আশুলিয়ায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত ৩ জনের মরদেহ উত্তোলন
Published: 1st, February 2025 GMT
আদালতের নির্দেশে ঢাকার সাভারের আশুলিয়া থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনে নিহত তিনজনের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে আশুলিয়ার পৃথক স্থান থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আশুলিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদিয়া আক্তার নেতৃত্বে এ মরদেহ উত্তোলন করা হয়। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ ও একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকার পাবনারটেক মহল্লার একটি কবরস্থান থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আশরাফুল ইসলামের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। এরপরে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকার চারালপাড়া মহল্লার একটি কবরস্থান থেকে জাহিদুল ইসলাম সাগরের মরদেহ উত্তোলন করা হয়। পরে দুপুরে আশুলিয়ার আমবাগান এলাকা স্থানীয় একটি কবরস্থান থেকে আবুল হোসেন মরদেহ উত্তোলনের কাজ চলছে।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আশুলিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদিয়া আক্তার জানান, আদালতের নির্দেশে মরদেহগুলো উত্তোলন করা হয়েছে। সকাল থেকে আশুলিয়ার পাবনার টেক ও চারালপাড়া এবং আমবাগান এলাকা থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মজিবুর রহমান জানান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মরদেহগুলো উত্তোলন করা হয়েছে। মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ছাত্র আন্দোলনে নিহত মামুনের মরদেহ ছয় মাস পর কবর থেকে উত্তোলন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট গুলিতে নিহত মামুন খন্দকারের (৪৩) মরদেহ আদালতের নির্দেশে ৫ মাস ২৬ দিন পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহতের গ্রামের বাড়ি উপজেলার বেতমোর রাজপাড়া গ্রামের খন্দকার বাড়ি পারিবারিক কবরস্থান থেকে এই মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
এ সময় মঠবাড়িয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রাইসুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার চঞ্চল গোলদার, থানা পুলিশ, জেলা হাসপাতালের ডোম চয়ন ও মামলার বাদী নিহতের স্ত্রী সাথী খন্দকার উপস্থিত ছিলেন।
নিহত মামুন খন্দকার মঠবাড়িয়া উপজেলার বেতমোর রাজপাড়া গ্রামের মৃত মজিবর খন্দকারের ছেলে। তার দুই ছেলে দুই মেয়ে রয়েছে। তিনি ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় গার্মেন্টসের ব্যবসা করতেন।
নিহতের স্ত্রী সাথী জানান, তার স্বামী গত ৫ আগস্ট ঢাকার আশুলিয়া বাইপাইল এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গিয়ে স্বৈরাচারী সরকারের লোকজনের হাতে গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ আগস্ট সেখানে তার মৃত্যু হয়। পরে ৮ আগস্ট পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বেতমোর রাজপাড়া গ্রামের খন্দকার বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় তিনি গত ২২ আগস্ট ঢাকার আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
নিহত মামুন খন্দকারের কলেজ পড়ুয়া ছেলে খন্দকার মো. হেলাল (১৮) জানান, আন্দোলনে তার বাবা নিহত হবার পর তার বাবার মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়। মা আদালতে তার বাবার লাশের ময়নাতদন্তের আবেদন করলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত, ঢাকা এর ১৭৪৮ নং স্মারকের নির্দেশে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। তিনি আরও জানান, তার বাবা বাইপাইল তাওহিদা ইন্টারন্যাশনাল বিডি নামে একটি ব্যবসা পরিচালনা করতেন।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আদালতের নির্দেশ পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাইসুল ইসলামের নেতৃত্বে লাশ উত্তোলন করে পিরোজপুর জেলা মর্গে পাঠানো হয়।
মঠবাড়িয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রাইসুল ইসলাম বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গিয়ে নিহত মামুন খন্দকারের নিহতের ঘটনায় করা মামলায় মরদেহ আদালতের নির্দেশে কবর থেকে তোলা হয়েছে।