জেলেপল্লির শিশুরা পেল শীত-সুরক্ষাসামগ্রী
Published: 1st, February 2025 GMT
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার মাছুয়া ইউনিয়নের কাটাখালে জেলেপল্লির সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের মাঝে শীতের সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ করে হাতেখড়ি ফাউন্ডেশন। সহযোগিতায় ছিলেন সমাজসেবক এ আর মামুন খান। অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর মাঝে এ উপকরণ তুলে দেয় হাতেখড়ি ফাউন্ডেশন।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসকিয়া জানায়, শীতের সুরক্ষাসামগ্রী উপহার পেয়ে অনেক উপকার হয়েছে। তার বাবা নদীতে মাছ ধরে সব সময় কিনে দিতে পারেন না সুরক্ষাসামগ্রী। তাদের সেই অভাব পূরণ হয়েছে।
হাতেখড়ি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক রুবেল মিয়া নাহিদ বলেন, ‘সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কল্যাণে নানা আয়োজন করে থাকে হাতেখড়ি ফাউন্ডেশন। তারই ধারাবাহিকতায় এই উদ্যোগ। আমরা আজ শিশুদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার গুরুত্ব ও নিজেদের শরীরের যত্ন নেওয়ার ব্যাপারে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। এসব সামগ্রী শিশুদের মুখে এক চিলতে হাসি ফুটিয়ে তুলবে। এটিই আমাদের চাওয়া।’
সমাজসেবক এ আর মামুন খান বলেন, ‘সমাজের সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে এভাবে এগিয়ে এলে জেলেপল্লির শিশুরা উৎসাহ পাবে এবং ঝরে পড়ার হারও কমে আসবে।’
দক্ষিণাঞ্চলের বলেশ্বর নদীতীরবর্তী জেলেদের সন্তানদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করছে হাতেখড়ি ফাউন্ডেশন। নিজস্ব সংস্কৃতি বিকাশ ও তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ করতে বিভিন্ন সুযোগ সৃষ্টি করাসহ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর শিশুদের শিক্ষা, বৈষম্য দূর করাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার আওতায় নিয়ে আসতে চেষ্টা করে যাচ্ছে সংগঠনটি। এছাড়াও বাল্যবিয়ে রোধ, যৌন হয়রানি প্রতিরোধে সচেতনতামূলক প্রচারণা, বিনা মূল্যে
রক্তদানসহ বিভিন্ন সামাজিক কাজেও রয়েছে হাতেখড়ি ফাউন্ডেশনের বিচরণ। ২০১৮ সালের ১৭ মার্চ হাতেখড়ি ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন প্রজেক্টের মাধ্যমে কাজ করছে সংগঠনটি।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চৈত্রসংক্রান্তি ও বৈসাবি উপলক্ষে পাঁচ দিন ছুটির দাবি
চৈত্রসংক্রান্তি ও বৈসাবি উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পাঁচ দিন ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জুম্ম শিক্ষার্থী পরিবার’ নামের একটি সংগঠন। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানান সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ সদস্য মিশন চাকমা।
এতে বলা হয়, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত পাহাড়ি ও সমতলের জাতিগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসুক, সাংগ্রাই, বিজু, বিহু, চাংক্রান, চৈত্রসংক্রান্তি আবহমান সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ। এ উৎসব পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়ি জাতিসত্তা এবং সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জনগণের কাছে জাতীয় ও সামাজিক ঐক্যের প্রতীক। ১২ থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত এই উৎসব চলবে। কিন্তু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সাত শতাধিক বিভিন্ন জাতিসত্তার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত থাকলেও উৎসবের দিন তাঁদের ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়, ইতিমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উৎসব উপলক্ষে পাঁচ দিন ক্লাস ও পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও এক দিনের রাষ্ট্রীয় ছুটি ঘোষণা করেছে।
এর আগে গত ৫ মার্চ উপাচার্যকে চিঠি দিয়ে পাঁচ দিন ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধের দাবি জানিয়েছিল বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন। চিঠি দেওয়া ওই সংগঠনগুলো হচ্ছে ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরাম, বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিল, বাংলাদেশ ম্রো স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জুম্ম শিক্ষার্থী পরিবার, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ।