দেশে মোট মৃত্যুর ১২ শতাংশ ক্যান্সারে: গবেষণা
Published: 1st, February 2025 GMT
দেশে মোট মৃত্যুর ১২ শতাংশ ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ সার্জারি, কেমোথেরাপি এবং রেডিওথেরাপির সংমিশ্রণে চিকিৎসা পেয়েছিলেন। ৭ দশমিক ৪ শতাংশ রোগী ক্যান্সার শনাক্ত হওয়ার পরে কোনো চিকিৎসা না নিয়েই মারা গেছেন। মৃত রোগীদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ফুসফুস, শ্বাসনালী ও পাকস্থলীর ক্যান্সার।
বাংলাদেশে জনসংখ্যাভিত্তিক ক্যান্সারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের করা এক গবেষণায় এসব তথ্য জানা গেছে। আজ শনিবার বিএসএমইউ’র সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে এ গবেষণার ফল প্রকাশ করা হয়। কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় ২০২৩ সালের জুলাই মাস থেকে এ গবেষণাটি পরিচালিত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৪৬ হাজার ৬৩১টি পরিবারের দুই লক্ষাধিক অংশগ্রহণকারীকে এই গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪৮ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ এবং ৫১ দশমিক ৬ শতাংশ নারী। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা এবং বিএসএমএমইউ এই গবেষণায় অর্থায়ন করেছে।
গবেষক দলের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা.
গবেষণায় দেখা গেছে, আক্রান্তদের মধ্যে ১৬ দশমিক ৮ শতাংশই স্তন ক্যান্সার রোগী। ঠোঁট ও মুখগহ্বর ক্যান্সার আক্রান্তের হার ৮ দশমিক ৪ শতাংশ, পাকস্থলী ক্যান্সার আক্রান্তের হার ৭ শতাংশ, স্বরযন্ত্র ক্যান্সার আক্রান্তের হার ৭ শতাংশ এবং জরায়ুমুখ আক্রান্তের হার ৫ দশমিক ১ শতাংশ। ফুসফুস, শ্বাসনালী ও পাকস্থলীর ক্যান্সারে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটে বলে জানানো হয়।
গবেষক খালেকুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশে ক্যান্সারের সঠিক পরিস্থিতি জানার ব্যাপারে সীমাবদ্ধতা আছে। তাই জনসংখ্যাভিত্তিক ক্যান্সার রেজিস্ট্রি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বা বাংলাদেশি জনগোষ্ঠীর মধ্যে একটি জনসংখ্যাভিত্তিক ক্যান্সার নিবন্ধন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ক্যান্সারের পরিস্থিতি নির্ণয় করা জরুরি হয়ে পড়েছিল, এজন্যই এ গবেষণা পরিচালনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেন, যেসব গবেষণা দেশের মানুষের কল্যাণে আসে। দেশের রোগীদের উপকার হবে, সেক্ষেত্রে সরকারের সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
বিএসএমএমইউর উপাচার্য শাহিনুল আলম বলেন, বাংলাদেশে জনসংখ্যাভিত্তিক ক্যান্সার রেজিস্ট্রি থেকে যে পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে, তা দেশের মানুষের ক্যান্সার প্রতিরোধ, প্রতিকার ও ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসায় বিরাট ভূমিকা রাখবে। একইসঙ্গে এই পরিসংখ্যান বাংলাদেশে ক্যান্সার নিয়ে গবেষণার বহুমুখী দ্বার উন্মোচন করেছে।
বিএসএমএমইউর উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক মুজিবুর রহমান হাওলাদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক নাহরীন আখতার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক সৈয়দ জাকির হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জনস খ য ভ ত ত ক ক য ন স র
এছাড়াও পড়ুন:
ব্লাড ট্রান্সফিউশন সোসাইটির সভাপতি ডা. আতিয়ার, সম্পাদক ডা. খায়রুল
ব্লাড ট্রান্সফিউশন সোসাইটি অফ বাংলাদেশের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সহযোগী অধ্যাপক ডা. আতিয়ার রহমানকে সভাপতি এবং জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. খায়রুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। এছাড়াও কমিটির কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. ওয়াসিম।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) মুন্সিগঞ্জের ঢালী'স আম্বার রিসোর্টে সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
নবগঠিত ৩১ সদস্যবিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি পরবর্তী কার্যকাল ব্লাড ট্রান্সফিউশন সোসাইটি অফ বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিবে।
এর আগে সমিতির এজিএম উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আসাদুল ইসলাম।
সভায় সংগঠনের ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিশেষজ্ঞদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, গবেষণা কার্যক্রম এবং চিকিৎসা উন্নয়নে বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এতে দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রায় দুই শতাধিক রক্ত পরিসঞ্চালন বিশেষজ্ঞ অংশগ্রহণ করেন।
সভায় আলোচনার ভিত্তিতে সর্বসম্মতিক্রমে নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়। নবগঠিত ৩১ সদস্যবিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি পরবর্তী কার্যকাল ব্লাড ট্রান্সফিউশন সোসাইটি অফ বাংলাদেশের নেতৃত্ব প্রদান করবে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের রক্ত পরিসঞ্চালন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে ১৯৯৫ সালে ব্লাড ট্রান্সফিউশন সোসাইটি অফ বাংলাদেশ গঠিত হয়। সংগঠনটি রক্ত পরিসঞ্চালন সংক্রান্ত গবেষণা, উন্নয়ন এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে সমন্বয় সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।
কমিটিতে সহ-সভাপতি করা হয়েছে অধ্যাপক ডা. ফারহানা ইসলাম, ডা. এফ. এম. এ. মো. মুসা চৌধুরী, ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম, ডা. জেরিন মোসফেকা রহমান ও অধ্যাপক ডা. তাশমিম ফারহানা দীপ্ত। যুগ্ম সম্পাদক হলেন ডা. দানিশ আরেফীন বিশ্বাস, ডা. কাশফিয়া ইসলাম ও ডা. ফারহানা জামান।
এছাড়াও কমিটির সংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন ডা. খান আনিসুল ইসলাম, বৈজ্ঞানিক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. আবদুল কাদের, প্রকাশনা সম্পাদক ডা. সোনিয়া শরমিন মিয়া, অফিস সম্পাদক ডা. এ.বি.এম. আল-মামুন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক ডা. জান্নাতুন নূর স্বর্ণা, গণমাধ্যম ও প্রচার সম্পাদক ডা. জিয়া উদ্দিন আহমেদ ও আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ডা. তামান্না আফরোজ।
সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির হলেন- ডা. মুরাদ সুলতান, ডা. কাজী নওশাদ হোসেন, ডা. মাঞ্জুমা রহমান, ডা. সাবরিনা ইয়াসমিন বিন্নী, ডা. জোবাইদা জান্নাত খুশী, ডা. তানজিন আরা করিম, ডা. তানজিলা তাবিব চৌধুরী, ডা. জেরিনা ফেরদৌস, ডা. হাসিবা আক্তার ভূঁইয়া, ডা. মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন মিয়া, ডা. জিনাত ঈশিতা আনসারি, ডা. নাদিয়া শারমিন তৃষা ও ডা. শারমিন ডালিয়া ইসলাম।
ব্লাড ট্রান্সফিউশন সোসাইটির ২০২৫ সালের কমিটিতে প্রধান উপদেষ্টা হলেন অধ্যাপক ডা. মো. আসাদুল ইসলাম। উপদেষ্টামণ্ডলীতে আরও যারা আছেন অধ্যাপক ডা. জলি বিশ্বাস, অধ্যাপক ডা. হুসনে আরা বেগম, অধ্যাপক ডা. এম. এ. গফুর, অধ্যাপক ডা. মুনশি মো. হাবিবুল্লাহ, অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ শাহিদুল ইসলাম ও অধ্যাপক ডা. আয়েশা খাতুন।