পিকনিকের বিরিয়ানি খেয়ে অসুস্থ অর্ধশতাধিক
Published: 1st, February 2025 GMT
ঝিনাইদহে পিকনিকে এসে বিরিয়ানি খেয়ে বাগেরহাট সদরের চুলকাঠি এলাকার শিশু কানন আদর্শ বিদ্যাপিঠের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অর্ধশতাধিক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। শনিবার রাত ৮টা পর্যন্ত ৪৫ জন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চিকিৎসকরা বলছেন, খাদ্যে বিষক্রিয়ায় তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
জানা গেছে, বাগেরহাট সদরের শিশু কানন আদর্শ বিদ্যাপিঠ থেকে দুটি বাসে করে ১০৮ জন ঝিনাইদহ জোহান ড্রিম ভ্যালী পার্কে পিকনিকে যান। পথিমধ্যে তারা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনের একটি হোটেল থেকে চিকেন বিরিয়ানি ক্রয় করেন। পরে তারা পার্কে গিয়ে দুপুর ২টার দিকে খাবার খান। এর ঘণ্টাখানেক পরেই অধিকাংশের বমি এবং ডায়রিয়া দেখা দেয়। পরে তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শিশু কানন আদর্শ বিদ্যাপিঠের শিক্ষক ননী গোপাল আচার্য বলেন, খাবার খাওয়ার কিছু সময় পর থেকেই কেউ কেউ বমি করছে। অনেকেই অজ্ঞান হয়ে পড়েছেন। কারো কারো পেটে ব্যথা শুরু হয়েছে। অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীসহ অন্যরাও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের মধ্যে অনেককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঝ ন ইদহ
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রলার থামাতে বলায় নাফ নদে ঝাঁপ, মাদক কারবারির মৃত্যু
কোস্টগার্ডের হাত থেকে বাঁচতে নাফ নদে ঝাঁপ দিয়ে এক মাদক কারবারির মৃত্যু হয়েছে। অভিযানের সময় ট্রলারে এক লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবাসহ একজন আটক হয়েছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম আব্দুস শফি (৪৫)। তিনি শাহপরীর দ্বীপ ডাঙ্গরপাড়ার বাসিন্দা। আর আটক তুহিন পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা। তবে শফির পরিবারের দাবি, মারধরের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কোস্টগার্ডের শাহপরীর দ্বীপ স্টেশনের ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট মোহাম্মদ সাজ্জাদ বলেন, আজ সকালে নাফ নদে ট্রলারে করে মিয়ানমার থেকে মাদকের বড় চালান পাচারের খবরে অভিযান চালানো হয়। নাফ নদের জলসীমার শূন্যরেখা অতিক্রম করে মিয়ানমারের দিক থেকে আসা একটি ট্রলার দৃশ্যমান হয়। কোস্টগার্ড সদস্যরা ট্রলারটিকে থামানোর নির্দেশ দেন। নির্দেশ অমান্য করে মাদক কারবারিরা ট্রলারটি নিয়ে দ্রুত পালানোর চেষ্টা চালায়। এ সময় ট্রলারে থাকা এক ব্যক্তি নদে ঝাঁপ দেন। তাঁকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
কোস্টগার্ডের ওই কর্মকর্তা বলেন, ট্রলারটিতে তল্লাশি চালিয়ে বিশেষ কৌশলে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় ১ লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। পরে ট্রলার মালিক হেলাল উদ্দিনকে আটক করা হয়। তিনি বলেন, শফির পরিবারের দাবি অসত্য। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। ট্রলার মালিক হেলাল একজন মাদক কারবারি। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নওশাদ আলম কানন বলেন, পানিতে ডুবে শফির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ মিলেছে। শফির ভাই আবদুল করিম তাঁর ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন। টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, শফির পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। তদন্তে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।