ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব ইউনুছ আহমদ বলেছেন, ক্ষমতায় গিয়ে সংস্কার করার প্রতিশ্রুতি জনগণ আর বিশ্বাস করে না। এর আগে একাধিক দলীয় সরকারই ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু কেউই সংস্কারের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেয়নি। দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য আগে রাষ্ট্র সংস্কার, পরে নির্বাচন করা জরুরি।
শনিবার বাগেরহাট শহরের স্বাধীনতা উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বাগেরহাট জেলা শাখার দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বাগেরহাট জেলা শাখার সভাপতি মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক লোকমান হোসাইন জাফরী।
ইউনুছ আহমদ বলেন, আমরা অভূতপূর্ব ঐক্যের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের বিলুপ্তি ঘটিয়েছি। পরে দেখলাম সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে ঐক্য দুই ভাগ হয়ে গেছে। ফ্যাসিস্টদের জায়গাগুলো দখল করেছে অন্য একটি দল, যা সচেতন মহলকে ভাবিয়ে তুলেছে। তারা আওয়ামী লীগের ভাষায় কথা বলছে। আওয়ামী লীগ নেতাদের মতো তারাও ওয়াজ মাহফিলে গিয়ে আলেমদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করছে।
সম্মেলন শেষে বাগেরহাট জেলা ২০২৫-২৬ সেশনের জন্য নতুন কমিটির ছয় সদস্যের নাম ঘোষণা করা হয়। নতুন কমিটিতে মাহফুজুর রহমান সভাপতি, সহসভাপতি ফকির শহিদুল ইসলাম, ফারুক হোসাইন ও এইচ এম সাইফুল ইসলাম এবং সেক্রেটারি মোশাররফ হোসাইন ও জয়েন্ট সেক্রেটারি মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবিতে শান্তি উৎসব উদযাপন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ‘প্রথম জাতীয় শান্তি উৎসব’ উদযাপিত হয়েছে।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঢাবির শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।
শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাকেরা খাতুনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী, অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী আরফান আশিক প্রমুখ।
এ সময় ঢাবি উপাচার্য বলেন, “সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অ্যালামনাইবৃন্দ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। আমরা একটি কঠিন সময় অতিক্রম করছি। মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চলছে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এসব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে।”
সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও মানুষের মধ্যে বিভেদ দূর করতে এ ধরনের উৎসব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
গোলটেবিল আলোচনা, আর্ট কম্পিটিশন, রচনা প্রতিযোগিতা, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, শান্তি র্যালি, কনসার্ট, পুনর্মিলনী ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী এ উৎসব উদযাপন করা হয়।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী