অনুষ্ঠানেরই ধারণ করা ভিডিওয়ের অংশ বিশেষ। ঘটনার পাঁচদিন পরে আল আমীন অন্তর নামে এক ব্যক্তি ভিডিওটি ফেসবুকে পোস্ট করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নাসিমা বেগম ওই অনুষ্ঠানের ভিডিওর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তবে তিনি দাবি করেন, দুপুরে টিফিনের সময় মেয়েরা স্কুলের মাঠে আনন্দ করছিল। এসময় মাইকে অন্য গান বাজছিল। হঠাৎই তখন ওই গানটি মাইকে বেজে ওঠে। বিষয়টি টের পেয়ে তাৎক্ষণিক মাইকের ওই গানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিষয়টি ভুলে হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, তবে আমাদের প্রশ্ন, ওই ভিডিওটি ধারণ করল কে, আর সেটি প্রচারই বা কে করল? এ বিষয়টি জানতে স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক পাপড়ি বাড়ৈকে প্রধান করে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। রোববারের মধ্যে তারা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে। তখনই বিষয়টি পরিস্কার জানা যাবে সবকিছু।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ধানমন্ডিতে মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান ডিএসসিসির
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় শুক্রবার মশক নিধন ও বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করেছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী এ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়ার উপস্থিতিতে বর্জ্য ব্যবস্থানা বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগ ও ধানমন্ডি সোসাইটি এ অভিযানে অংশ নেয়।
সকাল সাড়ে ৭টায় শুরু হওয়া এ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৪৫০ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী, স্বাস্থ্য বিভাগের ৫০ জন মশক কর্মী, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবক, বিডি ক্লিনের ৫০ জন এবং ধানমন্ডি সোসাইটির ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক অংশগ্রহণ করেন। ধানমন্ডি আবাসিক এলাকাকে সাতটি অঞ্চলে ভাগ করে মূল রাস্তা, লেক, পার্ক, মসজিদ, ঈদগাহ সংলগ্ন এলাকা পরিষ্কার ও মশার ওষুধ ছিটিয়ে নেওয়া হয়।
অভিযানে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, ঢাকাকে সুন্দর ও বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ও বিভিন্ন এলাকাভিত্তিক সোসাইটিগুলো চেষ্টা করে যাচ্ছে। রাজউক, গণপূর্ত, বিআরটিএ, পুলিশসহ অন্যান্য সংস্থার অংশগ্রহণে সরকার একটি সুপরিকল্পিত ও সমন্বিত মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করছে। এছাড়া পয়ঃনিষ্কাশনের জন্যেও মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন হচ্ছে।
দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক শাহজাহান মিয়া বলেন, বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রকোপ রোধে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি অঞ্চলে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন অভিযান পরিচালনা করা হবে। ধানমন্ডি থেকে এ অভিযান শুরু হয়েছে।
অভিযান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অতিথিরা জনসচেতনতামূলক একটি র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন। পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. জিল্লুর রহমান, সকল বিভাগীয় প্রধান এবং ধানমন্ডি সোসাইটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।