ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ‘প্রথম জাতীয় শান্তি উৎসব’ উদযাপিত হয়েছে।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঢাবির শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।
শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাকেরা খাতুনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড.
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী, অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী আরফান আশিক প্রমুখ।
এ সময় ঢাবি উপাচার্য বলেন, “সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অ্যালামনাইবৃন্দ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। আমরা একটি কঠিন সময় অতিক্রম করছি। মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চলছে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এসব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে।”
সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও মানুষের মধ্যে বিভেদ দূর করতে এ ধরনের উৎসব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
গোলটেবিল আলোচনা, আর্ট কম্পিটিশন, রচনা প্রতিযোগিতা, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, শান্তি র্যালি, কনসার্ট, পুনর্মিলনী ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী এ উৎসব উদযাপন করা হয়।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সহজ-সরল পাত্রী, বিয়ে করতে এসে পাত্র দেখলেন উল্টো চিত্র
ঈদ উৎসব পেরিয়ে এবার আসছে অন্য এক প্রেমের নাটক ‘মেঘের বৃষ্টি’। যে গল্পে ফারহান আহমেদ জোভানকে দেখা যাবে আমেরিকা প্রবাসী এক যুবকের চরিত্রে। অন্যদিকে নাজনীন নীহাকে দেখা যাবে ঢাকা মেডিকেলের শিক্ষার্থী হিসেবে।
গল্পের শুরুতে দেখা যাবে, আমেরিকা থেকে দেশে এসে বিয়ে করার পরিকল্পনা করছে মেঘ। তার মা তাকে প্রতিবারই দেশ থেকে কিছু পাঠালে মেয়েদের ছবি এবং নিজ হাতে তাদের বৃত্তান্ত লিখে পাঠায়। অনিচ্ছাতেও সেখান থেকে মেঘ একটা খাম খোলে। যার নাম ঋতু। তার জীবনবৃত্তান্তে মা লিখেছেন, ‘মেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পড়ে। খুবই নরম স্বভাবের মেয়ে। সাধারণত বোরকা-হিজাব ছাড়া বাসা থেকে বের হয় না। নামাজি, কম কথা বলে। আমার ধারণা এ মেয়ে তোরে জ্বালাবে না, তোর মুখের ওপর কথা বলবে না। তোর কথায় উঠবস করবে। শুধু একটাই সমস্যা, মেয়ের কোনও ভাই-বোন নাই। তার মানে তুই শালা-শালীর সাথে মজা করার সুযোগ পাবি না। অবশ্য সবকিছু একসাথে পাওয়া যায় না। মেয়ের রেটিং ১০-এর মধ্যে ১০।’
মায়ের বর্না নয়, বরং ঋতুর ছবি এক দেখাতেই পছন্দ হয় মেঘের। সে সিদ্ধান্ত নেয় দেশে গিয়ে এই মেয়েকেই বিয়ে করবে। তার কিছুদিনপরই সে দেশে আসে এবং ঋতুর সাথে দেখা করে। কিন্তু তার মা জীবনবৃত্তান্তে যা বলেছে, ঋতু তার উল্টো!
এখানে মেঘ চরিত্রে জোভান আর ঋতু চরিত্রে নীহা অভিনয় করেছেন। ইমদাদ বাবুর গল্প ও চিত্রনাট্যে সিএমভি’র ব্যানারে নাটকটি বানিয়েছেন মাসরিকুল আলম।
নির্মাতা জানান, এটা দুর্দান্ত একটি প্রেমের গল্প। তবে তাতে রয়েছে বিরহের স্বাদও।
প্রযোজক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু জানান, ঈদ উৎসবে টানা ১৪টি বিশেষ নাটক মুক্তি পেয়েছে সিএমভির ইউটিউব চ্যানেলে। সেসব থেকে দারুণ সাড়া মিলছে এখনও। তবে ঈদ উৎসবের আমেজ পেরিয়ে ফের প্রতিষ্ঠানটি শুরু করছে স্বাভাবিক কার্যক্রম। তারেই শুরুটা হচ্ছে ‘মেঘের বৃষ্টি’ দিয়ে। এটি দ্রুতই মুক্তি পাবে প্রতিষ্ঠানটির ইউটিউব চ্যানেলে।