বিপিএলের গ্রুপ পর্বের শেষ দিনও ছিল সমীকরণের নানা যোগ-বিয়োগ। জিতলে সুপার ফোর, হারলে বিদায় নিতে হত খুলনা টাইগার্সের। শেষ চারের সমীকরণ মিলিয়ে ফেলেছে তারা। চট্টগ্রাম কিংসের সামনে ছিল রংপুর রাইডার্সকে হটিয়ে কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করার চ্যালেঞ্জ।

টুর্নামেন্টের শেষ ম্যাচে সেজন্য টুর্নামেন্টের সেরা দল ফরচুন বরিশালকে হারাতো হতো চট্টগ্রামের। ওই সমীকরণও মিলিয়ে ফেলেছে মোহাম্মদ মিঠুনদের দল। তামিম ইকবালের দলকে ২৪ রানে হারিয়ে কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করেছে তারা। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে এই বরিশালের মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম কিংস। টানা ৮ জয় পাওয়া রংপুর রাইডার্সকে খেলতে হবে এলিমিনেটর। ৩ ফেব্রুয়ারি খুলনার মুখোমুখি হবে তারা।

শনিবার মিরপুর স্টেডিয়ামে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পারভেজ হোসেন ইমন, হায়দার আলী ও শামীম পাটোয়ারির ব্যাটে ৪ উইকেটে ২০৬ রান করে চট্টগ্রাম। দারুণ এক ফিফটি করেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে থাকা চট্টগ্রামে ওপেনার পারভেজ ইমন। 

চট্টগ্রাম ৬.

৫ ওভারে ৫৮ রানের জুটি গড়েন। পাকিস্তানি তরুণ ব্যাটার খাজা নাফি ১৯ বলে ২২ রান করে ফিরে যান। এরপর পারভেজ ইমন ও গ্রাহাম ক্লার্ক ৭০ রানের জুটি গড়েন। ক্লার্ক ফিরে যান ২১ বলে ৩৬ রান করে। দুটি ছক্কা ও একটি চার মারেন তিনি।

ইমন খেলেন ৪১ বলে ৭৫ রানের ইনিংস। তার ব্যাট থেকে আটটি ছক্কার শট আসে। তিনি চার মারেন মাত্র একটি। শেষে হায়দার ও শামীম ঝড়ো ব্যাটিং করে দলের রান দুইশ’র ওপরে নিয়ে যান। পাকিস্তানি মিডল অর্ডার ব্যাটার হায়দার ২৩ বলে ৪২ রান করেন। তিনটি করে চার ও ছক্কা মারেন। শামীম ১২ বলে ৩০ রান করেন। তিনটি চারের সঙ্গে দুটি ছক্কা হাঁকান।

জবাব ৭ উইকেটে ১৮২ রান করতে পারে বরিশাল। ক্রিজে নেমে শূন্য করে ফিরে যান বরিশাল ওপেনার তামিম। তাওহীদ হৃদয় ৯ রানে সাজঘরে ফিরলে ১৩ রানে ২ উইকেট হারায় গেল আসরের চ্যাম্পিয়নরা। সেখান থেকে ডেভিড মালান ও মুশফিকের ব্যাটে ধাক্কা সামলে নেয় বরিশাল। মুশফিক ২২ বলে ২৪ রান করে ফিরে যান।

পরে ডেভিড মালান ও মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে জয়ের আশা বেঁচে ছিল বরিশালের। কিন্তু ১৪তম ওভারের শেষ বলে দলের ১২২ রানে আউট হন মালান। ইংলিশ ব্যাটার ৩৫ বলে ৬৭ রান করেন। ছয়টি ছক্কা ও পাঁচটি চারের শট খেলেন তিনি। রিয়াদ শেষ পর্যন্ত খেলে ২৬ বলে ৪১ রান যোগ করতে পারেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল র ন কর

এছাড়াও পড়ুন:

জেলেপল্লির শিশুরা পেল শীত-সুরক্ষাসামগ্রী

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার মাছুয়া ইউনিয়নের কাটাখালে জেলেপল্লির সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের মাঝে শীতের সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ করে হাতেখড়ি ফাউন্ডেশন। সহযোগিতায় ছিলেন সমাজসেবক এ আর মামুন খান। অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর মাঝে এ উপকরণ তুলে দেয় হাতেখড়ি ফাউন্ডেশন। 
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসকিয়া জানায়, শীতের সুরক্ষাসামগ্রী উপহার পেয়ে অনেক উপকার হয়েছে। তার বাবা নদীতে মাছ ধরে সব সময় কিনে দিতে পারেন না সুরক্ষাসামগ্রী। তাদের সেই অভাব পূরণ হয়েছে।
হাতেখড়ি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক রুবেল মিয়া নাহিদ বলেন, ‘সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কল্যাণে নানা আয়োজন করে থাকে হাতেখড়ি ফাউন্ডেশন। তারই ধারাবাহিকতায় এই উদ্যোগ। আমরা আজ শিশুদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার গুরুত্ব ও নিজেদের শরীরের যত্ন নেওয়ার ব্যাপারে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। এসব সামগ্রী শিশুদের মুখে এক চিলতে হাসি ফুটিয়ে তুলবে। এটিই আমাদের চাওয়া।’
সমাজসেবক এ আর মামুন খান বলেন, ‘সমাজের সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে এভাবে এগিয়ে এলে জেলেপল্লির শিশুরা উৎসাহ পাবে এবং ঝরে পড়ার হারও কমে আসবে।’
দক্ষিণাঞ্চলের বলেশ্বর নদীতীরবর্তী জেলেদের সন্তানদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করছে হাতেখড়ি ফাউন্ডেশন। নিজস্ব সংস্কৃতি বিকাশ ও তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ করতে বিভিন্ন সুযোগ সৃষ্টি করাসহ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর শিশুদের শিক্ষা, বৈষম্য দূর করাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার আওতায় নিয়ে আসতে চেষ্টা করে যাচ্ছে সংগঠনটি। এছাড়াও বাল্যবিয়ে রোধ, যৌন হয়রানি প্রতিরোধে সচেতনতামূলক প্রচারণা, বিনা মূল্যে 
রক্তদানসহ বিভিন্ন সামাজিক কাজেও রয়েছে হাতেখড়ি ফাউন্ডেশনের বিচরণ। ২০১৮ সালের ১৭ মার্চ হাতেখড়ি ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন প্রজেক্টের মাধ্যমে কাজ করছে সংগঠনটি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ