বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, স্বৈরাচারের মাথাটা পালিয়ে গেছে। তবে স্বৈরাচারের কিছু কিছু অবশিষ্ট রয়ে গেছে বাংলাদেশে। যে কোনো সময় ভিন্ন আঙ্গিকে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। যদি দেশকে রক্ষা করতে হয়, দেশের মানুষকে রক্ষা করতে হয়, তাহলে ঐক্যের বিকল্প নেই। শনিবার বিকেলে আশুগঞ্জের আব্বাস উদ্দিন খান সোহাগপুর মডেল কলেজ মাঠে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, আমরা ৩১ দফা দিয়েছি। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য শিক্ষার অধিকার, স্বাস্থ্যের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। বেকারত্ব দূর, কৃষি ও শিল্প খাতের উন্নয়ন ৩১ দফায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আমরা কৃষককে ন্যায্যমূল্য দিতে চাই। তবে লাগামহীন দ্রব্যমূল্য যেন জনগণের মধ্য নাভিশ্বাসের কারণ না হয়।

তারেক রহমান বলেন, অচল কলকারখানা সচল করতে হবে। আমাদের অসংখ্য নদনদী খাল ভরাট হয়ে গেছে, এগুলো খনন করতে হবে। আগামী দিনে সংসদের মেয়াদ কত হবে, সংখ্যা কত হবে– গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এই বিতর্ক থাকতেই পারে। দিনশেষে আমরা এগুলো জনগণের ওপর ছেড়ে দেব। এই নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত বিতর্ক রাষ্ট্র মেরামতের কাজকে বিঘ্নিত করবে। তবে এর একমাত্র সহজ উপায় জাতীয় নির্বাচন। জনগণের ভোটের মাধ্যমে এর ফয়সালা হবে। 

তিনি বলেন, গত ১৫ বছর জনগণের ভোট দেওয়ার অধিকার ছিল না। জবাবদিহি ছিল না। অস্ত্রের মুখে সব অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। আমরা ডামি নির্বাচন, ভোটারবিহীন নির্বাচন, ভোট ডাকাতির নির্বাচন দেখেছি। উন্নয়নের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা হয়েছে। বিএনপির কর্মী হিসেবে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থেকে জাতিকে পথ দেখাতে হবে। 

সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মো.

বরকত উল্লাহ বুলু। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া, মোস্তাক আহম্মেদ, ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন শ্যামল, সায়েদুল হক সাইদ, শেখ মো. শামীম, সালাউদ্দিন শিশির, হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, মো. জহিরুল হক খান, মো. সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, মো. কবির আহম্মেদ ভূঁইয়া প্রমুখ।
এ সম্মেলন ঘিরে জেলা বিএনপি দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। গত ২৮ ডিসেম্বর ও ১৮ জানুয়ারি দুই দফা তারিখ নির্ধারণ করেও সম্মেলন করা যায়নি। পরে আজকের সম্মেলনে উভয় গ্রুপের উপস্থিতি দেখা গেছে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ত র ক রহম ন ব এনপ র জনগণ র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচিত সরকারকে হাসিনার বিচার করার সুযোগ দিন: জালাল

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব ড. মো. জালাল উদ্দিন বলেছেন, “একটি নির্বাচিত সরকারের হাতে নেতৃত্ব তুলে দিন এবং ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিচার করার সুযোগ দিন। আর সময় ক্ষেপণ না করে দ্রুত নির্বাচন দিয়ে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিন। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ নিজের ভোট নিজে দিয়ে যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখবে।”

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে চাঁদপুরের মতলব নিউ হোস্টেল মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ড. মো. জালাল উদ্দিন বলেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাষ্ট্র সংস্কারে যে ৩১ দফা দিয়েছেন, সে দফাগুলো বাস্তবায়নে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। ফ্যাসিবাদ সরকারের নিপীড়ন, নির্যাতন, হামলা, মামলার কারণে আমাদের দলের নেতাকর্মীরা গত ১৭ বছর বাড়িতে থাকতে পারেনি। এখন সময় এসেছে ঘুরে দাঁড়াবার।”

আরো পড়ুন:

ফ্যাসিবাদের সহযোগীদের বিএনপিতে স্থান নেই: ফরিদ আহমেদ

গাজীপুরে যুবদলের শীতবস্ত্র বিতরণ

তিনি আরো বলেন, “পাশের দেশ ভারত থেকে নানা ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে হাসিনাসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা। তাই ষড়যন্ত্র ঠেকাতে দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার করে নির্বাচন দেওয়া প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।”

মতলব দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এনামুল হক বাদলের সভাপতিত্বে ও পৌর বিএনপির সভাপতি শোয়েব আহমেদ সরকারের পরিচালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- বিএনপি নেত্রী ইঞ্জিনিয়ার শাহনাজ শারমিন রিতু, মতলব দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সাগর, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন প্রধান (ভিপি জাকির), জেলা যুবদলের সভাপতি মানিকুর রহমান মানিক, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমদাদ হোসেন খান, ছেংগারচর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর প্রধান। 

ঢাকা/অমরেশ/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হাসিনা ভালো হয়নি, ভারত থেকেও দুষ্টুমি করছেন: ফখরুল  
  • ড্রামের খোলা ভোজ্যতেল জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি
  • রাষ্ট্র পুনর্গঠনে পিছিয়ে গেলে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে: তারেক রহমান
  • বাহাত্তরের সংবিধানের মূলনীতি বাতিল চায় না বিএনপি
  • নির্বাচিত সরকারকে হাসিনার বিচার করার সুযোগ দিন: জালাল
  • সেনাবাহিনীকে নিয়ে আনন্দবাজারের সংবাদ মিথ্যা: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
  • আনন্দবাজারের প্রতিবেদনকে ‘বলিউডি রোমান্টিক কমেডি’ বলল প্রেস উইং