রূপগঞ্জে মহিলা মেম্বারের বাড়িতে হামলা লুটপাটের অভিযোগ
Published: 1st, February 2025 GMT
রূপগঞ্জের হাটাবো এলাকায় শনিবার দুপুরে মহিলা মেম্বার রুবির বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর আগেও ওই নারী মেম্বারের কাছ থেকে চাঁদা নিয়েছে।
জানা যায়, শনিবার দুপুরে রুবি মেম্বার বাড়িতে না থাকার সুযোগে হাটাবো এলাকার কাইয়ুমের ছেলে আনিছ মোল্লা, মৃত মানিক মিয়ার ছেলে রুবেল, জাহিদ মাস্টারের ছেলে নিহাদের নেতৃত্বে ২৫/৩০ জন যুবক দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্র সজ্জিত হয়ে হামলা চালায়।
এ সময় হামলাকারীরা ঘরে থাকা নগদ ৫ লাখ টাকা, ১২ ভরি স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান আসবাবপত্র লুটপাট করে নিয়ে গেছে। এ সময় বাড়ির আশপাশের লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা চলে যায়।
রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, লোকমুখে শুনেছি। তবে এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রলার থামাতে বলায় নাফ নদে ঝাঁপ, মাদক কারবারির মৃত্যু
কোস্টগার্ডের হাত থেকে বাঁচতে নাফ নদে ঝাঁপ দিয়ে এক মাদক কারবারির মৃত্যু হয়েছে। অভিযানের সময় ট্রলারে এক লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবাসহ একজন আটক হয়েছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম আব্দুস শফি (৪৫)। তিনি শাহপরীর দ্বীপ ডাঙ্গরপাড়ার বাসিন্দা। আর আটক তুহিন পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা। তবে শফির পরিবারের দাবি, মারধরের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কোস্টগার্ডের শাহপরীর দ্বীপ স্টেশনের ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট মোহাম্মদ সাজ্জাদ বলেন, আজ সকালে নাফ নদে ট্রলারে করে মিয়ানমার থেকে মাদকের বড় চালান পাচারের খবরে অভিযান চালানো হয়। নাফ নদের জলসীমার শূন্যরেখা অতিক্রম করে মিয়ানমারের দিক থেকে আসা একটি ট্রলার দৃশ্যমান হয়। কোস্টগার্ড সদস্যরা ট্রলারটিকে থামানোর নির্দেশ দেন। নির্দেশ অমান্য করে মাদক কারবারিরা ট্রলারটি নিয়ে দ্রুত পালানোর চেষ্টা চালায়। এ সময় ট্রলারে থাকা এক ব্যক্তি নদে ঝাঁপ দেন। তাঁকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
কোস্টগার্ডের ওই কর্মকর্তা বলেন, ট্রলারটিতে তল্লাশি চালিয়ে বিশেষ কৌশলে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় ১ লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। পরে ট্রলার মালিক হেলাল উদ্দিনকে আটক করা হয়। তিনি বলেন, শফির পরিবারের দাবি অসত্য। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। ট্রলার মালিক হেলাল একজন মাদক কারবারি। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নওশাদ আলম কানন বলেন, পানিতে ডুবে শফির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ মিলেছে। শফির ভাই আবদুল করিম তাঁর ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন। টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, শফির পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। তদন্তে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।