ইউক্রেনে নির্বাচন চায় ট্রাম্প প্রশাসন
Published: 1st, February 2025 GMT
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চায় আগামী মাসগুলোতে রাশিয়ার সাথে যুদ্ধবিরতিতে কিয়েভ যদি সম্মত হয়, তাহলে ইউক্রেনে নির্বাচন হোক। এই নির্বাচন চলতি বছরের শেষের দিকে হওয়াটাই কাম্য। ইউক্রেন ও রাশিয়ার জন্য ট্রাম্পের বিশেষ দূত কিথ কেলগ এক সাক্ষাৎকারে রয়টার্সকে এ কথা বলেছেন।
কিথ কেলগ জানিয়েছেন, রাশিয়ার সাথে যুদ্ধের সময় স্থগিত ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ও সংসদীয় নির্বাচন ‘করতে হবে।’
তিনি বলেছেন, “বেশিরভাগ গণতান্ত্রিক দেশে যুদ্ধের সময় নির্বাচন হয়। আমি মনে করি তাদের এটি করা গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি এটা গণতন্ত্রের জন্য ভাল। এটাই দৃঢ় গণতন্ত্রের সৌন্দর্য, যেখানে একাধিক ব্যক্তির সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে।”
ট্রাম্প এবং কেলগ উভয়ই জানিয়েছেন, রাশিয়া-ইউক্রেনে যুদ্ধ অবসানে তারা একটি চুক্তির মধ্যস্থতা করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন।
ট্রাম্পের পরিকল্পনার ব্যাপারে এখনো নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে কেলগ এবং হোয়াইট হাউসের অন্যান্য কর্মকর্তারা সাম্প্রতিক দিনগুলোতে রাশিয়ার সাথে প্রাথমিক যুদ্ধবিরতির অংশ হিসাবে ইউক্রেনকে নির্বাচনে সম্মত হওয়ার জন্য চাপ দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের আলোচনার সাথে পরিচিত দুই ব্যক্তি জানিয়েছেন, ট্রাম্প কর্মকর্তারা স্থায়ী চুক্তির মধ্যস্থতার চেষ্টা করার আগে প্রাথমিক যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দেওয়া উচিত কিনা তা নিয়েও বিতর্ক করছেন। যদি ইউক্রেনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে বিজয়ী প্রেসিডেন্ট মস্কোর সাথে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির আলোচনার জন্য দায়বদ্ধ হতে পারেন।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউক র ন র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনে যত দেরি, ক্ষতি তত বেশি: আমীর খসরু
নির্বাচনে যত দেরি হবে, দেশ তত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, নির্বাচন যত দেরি করবে, দেশ তত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে, দেশে শান্তিশৃঙ্খলা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, দেশের দ্রব্যমূল্যের বিষয়টি দিন দিন খারাপ হচ্ছে, সেটা আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে।
আজ সোমবার জাতীয়তাবাদী কর আইনজীবী ফোরামের নবনির্বাচিত কমিটিকে নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, ‘আমরা মনে করি, দেশের মানুষের স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে দ্রুততম সময়ে গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনতে হবে। একেকটা দিন যাচ্ছে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যতীত, একেকটা সমস্যা বাড়ছে। এর থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হলো গণতান্ত্রিক অর্ডারের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে জবাবদিহি নিশ্চিত করা।’ তিনি বলেন, দায়বদ্ধ সরকার, যাদের পলিটিক্যাল ওয়েট থাকবে, যাদের পলিটিক্যাল মোবিলাইজেশন ক্যাপাসিটি থাকবে, যাদের পেছনে জনগণের সমর্থন থাকবে, তারাই এ সমস্যার সমাধান করতে পারে।
বিএনপি নেতা আমীর খসরু বলেন, পুলিশ, র্যাব ও সরকারি কর্মকর্তারা জনগণের সমর্থন ছাড়া কোনো কিছুর সমাধান করতে পারবেন না।
নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে সম্ভব কি না, জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন, নির্বাচন জুন মাসের মধ্যে সম্ভব। নির্বাচন কমিশন যেটা বলছে, তাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে কোনো সন্দেহ প্রকাশ করছে না। নির্বাচনের বিষয়টা সরকারকে বলতে হবে। সরকারের পলিটিক্যাল উইল (রাজনৈতিক ইচ্ছা) থাকতে হবে, ইচ্ছা থাকতে হবে এবং সেটার অপেক্ষায় জনগণ আছে।
এর আগে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ কর আইনজীবী ফোরামের নবনির্বাচিত নেতারা জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করেন। এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, কর আইনজীবী ফোরামের সভাপতি মাহবুবুস সালেকীন, সাধারণ সম্পাদক আবু নাসের মেসবাহ উপস্থিত ছিলেন।