কুলাউড়ার প্রাচীনতম সামাজিক সংগঠন রাইজিং স্টার ক্লাব দক্ষিণ লংলা’র নবগঠিত কার্যনির্বাহী পরিষদের অভিষেক হয়েছে। এ উপলক্ষে গুণীজন সংবর্ধনা ও শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।

শনিবার বিকেলে পৃথিমপাশা ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির হিসেবে বক্তব্য রাখেন কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন।

নবগঠিত কমিটির সভাপতি সাংবাদিক সৈয়দ আশফাক হোসেন তানভীরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুয়েব উদ্দিন জিল্লুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পৃথিমপাশা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.

আব্দুল গফুর, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী কমিউনিটি নেতা ছকলেন আহমদ চৌধুরী।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন রাইজিং স্টার ক্লাব দক্ষিণ লংলার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের লাইফ মেম্বার এম মইনুল ইসলাম মছলু, কুলাউড়া অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক আব্দুল কুদ্দুছ, আব্দুল হান্নান এডুকেশন ট্রাস্টের চেয়ারম্যান নাজমুল বারী সোহেল, দৈনিক কালের কণ্ঠ প্রতিনিধি মাহফুজ শাকিল, পৃথিমপাশা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সজল কুমার দেব, দক্ষিণ লংলা কমিটির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. সোহেল, ইউপি সদস্য নেহার বেগম ও সুষমা রাণী বৈদ্য।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি কবি শামসুল আজাদ সামছুদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান, সাংগঠনিক সম্পাদক খোন্দকার মো. আব্দুর রহিম টিপু, ইসমাইল হোসেন সাগর, ফয়জুল হক, তোফায়েল বেগ প্রমুখ।

সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রধান অতিথি ও সংবর্ধিত অতিথিদের সম্মাননা স্মারক ও অর্ধশতাধিক শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি: পেঁপে ছাড়া ৫০ টাকার নিচে নেই কোনো সবজি

সরবরাহ কমের অজুহাতে বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। অধিকাংশ সবজি কিনতে গুণতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। সেই সঙ্গে দাম বেড়েছে মাছেরও। এতে অস্বস্তিতে পড়ছেন ক্রেতারা।

কয়েকজন ক্রেতা জানান, শীত মৌসুমের সবজি নিয়ে যে স্বস্তি ছিল, তা এখন আর নেই। বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম ৬০ টাকার ওপরে। কোনো কোনটির দাম একশো পেরিয়েছে।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি পটল, ঢ্যাঁড়স, ঝিঙা, চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এর চেয়ে কমে শুধু পেঁপে পাওয়া যাচ্ছে, তাও ৫০ টাকা কেজিতে। এছাড়া, করলা, বেগুন, বরবটি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়।

সবচেয়ে বেশি দাম দেখা গেছে কাঁকরোলের। গ্রীষ্মকালীন এই সবজিটি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। সজনে ডাঁটা ১২০ থেকে ১৪০ টাকা।

তবে ব্রয়লার মুরগি, ডিম ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় মুদি পণ্যের দাম আগের মতোই আছে। পেঁয়াজের দামও কয়েক সপ্তাহ বেড়ে এখন ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় আটকে আছে।

এদিকে, মাছের বাজারেও বাড়তি দাম দেখা গেছে। মা ইলিশ সংরক্ষণে নদীতে মাছ ধরা বন্ধ ও চাষের মাছের সরবরাহ কম থাকায় দাম কিছুটা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। এর মধ্যে, সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ইলিশ ও চিংড়ির দাম।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ প্রতি পিস ২ থেকে ৩ হাজার টাকা দাম হাঁকা হচ্ছে। অন্যদিকে, প্রতিকেজি চাষের চিংড়ি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, নদীর চিংড়ি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা জানান, স্বাভাবিক সময়ে এসব মাছের দাম কেজিতে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত কম থাকে। এছাড়া কই, শিং, শোল, ট্যাংরা, চাষের রুই, তেলাপিয়া,পাঙাশ ও পুঁটি মাছও আগের চেয়ে কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে।

ঢাকা/সুকান্ত/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ