শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, পেট ব্যথাসহ নানা উপসর্গ নিয়ে ৯ দিন আগে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন ধল্লাকান্দির ৬৫ বছর বয়সী লুৎফর রহমান মণ্ডল। একই রোগে ভর্তি হন মোজাফ্ফপুরের সত্তরোর্ধ্ব হবিবর রহমান। তাদের ভাষ্য, শয্যার চেয়ে রোগী বেশি। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে এক চিকিৎসক রাউন্ডে এলেও দুপুরের পর থেকে আর তাদের দেখা মেলে না। একই ধরনের কথা বলেন পেটের ব্যথায় চার দিন আগে ভর্তি হওয়া রামপুরের পলাশ আর ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ৮০ বছরের মোজাম্মেল ও আনারুল ইসলাম।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, শ্বাসকষ্ট ও ব্যথা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন নিজ কাবিলপুরের সাজেদা ও শানেরহাটের আয়শা। মাথায় জ্বালাপোড়া ও ব্যথা নিয়ে সরলিয়ার কণিকাও ছিলেন অপেক্ষায়। তারা জানান, ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও চিকিৎসক দেখানোর টিকিট পাননি। চিকিৎসক ও জনবলের অভাবে তাদের মতো সেবা পেতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ২০১১ সালে ৫০ শয্যায় উন্নীত করার পর আসবাবসহ আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়েছে। জনবল সংকটসহ নানা কারণে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
শানেরহাটের ডায়াবেটিক রোগী সালমা বেগম, রোগীর স্বজন জাহাঙ্গীর আলম ও খাদিজা বেগমের অভিযোগ, বহির্বিভাগে টিকিট কেটে দীর্ঘ লাইন পেরিয়ে আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা পর চিকিৎসকের দেখা পেয়েছেন তারা। জানা গেছে, শুরুর দিকে গাইনি বিশেষজ্ঞ থাকায় সিজার হতো। ১৩ বছর ধরে তা বন্ধ ছিল। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরে ১০টি সিজার হলেও ফের বন্ধ হলে সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন অন্তঃসত্ত্বা মায়েরা। এক সময় জরুরি প্রসূতি সেবার (ইওসি) আওতাভুক্ত হলেও এখন নেই। ফলে ৪৮ কিলোমিটার দূরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে হয় রোগীদের।
আরএমওর দায়িত্বে থাকা সহকারী সার্জন তারিকুল ইসলামের ভাষ্য, রবি থেকে বৃহস্পতিবার বহির্বিভাগে ছয়শ থেকে সাতশ রোগী থাকেন। ভর্তি থাকেন শতাধিক রোগী। বহু রোগীকে ওষুধ ছাড়া ব্যবস্থাপত্র দিয়ে বিদায় করতে হয়। নিকটবর্তী হাসপাতালের চেয়ে সেবার মান ভালো হওয়ায় এখানে ভিড় বাড়ছে। এ জন্য বরাদ্দ বাড়ানো দরকার বলে তিনি জানান।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, চিকিৎসক সংকট এবং বেশি রোগী আসায় চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। সেবিকাদের সেবা নিয়ে অভিযোগ রয়েছে। ভর্তি ২০ জন খাবার পেলেও মান ভালো না হওয়ায় অনেকে ফেলে দেন। অথচ পথ্য ঠিকাদার প্রতিদিন ৫০ জন হিসেবে বিল তুলছেন। অভিযোগ দিলে একে অন্যকে দায়ী করেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কর্মচারীর অভিযোগ, ওষুধ ও পথ্য সরবরাহে ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ফোন আসে। এতে কর্মকর্তারা হয়রানির শিকার হন। এগুলো বন্ধ হলে ওষুধ ও পথ্য সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নতি হবে।
সূত্র জানায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের ২৩টি পদের বিপরীতে আছেন ১১ জন। উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কাগজে চিকিৎসকের ১৬ পদের বিপরীতে ১০ জন কর্মরত থাকলেও আছেন সাতজন। তিনজন ডেপুটেশনে অন্যত্র দায়িত্বে রয়েছেন। স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, জুনিয়র কনসালট্যান্ট, মেডিসিন, গাইনি, শিশু, অর্থোপেডিক, কার্ডিওলজি বিশেষজ্ঞসহ ইএমও, আইএমও, সহকারী সার্জন ও দুই মেডিকেল অফিসার আছেন। আবাসিক মেডিকেল অফিসার, জুনিয়র কনসালট্যান্ট (সার্জারি), অ্যানেসথেশিয়া, ফিজিক্যাল মেডিসিন, চক্ষু, ইএনটি, চর্ম ও যৌন বিশেষজ্ঞসহ সহকারী সার্জন, অ্যানেসথেশিস্ট, ডেন্টাল সার্জন, মেডিকেল অফিসার ও ইউনানি চিকিৎসক নেই।
১৬ উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ৯ মেডিকেল অফিসার পদে আছেন চারজন। সাত সহকারী সার্জনের পদে তিনজন রয়েছেন। জ্বালানি সংকটে অ্যাম্বুলেন্সও পাওয়া যায় না। অথচ পীরগঞ্জসহ সাদুল্লাপুর, পলাশবাড়ী, বিরামপুর ও ঘোড়াঘাটের রোগীও এখানে আসেন। এতে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক না থাকায় উপজেলায় ভিড় বেশি। ২০২৩ সালে মাদারগঞ্জ ও খালাশপীরে ১০ শয্যার মা ও শিশু স্বাস্থ্যকেন্দ্র উদ্বোধনের পর ১৭ মাসেও চিকিৎসক ও প্রয়োজনীয় জনবল নেই। ফলে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ে করা হাসপাতাল দুটি কাজে আসছে না।
আরএমওসহ চারজন বাদে সবাই জেলা সদর থেকে যাতায়াত করেন। ৫৫টি কমিউনিটি ক্লিনিকে ৫৪ জন সিএইচসিপি থাকলেও কাঙ্ক্ষিত সেবা মিলছে না বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। রয়েছে কর্মচারী সংকটও। তিনটি ওয়ার্ডবয়ের পদ থাকলেও আছেন দু’জন। পাঁচজন এমএলএসএসের স্থলে তিনজন কর্মরত আছেন। অ্যাসিস্ট্যান্ট মেডিকেল অফিসারের ১০টি, দুই মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, দুই ফার্মাসিস্ট, সহ-স্বাস্থ্য পরিদর্শকের সাতটি, স্বাস্থ্য পরিদর্শক তিনটি, অফিস সহায়ক আটটি, তিন পরিচ্ছন্নতাকর্মী, দুই নিরাপত্তা প্রহরী, দুই বাবুর্চি, আয়া, জুনিয়র মেকানিকসহ ৯৮ জনের পদ শূন্য রয়েছে।
জনবল ও চিকিৎসক সংকটে রোগীর সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন জানিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.
চিকিৎসকদের কর্মস্থলে না থাকার বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি মাসুদ রানা। তাঁর ভাষ্য, আগে অস্ত্রোপচার হলেও এখন বন্ধ। টেলিমেডিসিন সেবার মাধ্যমে জটিল রোগী প্রজেক্টরে দেখিয়ে ঢাকার বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হয়। ১৫টি ইউনিয়নের ৫৫টি কমিউনিটি ক্লিনিকে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা অনিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছেন।
পীরগঞ্জ নাগরিক কমিটি ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সেক্রেটারি এবং ব্যবসায়ী ফোরামের সভাপতি এনামুল হক বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও অধিকাংশ সময় ৯০ জনের বেশি রোগী ভর্তি থাকেন। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে পাশের এলাকার বাসিন্দারা চিকিৎসা নিতে আসেন। এতে প্রায়ই ওষুধ, স্যালাইনসহ বিভিন্ন সামগ্রীর সংকট দেখা দেয়। উপজেলার চার লক্ষাধিক মানুষের স্বার্থে জরুরি এর সমাধান চান তিনি। জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ ও মজলিসে শূরার সদস্য এবং জেলা ওলামা বিভাগের সভাপতি নুরুল আমিন প্রশাসনিকভাবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ১০০ শয্যায় উন্নীত করার দাবি জানিয়ে বলেন, দুর্নীতি ও অনিয়ম দূর করে সেবার মান বাড়াতে হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ব স থ য কমপ ল ক স চ ক ৎসক র ব যবস থ থ কল ও স র জন সহক র উপজ ল রগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
সাতক্ষীরার সাবেক সিভিল সার্জনসহ ২ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়েরকৃত মামলায় সাতক্ষীরার সাবেক সিভিল সার্জন ডা. তৌহিদুর রহমান ও ঢাকা উত্তরার বেনিভোলেন্ট এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. শাহীনুর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ মো. নজরুল ইসলাম অভিযোগপত্র পর্যালোচনা শেষে এ আদেশ দেন।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকালে সাতক্ষীরা জজ কোর্টের দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান দিলু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আসামি ডা. তৌহিদুর রহমান সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর গ্রামের মৃত তফছির উদ্দিনের ছেলে। অপর আসামি মো. শাহীনুর রহমান মাগুরা জেলা সদরের কাদিরাবাদ গ্রামের একেএম ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে।
আরো পড়ুন:
সাবেক এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
নড়াইলে গ্রাম আদালতে ৬৪১ মামলা নিষ্পত্তি
দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. সহিদুর রহমান ২০২০ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি মামলাটি করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, অনুমোদন ছাড়াই বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা ব্যতীত সাতক্ষীরা ইনস্টিটিউট ও হেলথ টেকনোলজিতে (নলতা) ইকুইপমেন্ট সামগ্রী, আসবাবপত্র , বইপত্র সাময়িকী ও খেলাধুলার সামগ্রী কেনার জন্য ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চিকিৎসা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ও জনশক্তি উন্নয়ন শাখার পরিচালক বরাবর চিঠি পাঠান তৎকালীন সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ও সাতক্ষীরা ইনস্টিটিউট ও হেলথ টেকনোলজির সাবেক অধ্যক্ষ ডা. তৌহিদুর রহমান। অধিদপ্তরের প্রশাসনিক অনুমোদন ব্যতীত নলতা আইএইচটিতে চাহিদা বরাদ্দ পাওয়ার আগেই খেলাধুলা সামগ্রীসহ অন্যান্য সামগ্রী কেনার জন্য বিধি বহির্ভূতভাবে বাজারদর কমিটি, দরপত্র উন্মুক্তকরণ কমিটি, দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি ও সার্ভে কমিটি গঠন করে ২০১৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দরপত্র আহ্বান করেন ডা. তৌহিদুর রহমান।
২০১৮ সালের ১৫ মে ডা. তৌহিদুর রহমান রহমান ঢাকার উত্তরার বেনিভোলেন্ট এন্টারপ্রাইজকে ১০টি ফুটবল, ২৫টি ক্রিকেট ব্যাট, ২১টি ক্রিকেট বল, ২০টি ক্রিকেট প্যাড, ১১টি ক্রিকেট হেলমেট, ১০টি ক্রিকেট গ্লাভস, ১৫টি ক্রিকেট স্টাম্প, পাঁচটি ২০ কেজি ওজন সেট, পাঁচটি ৫ ইঞ্চি স্টিক, পাঁচটি ৪ ইঞ্চি স্টিক, পাঁচটি ৩ ইঞ্চি স্টিক, পাঁচটি ১৪ কেজি ডাম্বেল, একটি ট্রিসেফ বার, ৫৬ পিস মাল্টি জাম, পাঁচটি চায়না আপ মেশিন, পাঁচটি ট্রেড মিল, চারটি সিট আপ বেঞ্চ, ছয়টি টিটি বোর্ড, ১০টি বাস্কেট বল, ১০টি ব্যাডমিন্টন সেট, পাঁচটি দাবা সেট, ১৫টি হ্যান্ডবল, ১০টি ভলিবল, ক্লাইন চেষ্ট প্রেস-এর চারটি স্মিথ মেশিন, কেবল ওয়ারের ২০টি লাফ দড়ি, পাঁচটি হ্যামার স্ট্রেনথ, পাঁচটি ইলেকট্রিকাল ট্রেনার এক্সসারসাইজ বাইক ও পাঁচটি ৫৬ ইঞ্চি ক্যারাম বোর্ড সরবরাহের জন্য কার্যাদেশ প্রদান করেন।
পরবর্তীতে বেনিভোলেন্ট এন্টারপ্রাইজ ২০১৮ সালের ২৪ মে মালামাল সরবরাহ করে ওই বছরের ১০ জুন ৫০ লাখ টাকার বিল দাখিল করে। ডা. তৌহিদুর রহমান রহমান বেনিভোলেন্ট এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. শাহীনুর রহমানকে ২০১৮ সালের ১০ জুন বিল পাশ করে জেলা হিসাবরক্ষণ অফিস বরাবর পাঠান। সে অনুযায়ী, হিসাবরক্ষণ অফিস সরকারি কর্তণ বাদে বেনিভোলেন্ট এন্টারপ্রাইজের অনুকূলে ২০১৮ সালের ১৪ জুন ৪৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেক ইস্যু করে। পরে বেনিভোলেন্ট এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী শাহীনুর রহমান টাকা তুলে নেন।
অভিযোগ অনুসন্ধানকালে কেনা ক্রীড়া সামগ্রীর সঠিক মূল্য একটি টিমের মাধ্যমে যাচাই করার জন্য দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে ২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ক্রীড়া অধিদপ্তর, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পরিচালককে অনুরোধ করে। ২৬ সেপ্টেম্বর নলতা আইএইচটি ও ম্যাটস এর কেনা ক্রীড়া সামগ্রীর মূল্য নিরূপণের জন্য বিশেষজ্ঞ টিম গঠন করা হয়। ৩০ সেপ্টেম্বর সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দুদকের তদন্তকারী টিম ১০ অক্টোবর জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করে। কমিটির প্রতিবেদনে দেখা যায়, বেনিভোলেন্ট এন্টারপ্রাইজের সরবরাহকৃত ক্রীড়া সামগ্রীর মূল্য ২৩ লাখ ৮৮ হাজার ৬৫০ টাকা। প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাট ও আয়কর বাবদ ৫ লাখ ৫০ হাচার টাকা কেটে নিয়ে ৪৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়। এক্ষেত্রে বেনিভোলেন্ট এন্টারপ্রাইজকে ২০ লাখ ৬১ হাজার ৬৫০ টাকা অতিরিক্ত দেওয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে ডা. তৌহিদুর রহমান রহমান ও মো. শাহীনুর রহমান পরস্পর যোগসাজশে ২০ লাখ ৬১ হাজার ৬৫০ টাকা আত্মসাৎ করে অপরাধ করেছেন।
আদালতে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান দিলু বলেন, “গত ২৮ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-সহকারী পরিচালক মো. সহিদুর রহমানের দায়েরকৃত অভিযোগপত্রটি পর্যালোচনা শেষে বিচারক মো. নজরুল ইসলাম অভিযুক্ত দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়ে ১৬ মার্চ শুনানির ধার্য দিন নির্ধারণ করে দেন। সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের মাধ্যমে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।”
ঢাকা/শাহীন/মাসুদ