মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদ বলেছেন, “জনগণকে সেবা দিতে সরকারি কর্মচারিদের সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, যেন সেবাগ্রহীতারা হয়রানির শিকার না হন।”

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব কর্মকর্তাদের স্মরণ করিয়ে দেন- জনগণের ট্যাক্সের টাকায় তাদের জীবিকা চলে। সুতরাং সরকারি সেবা গ্রহীতাদের সঙ্গে তাদের সর্বোচ্চ ভালো ব্যবহার করতে হবে। তিনি এসময় সাতক্ষীরার শিক্ষা ক্ষেত্রের মান উন্নয়ন, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা দূরীকরণসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন বলে আশ্বাস দেন।

সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মাশরুবা ফেরদৌস, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল হাশেম, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বাসুদেব বসু, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিষ্ণুপদ পাল, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.

সালাউদ্দীন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান, জেলা তথ্য অফিসার জাহারুল ইসলাম।

ঢাকা/শাহীন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

‘পরিবর্তন স্থায়ী করতে নতুন নেতৃত্ব প্রয়োজন’

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর বলেছেন, আওয়ামী লীগের বর্বরতার জন্যই জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের প্রয়োজন দেখা দিয়েছিল। এ অভ্যুত্থানের জন্য অনেক তরুণ প্রাণ দিয়েছেন। তাদের প্রাণের বিনিময়ে দেশে পরিবর্তন এসেছে। এ পরিবর্তন স্থায়ী করার জন্য নতুন নেতৃত্বের প্রয়োজন।

আজ শনিবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ পৌরসভা মাঠে এক আলাচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে জনআকাঙ্ক্ষার রাজনীতি’ শীর্ষক সভা আয়োজন করে সোনারগাঁ উপজেলা গণঅধিকার পরিষদ।

নুরুল হক নুর বলেন, আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছরে বিচারবর্হিভূতভাবে সাড়ে তিন হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। স্বৈরাচার সরকারের বিপক্ষে কথা বলতে গিয়ে গুম, হত্যা, হামলা ও মামলার শিকার হতে হয়েছে। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান এভাবে আসেনি। গণতান্ত্রিক মুক্তিকামী মানুষ, ছাত্র, জনতা একত্র হয়ে ফ্যাসিবাদী সরকারকে হটানোর জন্য দেড় বছর লড়াই করতে হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, আশা করি, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে দেশকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করবে। এ নির্বাচনে চাঁদাবাজ, মাফিয়া ও ডনদের ভোট দেওয়া যাবে না। নতুন নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে, না হলে গণঅভ্যুত্থান বেহাত হবে।

গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহসভাপতি ওয়াহিদুর রহমান মিল্কির সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও মুখপাত্র ফারুক হাসান, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, গণঅধিকার পরিষদের গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ, সংগঠনটির নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার নাহিদ, কেন্দ্রীয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান প্রমুখ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ