ঢাবিতে প্রথমবারের মতো হিজাব র্যালি
Published: 1st, February 2025 GMT
আন্তর্জাতিক হিজাব দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) প্রথমবারের মতো হিজাব র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে থেকে র্যালিটি শুরু হয়ে টিএসসি হয়ে রাসেল টাওয়ার ঘুরে রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে শেষ হয়। এরপর সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়। আন্তর্জাতিক হিজাব দিবস উপলক্ষে র্যালির আয়োজন করে ‘প্রোটেস্ট এগেইনস্ট হিজাবোফোবিয়া ইন ডিইউ’ নামের একটি সংগঠন।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা অন্যান্য ক্ষেত্রে পোশাকের স্বাধীনতার কথা বলে থাকি, কিন্তু যখন হিজাবের কথা আসে, তখন স্বাধীনতার সম্মানটা কেউ করে না। তাঁরা বলেন, হিজাব আমাদের অধিকার। আমাদেরকে আমাদের কাজ দিয়ে বিবেচনা করুন, পোশাক দিয়ে নয়।’
সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিশকাতুল জান্নাত বলেন, ‘যেকোনো বিষয়ে জানার জন্য আমাদের তার পেছনের ইতিহাস জানা সব থেকে জরুরি। আমরা যেমন দেখেছি, জুলাই অভ্যুত্থানের মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার প্রোপাগান্ডার শিকার হয়েছি, ইতিহাস বিকৃত করা হচ্ছে। তাই আমরা যদি আমাদের ইতিহাস না জানি তাহলে এই হিজাব ডে এটি আস্তে আস্তে হারিয়ে যাবে।’ তিনি বলেন, বিগত চার বছর ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ বিশ্ব হিজাব দিবস ঘিরে কিছু কিছু ইভেন্ট করেছে। তবে সার্বিকভাবে এটা এখনো বাংলাদেশে পপুলার (জনপ্রিয়) না।
র্যালিটির অন্যতম আয়োজক স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংসদ নামে একটি সংগঠনের আহবায়ক জামালুদ্দিন খালেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘যাঁরা ফ্যাসিবাদের আমলে হিজাব–নিকাব পরিধান করেছেন, তাঁরা বিভিন্নভাবে হেনস্তার শিকার হয়েছেন। শুধু হিজাব–নিকাবই নয়, যাঁরা দাড়ি–টুপি পরতেন, তাঁরাও বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। পশ্চিমারা এগুলোকে একধরনের জঙ্গিবাদের চিহ্ন হিসেবে উপস্থাপন করেন। এই সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসার জন্যই মূলত আমাদের এই প্রচেষ্টা।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মহেশপুরে চড়ক পূজায় পুণ্যার্থীদের ঢল
ঝিনাইদহের মহেশপুরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের চড়ক পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সন্ন্যাসী, সাধক, পুণ্যার্থী ও দর্শনার্থীদের উপস্থিতিতে মিলনমেলায় পরিণত হয় পূজা প্রাঙ্গণ। আয়োজন করা হয় গ্রামীণ মেলারও।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরের পাশে এ পূজা ও মেলার আয়োজন করা হয়।
এদিন বিকেল ৪ টায় পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। তার আগে সকাল থেকে সন্ন্যাসী, পুণ্যার্থী ও দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে পূজা প্রাঙ্গণ।
আরো পড়ুন:
খানজাহান আলীর মাজারে মেলা শুরু, ভক্তদের ঢল
বৈশাখী মেলা সামনে রেখে মৃৎশিল্পীদের ব্যস্ততা
প্রতি বছর চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে ফতেপুর গ্রামে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা চড়ক পূজার আয়োজন করে আসছেন। শত বছর ধরে বৈশাখের প্রথম সপ্তাহে দিনব্যাপী এ পূজার আয়োজন করা হয়। পূজা উপলক্ষে বসে গ্রামীণ মেলা। পূজায় ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, যশোরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে পুণ্যার্থীরা অংশ নেন। এ ছাড়াও অন্য ধর্মের অসংখ্য মানুষ পূজা দেখতে আসেন। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।
চড়ক পূজা উপলক্ষে বসানো গ্রামীণ মেলায় বাতাসা, জিলাপি, ছাঁচের মিষ্টি, দানাদার, খই-মুড়কিসহ বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী খাবারের পসরা সাজিয়ে বসেন দোকানিরা। দোকানে দোকানে সাজিয়ে রাখা হয় কাঠের খেলনা, মাটির পুতুল ও তৈজসপত্র। দোকানগুলোতে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
সৌমেন হালদার নামে এক দর্শনার্থী বলেন, “বাবা-ঠাকুরদের কাছে শুনেছি, শত বছরের বেশি সময় ধরে ফতেপুরে চড়ক পূজার আয়োজন করা হয়। পূজা উপলক্ষে সন্ন্যাসী, পুণ্যার্থী ও দর্শনার্থীদের মিলনমেলায় পরিণত হয় পূজা প্রাঙ্গণ। এবারো উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পূজা পালন হচ্ছে।”
আয়োজক কমিটির সদস্য বিপ্লব কর্মকার বলেন, “চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে প্রতি বছর চড়ক পূজার আয়োজন হয়। শত বছরের ঐতিহ্য আমাদের। চড়ক পূজার মাধ্যমে শিবের আরাধনা করা হয়। এটি হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা প্রাচীনকাল থেকে পালন করে আসছেন।”
ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ