আদাবরে বিশেষ অভিযান, গ্রেপ্তার ৮
Published: 1st, February 2025 GMT
রাজধানীর আদাবর থানার বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে নানা অপরাধে জড়িত ‘কিশোর গ্যাংয়ে’র ৮ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে মাদক ও বিভিন্ন অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত আদাবর থানার সুনিবিড় হাউজিং ও বেড়িবাঁধ এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন জিহাদ সরদার, রবিউল, স্বপন, কাঞ্চন, নাজমুল হোসেন, মাসুদ রানা, ফয়সাল ও ইউসুফ আলী।
আরো পড়ুন:
নির্বাচনের আগেই বিচার করতে হবে: সাদ্দাম
দনিয়া কলেজের সামনে প্রকৌশলীকে কুপিয়ে হত্যা
তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার ইবনে মিজানের নেতৃত্বে তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার, সহকারী পুলিশ কমিশনার, আদাবর থানার অফিসার ইনচার্জ, পিআই, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) ও আদাবর থানার একটিদল আদাবরের সুনিবিড় হাউজিং ও বেড়িবাঁধ এলাকায় এ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন।
ঢাকা/এমআর/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রলার থামাতে বলায় নাফ নদে ঝাঁপ, মাদক কারবারির মৃত্যু
কোস্টগার্ডের হাত থেকে বাঁচতে নাফ নদে ঝাঁপ দিয়ে এক মাদক কারবারির মৃত্যু হয়েছে। অভিযানের সময় ট্রলারে এক লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবাসহ একজন আটক হয়েছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম আব্দুস শফি (৪৫)। তিনি শাহপরীর দ্বীপ ডাঙ্গরপাড়ার বাসিন্দা। আর আটক তুহিন পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা। তবে শফির পরিবারের দাবি, মারধরের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কোস্টগার্ডের শাহপরীর দ্বীপ স্টেশনের ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট মোহাম্মদ সাজ্জাদ বলেন, আজ সকালে নাফ নদে ট্রলারে করে মিয়ানমার থেকে মাদকের বড় চালান পাচারের খবরে অভিযান চালানো হয়। নাফ নদের জলসীমার শূন্যরেখা অতিক্রম করে মিয়ানমারের দিক থেকে আসা একটি ট্রলার দৃশ্যমান হয়। কোস্টগার্ড সদস্যরা ট্রলারটিকে থামানোর নির্দেশ দেন। নির্দেশ অমান্য করে মাদক কারবারিরা ট্রলারটি নিয়ে দ্রুত পালানোর চেষ্টা চালায়। এ সময় ট্রলারে থাকা এক ব্যক্তি নদে ঝাঁপ দেন। তাঁকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
কোস্টগার্ডের ওই কর্মকর্তা বলেন, ট্রলারটিতে তল্লাশি চালিয়ে বিশেষ কৌশলে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় ১ লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। পরে ট্রলার মালিক হেলাল উদ্দিনকে আটক করা হয়। তিনি বলেন, শফির পরিবারের দাবি অসত্য। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। ট্রলার মালিক হেলাল একজন মাদক কারবারি। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নওশাদ আলম কানন বলেন, পানিতে ডুবে শফির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ মিলেছে। শফির ভাই আবদুল করিম তাঁর ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন। টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, শফির পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। তদন্তে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।