লিবিয়া উপকূলে ২০ বাংলাদেশির মরদেহ ভেসে আসার খবর
Published: 1st, February 2025 GMT
ভূমধ্যসাগরে একটি নৌকাডুবির পর লিবিয়ার ব্রেগা উপকূলে ভেসে আসছে মরদেহ। ডুবে মরে যাওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে বাংলাদেশিরাও ছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
নিহতের জাতীয়তা সম্পর্কে কোনো সূত্র নিশ্চিত করতে পারেনি। এ পর্যন্ত সেখানে ২০টি মরদেহ পাওয়া গেছে। দূতাবাসের পক্ষ থেকেও মৃতদের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়নি।
তবে লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, স্থানীয় রেড ক্রিসেন্টের ধারণা, তারা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক।
শুক্রবার (৩১ ফেব্রুয়ারি) লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানানো যাচ্ছে, লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে ভূমধ্যসাগরের উপকূলবর্তী ব্রেগা তীরে বেশ কয়েকজন অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে বাংলাদেশ দূতাবাস বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছে। স্থানীয় উদ্ধারকারী কর্তৃপক্ষের মতে, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের একটি নৌকা ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়ার পর এসব মরদেহ ব্রেগা তীরে ভেসে এসেছে। উদ্ধারকৃত মরদেহগুলোর মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিক থাকার আশঙ্কার কথা বিভিন্ন সূত্রে জানা গেলেও, এ বিষয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি। তবে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের জন্য দূতাবাস স্থানীয় কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ রক্ষা করছে।
এ দুর্ঘটনায় মৃত, আহত বা ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশি নাগরিকদের বিষয়ে যে কোনো তথ্য জানানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা যাচ্ছে। তথ্য জানাতে ফেসবুক কমেন্টে অথবা দূতাবাসের নিম্নোক্ত দাপ্তরিক মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে: +২১৮৯১৬৯৯৪২০২ এবং +২১৮৯১৬৯৯৪২০৭।
নৌকাডুবির ঘটনায় মৃতদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তবে দূতাবাস এখনো ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য ছাড়পত্র পায়নি বলে জানা গেছে।
এদিকে, লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি, ইতালি যাওয়ার পথে নৌকাডুবির ঘটনায় ২০ বাংলাদেশি মারা গেছেন। তবে আমরা এখনো চূড়ান্তভাবে নিশ্চিত নই। এ বিষয়ে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি।
বেশ কয়েকটি সূত্র জানায়, গত ২৪ জানুয়ারি লিবিয়া উপকূল থেকে ভূমধ্যসাগরে হয়ে একটি নৌকা ইতালির উদ্দেশ্য রওয়ানা দেয়। ওই নৌকায় অনেক বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন। নৌকাটি ডুবে গিয়ে লাশ ভেসে আসছে লিবিয়া উপকূলে। তবে ওই নৌকায় ঠিক কতজন বাংলাদেশি ছিলেন, তা এখনো জানা যায়নি।
ঢাকা/হাসান/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য মরদ হ উপক ল
এছাড়াও পড়ুন:
বইয়ের পাতার টাটকা ঘ্রাণ...
বইমেলা এলে অবাক হয়েই তাকিয়ে থাকেন পরিবারের বড় সদস্যরা। আমাদের তরুণরা নেটে পড়ে থাকে। খাবার টেবিলেও তারা ফেসবুক পড়ে। চলতি পথে ইমো, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ তাদের নিত্যসঙ্গী। এত কিছুর পরও মেলার প্রথম দিন থেকেই তরুণদের মেলার পথে ছুটতে দেখে বড়রা চোখ কপালে তোলেন। নিজেদের বিশ্বাস করাতে পারেন না। এটিই এখন মেলাকেন্দ্রিক তরুণদের বাস্তবতা।
বইমেলা যেভাবে এলো
বাংলা একাডেমির বটতলা চত্বরে ১৯৭২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মাত্র ৩২টি বই দিয়ে চিত্তরঞ্জন সাহা বই প্রদর্শনী ও বিক্রি শুরু করছিলেন। সময়ের বিবর্তনে সেটিই আজ লাখো মানুষের প্রাণের মেলা হয়েছে। ছড়িয়ে পড়েছে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ছাড়িয়ে তৎসংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষার জন্য জীবন দিয়েছিলেন যারা, মূলত তাদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভাষার জন্য যুদ্ধ করে মুখের ভাষা রক্ষা করার যে অনন্য উদাহরণ, এটি জীবিত রাখার মানসেই একুশে বইমেলার নামকরণ। এসব ইতিহাস খুব ভালো করেই জানে আজকের তরুণ সেলফিবাজরা! তারা বুক চিতিয়ে বলতে দ্বিধা করে না বাংলাই তাদের মাতৃভাষা।
সভ্যতার শুরু থেকে
মানুষের বই পড়ার অভ্যাস সেই আদিকাল থেকেই। এই পাঠ্যাভ্যাসের তথ্য সভ্যতার শুরু থেকে। প্রথমদিকে বই অবশ্য দুর্লভ ছিল। তখনকার বই ছিল তালপাতার কিংবা মাটির পাতে। তারপর যখন বই হয়ে উঠল কাগজে ছাপানো বস্তু, তখন সেটি সুলভ হয়ে উঠল। সাধারণ মানুষও বই পড়তে শুরু করল। বই পড়া শুরু করার পরই বদলাতে শুরু করল জগৎ। বই কেন পড়া দরকার, সে সম্পর্কে দুনিয়াখ্যাত মহামানবরাও দিয়ে গেছেন নানা উক্তি। যেমন– স্পিনোজা বলেছেন, ‘ভালো খাবার পেট ভরায় আর ভালো বই মানুষের আত্মাকে পরিতৃপ্ত করে।’ ওদিকে দেকার্তে বলে গিয়েছেন, ‘ভালো বই পড়া মানে সেরা মানুষের সঙ্গে কথা বলা।’ ফরাসি যোদ্ধা ও সম্রাট নেপোলিয়ন তো জাহাজডুবির আগ পর্যন্ত বই পড়ার কথা বলেছেন।
বদলে নিন নিজেকে
ছোট্ট একটা জীবন আমাদের। এই জীবন চলার পথে রাজ্যের মানসিক ও শারীরিক যন্ত্রণার দেয়াল ঠেলে চলতে হয়। প্রতিনিয়ত আমরা কোনো না কোনোভাবে যাতনা ভোগ করি। এসব এড়ানোর একমাত্র উপায় হচ্ছে বই। মাঝেমধ্যে আমরা বড়ই উদাসীন হয়ে যাই। এই উদাসীনতা কাটাতে বইয়ের বিকল্প নেই। তাই বই পড়ার অভ্যাস করুন। নিজের ভেতর থেকেই নিজেকে বদলে ফেলুন।
তরুণদের এগিয়ে চলার সঙ্গী বই
প্রযুক্তিই জ্ঞানের সর্বোচ্চ ধাপ, এমন মনে করে না আজকের তরুণরা। তাদের এগিয়ে চলার সঙ্গী বই। তাই বলে প্রযুক্তিকে দূরে ঠেলা যাবে না। যতটা তাদের কাজে লাগে, ঠিক ততটাই প্রযুক্তিমুখী হয় তারা। যারা লিখতে আসে, তাদের অনেকেই সাহিত্যমুখী। আগের লেখকদের লেখা পড়ে নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করে। তরুণদের কাছে বই একান্ত প্রিয় মানুষটির চেয়েও যেন আপন!u