বাস টার্মিনাল নেই, তাই সারাদিন চরম যানজট
Published: 1st, February 2025 GMT
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়া অংশে বটতলী স্টেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। লোহাগাড়া উপজেলার এই প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্রে রয়েছে ২৫টি ব্যাংক, শতাধিক মার্কেট, ৭টি বড় ক্লিনিকসহ ছোট-বড় প্রায় ৫ হাজার দোকান। স্টেশনের আশপাশে রয়েছে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
বাস টার্মিনাল না থাকায় মহাসড়কের বটতলী স্টেশন এখন চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন রুটের গাড়ির স্ট্যান্ডে পরিণত হয়েছে। এতে ব্যস্ততম এই স্টেশনে সারাদিন যানজট লেগে থাকে। যাত্রী ও উপ-শহরবাসীর ভোগান্তির শেষ নেই। যানজট নিরসনের জন্য প্রতি মাসের আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় কঠোরভাবে নির্দেশনা হয়। কিন্তু শহর যানজটমুক্ত হয় না।
সরেজমিন দেখা যায়, বটতলী স্টেশনে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করা হয়। সড়কের পাশেই রয়েছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মাহিন্দ্রা ও চাঁদের গাড়িসহ বিভিন্ন যানবাহনের অবৈধ স্ট্যান্ড। অবৈধভাবে মহাসড়কের দু’পাশের ফুটপাত দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে অস্থায়ী দোকান। এতে বটতলী মোটর স্টেশনে যানজট সমস্যা দিন দিন প্রকট হচ্ছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে পর্যটননগরী কক্সবাজার রুটে দূরপালার গাড়িগুলো বটতলী মোটর স্টেশনে যাত্রা বিরতি দেয়। প্রতিটি গাড়ি ২০-৩০ মিনিট এ স্টেশনে অবস্থান করে। লোকাল বাসগুলো যাত্রী ওঠানামা করে সড়কের ওপর। সওজের জায়গা দখল করে স্থাপিত হয়েছে দোকান ও মার্কেট, ফুটপাতের সিংহভাগ জায়গা দখল করে হয়েছে আস্থায়ী দোকান, বাইক পার্কিংসহ সিএনজি অটোরিকশা ও লেগুনা স্ট্যান্ড। তার ওপর রয়েছে দূরপাল্লার বাসের যাত্রা বিরতি। এসব কারণে সারাদিনই বটতলী স্টেশনে যানজট লেগে থাকে। অথচ এখানে নেই কোনো বাস টার্মিনাল।
লোহাগাড়া শহর পরিচালনা কমিটির সদস্য ও চমক শাড়িজের স্বত্বাধিকারী মোস্তফা কামাল বলেন, ‘দক্ষিণ চট্টগ্রামের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা লোহাগাড়া সদরের বটতলী মোটর স্টেশন। এই স্টেশনে যানজট কমাতে বাস টার্মিনাল খুবই প্রয়োজন।’
লোহাগাড়া শহর পরিচালনা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব রুবেল বলেন, ‘বাজার-সদাইসহ নানা প্রয়োজনে বিভিন্ন এলাকার লোকজন এ উপশহরে আসেন। শহরে বাণিজ্যের প্রসার ঘটছে দিন দিন। কিন্তু একটি বাস টার্মিনালের অভাবে পুরো এলাকার সৌন্দর্যহানির পাশাপাশি যানজট সমস্যা প্রকট হয়ে উঠছে। এতে জীবনযাত্রার গতি থমকে যাচ্ছে।’
এদিকে, যানজট নিরসনে ২০০৩ সালে শহরের উপকণ্ঠে পুরোনো বিওসি এলাকায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের বিশাল পরিত্যক্ত জমিতে বাস টার্মিনাল
নির্মাণের দাবি জানিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি দেয় লোহাগাড়া শহর উন্নয়ন কমিটি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। অভিযোগ রয়েছে চিঠিটি দেওয়ার পরপর সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা তড়িঘড়ি করে ভূমিদস্যুদের নামে মৎস্য চাষের জন্য জমিটি ইজারা দেন। এরপর ভূমিদস্যুরা মৎস্য প্রকল্প নাম দিয়ে এ জায়গায় আবাসিক ভবন, দোকানপাট, দালান নির্মাণ করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
লোহাগাড়া শহর উন্নয়ন কমিটির কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক জালাল আহমদ বলেন, ‘লোহাগাড়া সদরে যানজট সমস্যা দীর্ঘদিনের। সড়কের দুই পাশে যানবাহন যততত্রভাবে পার্কিং করে। পরিকল্পিত কোন গাড়িরই স্ট্যান্ড নেই। বাসটার্মিনালও নেই। যার কারণে যানজট সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। আমরা এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুরে অজ্ঞাত গাড়ির চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কে অজ্ঞাত গাড়ির চাপায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত ও আরেকজন আহত হয়েছেন।
রোববার রাত সোয়া ৭ টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার চুমুরদী ইউনিয়নের চুমুরদী বটতলা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, নিহত যুবক মাদারীপুরের রাজৈড় থানার পশ্চিম রাজৈড় গ্রামের লোকমান ফকিরের ছেলে অদুদ ফকির (২৫)। আহত রিয়াজুল ফকির একই এলাকার বাবুল ফকিরের ছেলে। তারা দুইজন বন্ধু।
এ বিষয়ে হাইওয়ে ভাঙ্গা থানার ওসি মো. রোকিবুজ্জামান বলেন, রাজৈড় থানা থেকে দুই বন্ধু একটি মোটরসাইকেলযোগে ভাঙ্গায় ফিরছিলেন। এসময় ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের চুমুরদী বটতলা নামক স্থানে পৌঁছালে অজ্ঞাত কোনো গাড়ি মোটরসাইকেল আরোহীকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন ও আরেকজন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত ও আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে।
ওসি আরও জানান, আহত যুবক ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। বর্তমানে তিনি আশঙ্কামুক্ত। নিহত যুবকের মরদেহ তার স্বজনের কাছে হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।