দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলা চট্টগ্রাম থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরত্বে থাকা সত্ত্বেও এখানে উল্লেখযোগ্য তেমন কোনো শিল্প কারখানা গড়ে উঠেনি। এমতাবস্থায় এলাকার জনসাধারণের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং কৃষি খাতকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বাংলামার্ক লিমিটেড চন্দনাইশ উপজেলার পশ্চিম এলাহবাদে ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি অত্যাধুনিক এবং স্বয়ংক্রিয় কৃষিযন্ত্র ও যন্ত্রাংশ উৎপাদনকারী কারখানা স্থাপন করেছে। যেখানে সহস্রাধিক লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। বাংলামার্ক বিশ্বাস করে তাদের এই প্রকল্পটি আর্থসামাজিক ও কৃষি উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

শনিবার চন্দনাইশে বাংলামার্কের ওয়ার্কশপে ব্রি কৃষিযন্ত্র প্রস্তুত ও বিপণনের ওপর একটি লঞ্চিং প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মহাপরিচালক ড.

মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রি’র সাবেক মহাপরিচালক ড. মো: আব্দুল বাকী, এসএফএমআরএ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. এ কে এম সাইফূল ইসলাম, এলএসটিডি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো: মোফাজ্জল হোসেন, পিএসও ড. মো: গোলাম কিবরিয়া ভূঞা।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলামার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো: রফিকুল ইসলাম, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মো: সিরাজুল ইসলাম, ব্রি ও বাংলামার্কের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের কৃষিকে আধুনিক ও লাভজনক করতে স্থানীয়ভাবে কৃষিযন্ত্র উৎপাদন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বাংলামার্কের এই উদ্যোগ কৃষকদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে উচ্চমানের যন্ত্রপাতি নিশ্চিত করবে, যা কৃষির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। এটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং স্থানীয় প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধি করবে।

বাংলামার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য কৃষকদের কাছে স্বল্পমূল্যে উন্নত কৃষিযন্ত্র পৌঁছে দেয়া, যাতে তারা কম খরচে আধুনিক প্রযুক্তির সুবিধা নিতে পারেন। বাংলামার্ক দেশীয় কৃষিযন্ত্র উৎপাদনে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে প্রস্তুত। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রকল প ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

ছেলের বৌ-ভাতের অনুষ্ঠান থেকে আ.লীগ নেতা আটক

চট্টগ্রামের টাইগারপাস এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে ছেলের বৌ-ভাতের অনুষ্ঠান থেকে আটক হয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক শিল্প-বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ফখরুল আনোয়ার। তিনি ফটিকছড়ি আসনের সাবেক এমপি রফিকুল আনোয়ারের ওরফে সোনা রফিকের ছোট ভাই। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে খুলশী থানা পুলিশ তাকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) মুহাম্মদ ফয়সাল আহম্মেদ আওয়ামী লীগের নেতাকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নগরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল আনোয়ারকে আটক করা হয়েছে। তাকে থানায় নেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কয়টি মামলা রয়েছে তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা তাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সাবেক মেয়র এম মনজুর আলমের নাতনির সঙ্গে আওয়ামী লীগের সাবেক শিল্প-বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ফখরুল আনোয়ারের ছেলের আগেই বিয়ে হয়েছিল। শনিবার রাতে ওই বিয়ের বৌ-ভাত অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল টাইগারপাস এলাকার নেভি কনভেনশন হলে। রাত ৯টার দিকে বিয়েতে আগত কেউ আওয়ামী লীগের নেতাদের উপস্থিতির বিষয়টি সমন্বয়কদের অবগত করেন। হঠাৎ করেই শতাধিক যুবক কমিউনিটি সেন্টারের বাইরে জড়ো হয়। তারা এ সময় ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে’সহ নানা স্লোগান দিতে থাকেন। তারা ফখরুল আনোয়ারকে অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে ফখরুল আনোয়ারকে আটক করে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবর ছড়িয়েছে, বিয়ের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী এবং সাবেক এমপি (চট্টগ্রাম-২) খাদিজাতুল আনোয়ার সনিও ছিলেন। খাদিজাতুল আনোয়ার সম্পর্কে ফখরুল আনোয়ারের ভাতিজি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ