চট্টগ্রামের টাইগারপাস এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে ছেলের বৌ-ভাতের অনুষ্ঠান থেকে আটক হয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক শিল্প-বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ফখরুল আনোয়ার। তিনি ফটিকছড়ি আসনের সাবেক এমপি রফিকুল আনোয়ারের ওরফে সোনা রফিকের ছোট ভাই। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে খুলশী থানা পুলিশ তাকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) মুহাম্মদ ফয়সাল আহম্মেদ আওয়ামী লীগের নেতাকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নগরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল আনোয়ারকে আটক করা হয়েছে। তাকে থানায় নেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কয়টি মামলা রয়েছে তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা তাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সাবেক মেয়র এম মনজুর আলমের নাতনির সঙ্গে আওয়ামী লীগের সাবেক শিল্প-বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ফখরুল আনোয়ারের ছেলের আগেই বিয়ে হয়েছিল। শনিবার রাতে ওই বিয়ের বৌ-ভাত অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল টাইগারপাস এলাকার নেভি কনভেনশন হলে। রাত ৯টার দিকে বিয়েতে আগত কেউ আওয়ামী লীগের নেতাদের উপস্থিতির বিষয়টি সমন্বয়কদের অবগত করেন। হঠাৎ করেই শতাধিক যুবক কমিউনিটি সেন্টারের বাইরে জড়ো হয়। তারা এ সময় ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে’সহ নানা স্লোগান দিতে থাকেন। তারা ফখরুল আনোয়ারকে অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে ফখরুল আনোয়ারকে আটক করে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবর ছড়িয়েছে, বিয়ের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী এবং সাবেক এমপি (চট্টগ্রাম-২) খাদিজাতুল আনোয়ার সনিও ছিলেন। খাদিজাতুল আনোয়ার সম্পর্কে ফখরুল আনোয়ারের ভাতিজি। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ আটক

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপি নেতার নেতৃত্বে সরকারি দিঘি থেকে মাছ লুট

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে দুই বিএনপি নেতার নেতৃত্বে ১৪ বিঘা আয়তনের কালিঞ্চি সরকারি দিঘি থেকে লক্ষাধিক টাকার মাছ লুটের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকালে উপজেলার কালিঞ্চি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ দুই নেতা হলেন উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ ও অর্থ সম্পাদক সোহরাব আলী। মাছ ধরায় বাধা দিলে তারা দাবি করেন, পাঁচ বছর আগে দিঘিটি লিজ নিয়ে মাছ ছাড়া হয়েছিল।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোরে ১০/১২ জন জেলে নিয়ে কালিঞ্চি সরকারি দিঘিতে জাল টানতে শুরু করেন প্রশান্ত, সুকুমার ও শাহিন। এতে বাধা দিলে তারা বিএনপি নেতা সোহরাব আলীর নির্দেশে মাছ ধরার কথা জানান। জাল টেনে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরে স্থানীয় সোনারমোড় মৎস্য আড়তে নিয়ে বিক্রি করেন তারা।

ইউপি সদস্য আজগর আলী বুলু জানান, বহিরাগত জেলেদের নিয়ে সকাল থেকে মাছ লুট করা হয়। তিনটি মোটরসাইকেলযোগে ছয়টির বেশি বস্তায় করে এসব মাছ আড়তে নিয়ে বিক্রি করা হয়। কয়েকটি ভেটকি মাছ ২০ কেজিরও বেশি ওজনের। তিনি বলেন, আশপাশের ছয় গ্রামের প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষ এই দিঘির পানি ব্যবহার করে। এভাবে জাল টেনে মাছ ধরায় তারা দিঘি থেকে খাওয়ার উপযোগী পানি নিতে পারছেন না।

মাছ ধরার বিষয়ে সুকুমার মণ্ডলের ভাষ্য, প্রায় পাঁচ বছর আগে দিঘিতে এসব মাছ ছাড়েন সোহরাব আলী। তাঁর নির্দেশেই তারা মাছ ধরেছেন। এ বিষয়ে সোহরাব আলী বলেন, অসুস্থতার কারণে তিনি বাড়িতে অবস্থান করছেন। তবে জেলা পরিষদের এ দিঘি লিজ নিয়ে বিএনপি নেতা আবদুল মজিদ ও ছাত্রদল নেতা রাকিব হোসেন মাছ ছেড়েছিলেন।

আবদুল মজিদ দাবি করেন, মাছ ধরার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তবে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রদলের সাবেক নেতা রাকিব তাঁকে মাছ ধরার কথা জানিয়েছিলেন।

নিজেকে জেলা ছাত্রদলের সাবেক নেতা পরিচয় দিয়ে রাকিব হোসেন বলেন, সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মোস্তফা মুকুল জেলা পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে তাঁর ডাকের দিঘির মাছ লুট করে নিয়েছিলেন। বাধ্য হয়ে তিনি তাঁর ছাড়া মাছ এতদিন পর তুলে নিয়েছেন।

সরকারি দিঘিতে এভাবে মাছ ধরার কথা না জানিয়ে জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) মো. খলিল হোসেন বলেন, দিঘি কাউকে ইজারা দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তত্ত্বাবধায়ককে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ