Samakal:
2025-04-25@14:40:13 GMT

খাদ্য সংকটে লোকালয়ে হাতি

Published: 1st, February 2025 GMT

খাদ্য সংকটে লোকালয়ে হাতি

কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে খাবার, চারণভূমি ও করিডোর ধ্বংস হওয়ায় প্রায়ই লোকালয়ে হানা দিচ্ছে হাতির পাল। হাতির ভয়ে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে বন এলাকার পাশে বসবাসরত জনগোষ্ঠী। বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতেও নিজেদের নিরাপদ রাখার চেষ্টা করছেন স্থানীয়রা। 
চকরিয়ায় সুরাজপুর-মানিকপুর, কাকারা, লক্ষ্যাচর, ফাঁসিয়াখালী, ডুলাহাজারা, খুটাখালী, বরইতলী ও হারবাং এলাকার লোকজন আতঙ্কে বসবাস করছেন। আতঙ্কে রয়েছেন চট্টগ্রাম বনাঞ্চলের আশপাশের লোকজনও। লোকালয়ে ঢুকে পড়া হাতি তাড়াতে তৎপর বনকর্মীরা। তার পরও হানা দিচ্ছে হাতির পাল। যে কারণে বিদ্যুতের তার দিয়ে ফাঁদ পেতে রাখছেন লোকজন। বৈদ্যুতিক ফাঁদে পা দিয়ে লামার কুমারী এলাকায় একটি হাতি মারা গেছে।
পরিবেশবাদীদের অভিমত,  খাবারের খোঁজে আগে আমন ও বোরো মৌসুমে ধানক্ষেতে নামতে পারত হাতির পাল। কিন্তু তামাকের আগ্রাসনে কমে গেছে ধান চাষ। এসব কারণে লোকালয়ে আসছে হাতি।
এদিকে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের যত্রতত্র বৈদ্যুতিক ফাঁদ পাতার কারণে হাতির অবাধ বিচরণ, প্রজনন ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। নির্ধারিত করিডোর দিয়ে হাতির পাল চলাচল করে থাকে। বেশির ভাগ করিডোরে স্থাপনা গড়ে তোলায় আগের মতো চলাচল করতে পারছে না হাতির পাল।
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মেহেরাজ উদ্দিন জানান, কক্সবাজার উত্তর-দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম উত্তর-দক্ষিণ বন বিভাগের ১২টি করিডোর থাকলেও বর্তমানে বেশির ভাগ হাতি চলাচলের অনুপযোগী। তাঁর ভাষ্য, কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের সংরক্ষিত বনে উখিয়া-ঘুমধুম, তুলাবাগান, টেনারছড়ি, নাইক্ষ্যংছড়ি, রাজারকুল ও কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের তুলাতলি, ঈদগড়, ভূমুরিয়াঘোনা রাজঘাট, খুটাখালী মেধা-কচ্ছপিয়া, ছাইরাখালী, মানিকপুর করিডোরের বেশির ভাগ অংশ দখল হয়ে গেছে। এসব জায়গায় জনবসতি, সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা গড়ে তোলায় হাতির চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।  খুটাখালী ও মেধাকচ্ছপিয়ার ওপর দিয়ে নির্মিত রেললাইনে হাতি পারাপারের জন্য আন্ডারপাস নির্মাণের কথা থাকলেও সেখানে কোনো আন্ডারপাস করা হয়নি। ফলে হাতি পারাপারে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বন বিভাগের চুনতি, সাতগড়, বদ্দোয়ারা, শুকছড়ি, কোদালা, লারিশ্যা কোদালা করিডোরেরও চিত্রও একই রকম। চুনতি অভয়ারণ্যের রেললাইনে একটি আন্ডারপাস নির্মাণ করা হলেও তা দিয়ে হাতি চলাচল করতে পারছে না। ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে একটি হাতি ট্রেনের ধাক্কায় মারা গেছে।
ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মেহেরাজ উদ্দিন বলেন, সিএমসির সহযোগিতায় বনের ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের অধীন পাঁচটি বন বিটের যেসব স্থানে বন্যহাতির আবাসস্থল ছিল, সেখানে কলাগাছ ও ঘাস রোপণের মাধ্যমে খাদ্যভান্ডার তৈরি করা হয়েছে। বন বিভাগের টহল দলের তৎপরতা অব্যাহত আছে। অনেক 
স্থান থেকে হাতি মারার ফাঁদ জব্দ করা হয়েছে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বন ব ভ গ র কর ড র

এছাড়াও পড়ুন:

অন্তর্বাস ও পোশাকে ছিল স্বর্ণ, যাত্রী আটক

অভিনব কৌশলেও কাজ হলো না। স্বর্ণসহ ধরা পড়লেন আলীম উদ্দিন (৪০) নামের সিলেটের গোয়াইনঘাটের বাসিন্দা এক বিমান যাত্রী। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাঁকে আটক করে। 

বিমানবন্দর কাস্টমস সূত্র জানায়, দুবাই থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের যাত্রী আলীম উদ্দিন ঢাকায় অবতরণের টিকিট করেছিলেন। ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টমস ও এনএসআই সদস্যরা বিমানের ভেতর থেকে তাঁকে বের করে আনেন। স্ক্যানারে তারা নিশ্চিত হন, যাত্রীর পরনের অন্তর্বাস থেকে শুরু করে গেঞ্জিসহ পরিহিত পোশাকে ছিল স্বর্ণের প্রলেপ। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ পরিধেয় কাপড় পুড়িয়ে স্বর্ণের অস্তিত্ব পান। জিজ্ঞাসাবাদে যাত্রীটিও বিষয়টি স্বীকার করেন। এ সময় আলীমের পরা চারটি অন্তর্বাস, দুটি গেঞ্জি, একটি শার্ট, প্যান্টসহ আটটি কাপড় জব্দ করা হয়। ওই ব্যক্তির পরিধেয় একাধিক কাপড়ে মেলে স্বর্ণের অস্তিত্ব। পরে এগুলো জব্দ করা হয়।

কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, সাধারণ চোখে বিষয়টি বোঝার উপায় ছিল না। স্বর্ণ গলিয়ে কাপড়ে লেপে দেওয়া হয়েছিল। স্ক্যানারে পরীক্ষার পর বিষয়টি ধরা পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। গোয়েন্দা সংস্থার আরেক কর্মকর্তা জানান, আলীমের সঙ্গে একই বিমানে আরেকজন স্বর্ণ চোরাচালানকারী ছিলেন। তাঁকে ঢাকা বিমানবন্দরে আটক করা হয়েছে।

সিলেট কাস্টমসের সহকারী কমিশনার (অতিরিক্ত দায়িত্ব বিমানবন্দর ও এয়ারফ্রেইট বিভাগ) ইনজামাম উল হক বলেন, আলীম উদ্দিনের পরা কাপড়গুলো পুড়িয়ে স্বর্ণগুলো উদ্ধার করা হবে। কাপড় না পোড়ানো পর্যন্ত স্বর্ণের পরিমাণ জানা যাবে না। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পরিধেয় কাপড়ে প্রায় এক কেজি স্বর্ণ তিনি এনেছেন। পরবর্তী কার্যক্রম শেষে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ