চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল, বরখাস্ত এসআই
Published: 1st, February 2025 GMT
চট্টগ্রামে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ঝটিকা মিছিল করেছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে নগরের ডবলমুরিং থানার পাঠানটুলি সড়কের নাজিরপোল মিড পয়েন্ট হাসপাতাল সড়কে মিছিল করেন তারা।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ঝটিকা মিছিল করায় খুলশী থানার এসআই হৃদয় মাহমুদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক মামলার সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আজ শনিবার এ তথ্য জানানো হয়।
গত বৃহস্পতিবার জিইসি এলাকায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের করা হয়। ওই রাতে অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগের পাঁচ কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে আজ সকাল সাড়ে সাতটার দিকে নগরের ডবলমুরিং থানার পাঠানটুলি সড়কের নাজিরপোল মিড পয়েন্ট হাসপাতাল সড়কে মিছিল করে ছাত্রলীগের আরেকটি গ্রুপ। মিছিলটি কদমতলি গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন ডবলমুরিং থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিব হায়দার।
ডবলমুরিং থানার ওসি কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, মিছিলের একটি ভিডিও দেখেছি। দেখার পর ওই এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়। তারা তন্ন তন্ন করে খুঁজেও মিছিলের কোনো প্রমাণ পায়নি। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে মিছিল স্বচক্ষে দেখেছেন- এমন সাক্ষীও পাওয়া যায়নি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এসআই বরখ স ত ম ছ ল কর
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুরে পুলিশের হাত থেকে আটক ব্যক্তি ছিনতাই
ফরিদপুরের সদরপুর থানা পুলিশের হাত থেকে এক আটক ব্যক্তি ছিনতাই হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আটক ওই ব্যক্তিকে ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে আটরশি বিশ্ব জাকের মঞ্জিল মোড় এলাকা থেকে ফারুক হোসেন বাকু নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। তিনি আটরশি এলাকার সাড়ে সাতরশি গ্রামের মৃত মানিক মল্লিকের ছেলে।
এ বিষয়ে সদরপুর থানা পুলিশের ভাষ্য, আটরশি উরস শরীফকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি আটরশি এলাকায় ফারুক হোসেন বাকু পার্শ্ববর্তী ভাঙ্গা থানার দুর্বৃত্তকারী লোকজন নিয়ে প্রতিনিয়ত মহরা দেয় নিজের শক্তি জানান দেওয়ার জন্য। পরে পুলিশ এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে বাকুকে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে।
বাকুকে আটকের পর থেকে মুক্ত করতে সদরপুর উপজেলা স্থানীয় বিএনপির’র একটি অংশ থানায় ছুটে আসেন।
এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাকতালীয় ভাবে আটক বাকু অসুস্থতার কথা জানালে স্থানীয় বিএনপির ওই অংশ তাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। ওই সময় থানার এসআই হাদীউজ্জামান ও সঙ্গীয় কনস্টেবল দিয়ে বাকুকে চিকিৎসার জন্য সদরপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মাইদুল হাসান শাওন তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেন।
এসআই হাদীউজ্জামান বলেন, ওই সময় আমি ও একজন কনস্টেবল ছিলাম। বাকুর প্রায় ২০ জন লোক ছিল। হাসপাতাল থেকে বের হলেই বাকুর লোকজন পুলিশের হাত থেকে তাকে ছিনিয়ে একটি প্রাইভেট কারে উঠিয়ে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে সদরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোতালেব হোসেন জানান, পুলিশের নিকট থেকে আটকৃত ফারুক হোসেন বাকুকে যারা ছিনিয়ে নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। এবং তাকে আটক করতে থানা পুলিশের অভিযান চলছে।