খেলাধুলার মাধ্যমে শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশ নিশ্চিত করতে সার্ফ এক্সেল নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এবার তারা ‘এক্সেল চ্যাম্পস’ নামে নতুন প্ল্যাটফর্ম করেছে, যার উদ্দেশ্য শিশুদের সার্বিক বিকাশে সহায়তা করা। দ্য ওয়েস্টিন ঢাকায় আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে এই প্ল্যাটফর্মটি উদ্বোধন করা হয়। শারীরিক, মানসিক, সৃজনশীল ও সামাজিক দক্ষতা বৃদ্ধি এই চারটি মূল বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে নতুন প্ল্যাটফর্মটি করা হয়েছে। 

অনুষ্ঠানে দেশের শীর্ষস্থানীয় বিদ্যালয়গুলোর অধ্যক্ষবৃন্দ, সুপরিচিত মনোবিজ্ঞানী ও জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সাররা উপস্থিত ছিলেন। কীভাবে সৃজনশীল খেলাধুলা শিশুদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে, মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং সার্বিক সুস্থতা নিশ্চিত করে- এই বিষয়গুলো নিয়ে তারা আলোচনা করেন। বর্তমানে ৭৫% শিশু অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম ও বাইরে কম যাওয়ার ফলে একসাথে খেলাধুলার উপকারিতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সার্ফ এক্সেলের নতুন প্ল্যাটফর্ম এই প্রবণতা বদলাতে চায়, যাতে শিশুরা দলবদ্ধভাবে খেলাধুলায় অংশ নিতে পারে এবং সহনশীলতা, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা ও সৃজনশীলতা গড়ে তুলতে পারে। 

এক্সেল চ্যাম্পস প্রতিযোগিতার কাঠামো
এক্সেল চ্যাম্পস একটি আন্তঃবিদ্যালয় প্রতিযোগিতা হিসেবে আয়োজিত হবে, যেখানে তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করতে পারবে। এখানে খেলাধুলার ফলে শিশুদের পরিবর্তনশীল বিকাশের বিশেষ মুহূর্তগুলো তুলে ধরা হবে।

উদ্যোগটির গুরুত্ব
অনুষ্ঠানে ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের হোম কেয়ার বিভাগের মার্কেটিং ডিরেক্টর নূরুল মনোয়ার বলেন, ‘আমরা চাই শিশুরা শুধু পড়াশোনায় নয়, জীবনের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাতেও দক্ষ হয়ে উঠুক। এক্সেল চ্যাম্পস আমাদের সেই প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন, যা কার্যকর কিন্তু সহজ খেলাধুলার মাধ্যমে শিশুদের সার্বিক বিকাশে সহায়তা করবে।’

অনুষ্ঠানের শেষে এক্সেল চ্যাম্পস-এর লক্ষ্য ও সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে একটি অনুপ্রেরণামূলক ভিডিও দেখানো হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প ল য টফর ম

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাবিতে প্রথমবারের মতো হিজাব র‍্যালি

আন্তর্জাতিক হিজাব দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) প্রথমবারের মতো হিজাব র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে থেকে র‍্যালিটি শুরু হয়ে টিএসসি হয়ে রাসেল টাওয়ার ঘুরে রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে শেষ হয়। এরপর সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়। আন্তর্জাতিক হিজাব দিবস উপলক্ষে র‍্যালির আয়োজন করে ‘প্রোটেস্ট এগেইনস্ট হিজাবোফোবিয়া ইন ডিইউ’ নামের একটি সংগঠন।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা অন্যান্য ক্ষেত্রে পোশাকের স্বাধীনতার কথা বলে থাকি, কিন্তু যখন হিজাবের কথা আসে, তখন স্বাধীনতার সম্মানটা কেউ করে না। তাঁরা বলেন, হিজাব আমাদের অধিকার। আমাদেরকে আমাদের কাজ দিয়ে বিবেচনা করুন, পোশাক দিয়ে নয়।’

সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিশকাতুল জান্নাত বলেন, ‘যেকোনো বিষয়ে জানার জন্য আমাদের তার পেছনের ইতিহাস জানা সব থেকে জরুরি। আমরা যেমন দেখেছি, জুলাই অভ্যুত্থানের মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার প্রোপাগান্ডার শিকার হয়েছি, ইতিহাস বিকৃত করা হচ্ছে। তাই আমরা যদি আমাদের ইতিহাস না জানি তাহলে এই হিজাব ডে এটি আস্তে আস্তে হারিয়ে যাবে।’ তিনি বলেন, বিগত চার বছর ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ বিশ্ব হিজাব দিবস ঘিরে কিছু কিছু ইভেন্ট করেছে। তবে সার্বিকভাবে এটা এখনো বাংলাদেশে পপুলার (জনপ্রিয়) না।

র‍্যালিটির অন্যতম আয়োজক স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংসদ নামে একটি সংগঠনের আহবায়ক জামালুদ্দিন খালেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘যাঁরা ফ্যাসিবাদের আমলে হিজাব–নিকাব পরিধান করেছেন, তাঁরা বিভিন্নভাবে হেনস্তার শিকার হয়েছেন। শুধু হিজাব–নিকাবই নয়, যাঁরা দাড়ি–টুপি পরতেন, তাঁরাও বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। পশ্চিমারা এগুলোকে একধরনের জঙ্গিবাদের চিহ্ন হিসেবে উপস্থাপন করেন। এই সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসার জন্যই মূলত আমাদের এই প্রচেষ্টা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ