Samakal:
2025-04-05@23:30:34 GMT

সাইবার হামলায় এআই ফিচার

Published: 1st, February 2025 GMT

সাইবার হামলায় এআই ফিচার

সাইবার নিরাপত্তায় কিছুদিন আগে ম্যানেজড ডিটেকশন অ্যান্ড রেসপন্স (এমডিআর) পরিষেবার মানোন্নয়ন করেছে সফোস।
জানা গেছে, সারাবিশ্বে পরিষেবাটির মাধ্যমে বর্তমানে ২৬ হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠান সেবা নিয়েছে।
২০২৪ সালে গ্রাহক সংখ্যা ৩৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
নির্মাতারা জানান, পরিষেবাটি বিশেষ পরিসরে সুরক্ষা দিতে সক্ষম। সাধারণ সাইবার হামলা নিয়ন্ত্রণ করা ছাড়াও সম্পূর্ণভাবে সাইবার হামলার সবকটি ঘটনার প্রভাব বা ইনসিডেন্ট রেসপন্স নিয়ে কাজ করে, যেমন– সাইবার হামলার মূল কারণ বিশ্লেষণ, হামলাকারীদের দ্বারা ব্যবহৃত ক্ষতিকারক টুলস অপসারণ ও পুনরায় সম্ভাব্য আক্রমণ প্রতিরোধ করে গ্রাহকের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ। বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এটি ইনসিডেন্ট রেসপন্সের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সুবিধা দিয়ে থাকে, যেখানে গ্রাহককে অতিরিক্ত সেবা ব্যয় দিতে হয় না বলে জানানো হয়।
বিশেষ (এমডিআর) পরিষেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ঘরানার নতুন ফিচার যুক্ত করেছে। সাইবার হুমকি শনাক্তকরণ, প্রতিরোধ ও অনুসন্ধানের কার্যক্রমকে সময়োপযোগী করেছে। নতুন ফিচারের মধ্যে প্রুফ অব ভ্যালু ড্যাশবোর্ড, যা সাইবার থ্রেট শনাক্তকরণের কাজ উপস্থাপন করেছে, মাইক্রোসফট গ্রাহকের জন্য অফিস ৩৬৫, তৃতীয় পক্ষের সঙ্গে ইন্টিগ্রেশনে টেনাবেল দ্বারা সার্টিফাইড ম্যানেজড রিস্ক পরিষেবা ও এআই প্রযুক্তির ওয়ার্কফ্লো, যা সব সাইবার হামলা বিশ্লেষণে সক্ষমতা ও অটোমেশন বৃদ্ধি করে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর ষ ব

এছাড়াও পড়ুন:

জঞ্জালে ভরা বেড়ার হুরাসাগর নদের পাড় থেকে বিরক্তি নিয়ে ফিরছেন দর্শনার্থীরা

পাবনার বেড়া উপজেলার হুরাসাগর নদের পাড়ের পোর্ট এলাকাটি বেড়াবাসীর কাছে দর্শনীয় একটি স্থান। ঈদ-পূজা-পার্বণে সেখানে মানুষের ঢল নামে। কিন্তু ময়লা-আবর্জনার কারণে এবার স্থানটি ঘুরতে গিয়ে বিরক্তি নিয়ে ফিরছেন দর্শনার্থীরা। এলাকাটি পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব বেড়া পৌর কর্তৃপক্ষের হলেও দীর্ঘদিন ধরে এ ব্যাপারে তাদের কোনো নজর নেই।

পোর্ট এলাকাটি আসলে হুরাসাগর নদের পাড়ে অবস্থিত পরিত্যক্ত একটি বিশাল নৌঘাট। বেড়া নৌবন্দর পুনরুজ্জীবিতকরণ প্রকল্পের আওতায় ২০০৬ সালে বেড়া পৌরসভার ডাকবাংলোর পাশে নৌঘাটটি নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। জেলা বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ-সংলগ্ন নৌঘাটটি লম্বায় ২৭৫ মিটার। প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে দুই পাশে ১০০ মিটার করে বাঁধানো হয় সিঁড়ি। নানা জটিলতায় নৌবন্দর পুনরুজ্জীবিতকরণ প্রকল্পটি বাতিল হলে ঘাটটি পরিত্যক্ত হয়ে যায়।

যোগাযোগব্যবস্থা ভালো থাকায় এলাকাটি স্থানীয় বাসিন্দাদের বেড়ানোর জায়গায় পরিণত হয়। সবার কাছে জায়গাটি পোর্ট এলাকা হিসেবে পরিচিত। ভরা বর্ষায় হুরাসাগর যখন পানিতে টইটম্বুর থাকে, তখন নৌঘাটের যেকোনো স্থানে দাঁড়িয়ে ঘুরতে আসা লোকজনের কাছে সাগর বলে মনে হয়। এ জন্য বর্ষায় দর্শনার্থীর ভিড় বেশি হয়ে থাকে।

আজ শনিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, পোর্ট এলাকার সামনের দিকে সড়কের পাশে সিঁড়ির ওপরে খাবারসহ বিভিন্ন পণ্যের অস্থায়ী দোকান বসেছে। ব্যবসায়ীরা দোকানের আশপাশের কিছু অংশ নিজেরা পরিষ্কার করেছেন। বাকি বেশির ভাগ জায়গা ময়লা-আবর্জনায় ভর্তি। বেড়াতে আসা লোকজনের বসার সিঁড়ির বেশির ভাগ জায়গায় খড়ের পালা, ময়লা-আবর্জনা আর গোবরের ঘুঁটে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আছে।

পোর্ট এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, আগের বছরগুলোতে ঈদের দিন থেকে শুরু করে অন্তত সাত দিন এখানে কয়েক হাজার লোক বেড়াতে আসতেন। কিন্তু এবার অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের কারণে ঈদের পরদিন থেকেই ভিড় কমে গেছে। এতে বেচাকেনাও কমে গেছে। তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এলাকাটি পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব পৌরসভার। কিন্তু তারা পরিষ্কার করে না।

ঈদের দিন থেকে অস্থায়ী ফুচকার দোকান বসিয়েছেন আফজাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘বেড়াতে আসা লোকজনের বসার জায়গাগুলো ময়লা-আবর্জনায় ভইর‍্যা আছে। আমরা (ব্যবসায়ীরা) যতটুকু পারিছি, পরিষ্কার করিছি। তাতেও মানুষের মন ভরতেছে না। তাই এবার বেচাকেনাও কম।’

আত্মীয়দের সঙ্গে নিয়ে বেড়াতে এসেছিলেন বেড়া পৌর এলাকার দক্ষিণপাড়া মহল্লার রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, বড় মুখ করে আত্মীয়দের নিয়ে পোর্ট এলাকায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে সবাই খুব হতাশ হয়েছেন। ময়লা-আবর্জনা আর দুর্গন্ধের কারণে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি।

বেড়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ফিরোজুল আলম বলেন, পোর্ট এলাকা জঞ্জালমুক্ত ও পরিষ্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শ্রমিকসংকটের কারণে আপাতত কাজটি করতে দেরি হচ্ছে। আশা করছেন, দ্রুত শ্রমিক নিয়ে এলাকাটি পরিচ্ছন্ন করতে পারবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জঞ্জালে ভরা বেড়ার হুরাসাগর নদের পাড় থেকে বিরক্তি নিয়ে ফিরছেন দর্শনার্থীরা