ঝিনাইদহে পিকনিকে এসে বিরিয়ানি খেয়ে বাগেরহাট সদরের চুলকাঠি এলাকার শিশু কানন আদর্শ বিদ্যাপিঠের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অর্ধশতাধিক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। শনিবার রাত ৮টা পর্যন্ত ৪৫ জন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চিকিৎসকরা বলছেন, খাদ্যে বিষক্রিয়ায় তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। 

জানা গেছে, বাগেরহাট সদরের শিশু কানন আদর্শ বিদ্যাপিঠ থেকে দুটি বাসে করে ১০৮ জন ঝিনাইদহ জোহান ড্রিম ভ্যালী পার্কে পিকনিকে যান। পথিমধ্যে তারা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনের একটি হোটেল থেকে চিকেন বিরিয়ানি ক্রয় করেন। পরে তারা পার্কে গিয়ে দুপুর ২টার দিকে খাবার খান। এর ঘণ্টাখানেক পরেই অধিকাংশের বমি এবং ডায়রিয়া দেখা দেয়। পরে তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

শিশু কানন আদর্শ বিদ্যাপিঠের শিক্ষক ননী গোপাল আচার্য বলেন, খাবার খাওয়ার কিছু সময় পর থেকেই কেউ কেউ বমি করছে। অনেকেই অজ্ঞান হয়ে পড়েছেন। কারো কারো পেটে ব্যথা শুরু হয়েছে। অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীসহ অন্যরাও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের মধ্যে অনেককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা.

সুলতানা মেফতাহুল জান্নাত বলেন, খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের মধ্যে বয়স্কদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঝ ন ইদহ

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই সনদ হলে কিছু সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকার বাস্তবায়ন করবে, বাকিগুলো করবে রাজনৈতিক সরকার: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ছয়টি কমিশনের সুপারিশ করা সংস্কার প্রস্তাবগুলো নিয়ে সংলাপ শেষে রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই সনদ (জুলাই চার্টার) স্বাক্ষর করবে। অন্তর্বর্তী সরকার এই সনদের সুপারিশগুলোর কিছু অংশ বাস্তবায়ন করবে এবং বাকিগুলো বাস্তবায়ন করবে পরবর্তী রাজনৈতিক সরকার।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচন চলতি বছরের ডিসেম্বরে বা আগামী বছরের জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ‘রাইট টু ফ্রিডম’–এর প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম বি মাইলাম আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন। এ সময় ‘রাইট টু ফ্রিডম’–এর নির্বাহী পরিচালক জন ড্যানিলোউইচ উপস্থিত ছিলেন। প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই কথা জানানো হয়েছে।

সাবেক দুই কূটনীতিক উইলিয়াম বি মাইলাম ও জন ড্যানিলোউইচ প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসকে রাইট টু ফ্রিডমের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন। তাঁরা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সহায়তার অংশ হিসেবে তাদের প্রচেষ্টার পরিকল্পনার কথা প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরেন। অধ্যাপক ইউনূস রাইট টু ফ্রিডমের কাজ এবং বাংলাদেশের মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে এগিয়ে নিতে সহায়তা প্রচেষ্টার জন্য তাঁদের প্রশংসা করেন।

মাইলাম ১৯৯০–এর দশকের গোড়ার দিকে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের দূত ছিলেন। অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগের প্রশংসা করে তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান বাংলাদেশে ব্যাপক সংস্কার এবং একটি সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বড় সুযোগ এনে দিয়েছে।

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের উপ-রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন জন ড্যানিলোউইচ। তিনি বলেন, ভুয়া খবর ও ভুল তথ্যের বিপদ মোকাবিলায় বাংলাদেশের ইতিবাচক বয়ান এবং জোরালো প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস কূটনীতিকদের বলেন, ছয়টি কমিশনের সুপারিশকৃত সংস্কারের ওপর সংলাপ শেষে রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই সনদ স্বাক্ষর করবে। ‘জুলাই চার্টার আমাদের পথ প্রদর্শন করবে’, উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই সনদের সুপারিশগুলোর কিছু অংশ বাস্তবায়ন করবে এবং বাকিগুলো বাস্তবায়ন করবে পরবর্তী রাজনৈতিক সরকার।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো ভোটের আগে কম সংস্কারে সম্মত হলে চলতি বছরের ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন হবে। অথবা আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাবেক দুই কূটনীতিকের সাক্ষাতে বর্তমান বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্ক, রোহিঙ্গা সংকট, আগের আমলে চুরি যাওয়া কোটি কোটি ডলার উদ্ধার, সার্ক পুনরুজ্জীবিত করার প্রধান উপদেষ্টার প্রচেষ্টাসহ নানা বিষয়েে আলোচনা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ