সুদানের ওমদুরমান শহরের একটি জনপ্রিয় বাজারে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এর হামলায় কমপক্ষে ৫৪ জন নিহত এবং ১৫৮ জন আহত হয়েছে। শনিবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনী আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত। র্যাপিড ফোর্স দারফুরের প্রায় পুরো বিশাল পশ্চিমাঞ্চল দখল করে নিয়েছে। তারা মে মাস থেকে উত্তর দারফুরের রাজ্যের রাজধানী এল-ফাশার অবরোধ করে রেখেছে। কিন্তু শহরটি দখল করতে পারেনি। সেখানে সেনাবাহিনী-সমর্থিত মিলিশিয়ারা বারবার তাদের পিছনে ঠেলে দিয়েছে।
সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে চলে আসা সংঘর্ষ দেশটির লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে, লাখ লাখ মানুষকে তাদের ঘরবাড়ি থেকে বিতাড়িত করেছে। এছাড়া এই সংঘাতের ফলে দেশটির জনসংখ্যার অর্ধেক অনাহারের মধ্যে দিনযাপন করছে।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সুদানের আধাসামরিক বাহিনীর গোলাবর্ষণ, নিহত ৫৪
আফ্রিকার দেশ সুদানে আধাসামরিক বাহিনীর গোলাবর্ষণে ৫৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। ধারণা করা হচ্ছে, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী খার্তুমের ওমদুরমান বাজারে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় আল-নাও হাসপাতালের চিকিৎসকের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আল-নাও হাসপাতালের একটি সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) নামের ওই আধাসামরিক বাহিনীর আক্রমণে আহতদের হাসপাতালে আনা হচ্ছে।
এএফপিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওমদুরমানে বাজারে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে আধাসামরিক আরএসএফ বাহিনী পশ্চিম ওমদুরমান থেকে কামান হামলা চালায়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন মানুষ নিহত ও আহত হন।
আরএসএফ কমান্ডার মোহাম্মদ হামদান দাগলো দেশটির রাজধানী থেকে সেনাবাহিনীকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা জানানোর একদিন পর এ গোলাবর্ষণের এ ঘটনা ঘটল।
দেশটির রাজধানীতে কয়েক মাস ধরে অচলাবস্থার পর সেনাবাহিনী চলতি বছর অভিযান শুরু করে। অভিযানের পর আধাসামরিক আরএসএফের কাছ থেকে খার্তুম সদরদপ্তরসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ঘাঁটি পুনরুদ্ধার করেছে।
সেনাবাহিনীর অভিযানের পর আরএসএফকে তার অনেক শক্ত ঘাঁটি থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। এর ফলে ক্রমেই রাজধানীতে উদ্বেগ, উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে দেশটিতে আধাসামরিক আরএসএফ বাহিনী নিয়মিত সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছে। ওই বছর নৃশংস এক সংঘর্ষে ১০ হাজার মানুষ নিহত হন। সংঘর্ষে এক কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।