মেসে হামলা চালিয়ে আট শিক্ষার্থীকে গুরুতর আহত করার প্রতিবাদে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদ চত্বর থেকে মিছিলটি শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের লিপুজ চত্বর, নিউমার্কেট ও প্রধান ফটক চত্বর প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।

মিছিলে শিক্ষার্থীরা, ‘সন্ত্রাসীদের কালো হাত, ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘আমার ভাইয়ের ওপর হামলা কেন, প্রশাসন জবাব দে’, ‘ছাত্রলীগের আস্তানা, ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘ছাত্রলীগ জঙ্গি, শেখ হাসিনার সঙ্গী’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত বলেন, “সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হচ্ছে। এখানকার স্থানীয় ইজিবাইক চালক, রিকশা চালক, বাড়ির মালিক, দোকানদার থেকে শুরু করে অধিকাংশ মানুষ আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। তারা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী দেখলেই সমন্বয়ক ট্যাগ দিয়ে হামলা করে। এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার আটজন শিক্ষার্থীকে সমন্বয়ক আখ্যা দিয়ে বর্বর সন্ত্রাসী হামলা করা হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “গোপালগঞ্জে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিরাপদ নই। বাংলাদেশ সরকারকে বলব, আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেন।”

দ্রুত বিচার দাবি করে পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী আবু দারদা বলেন, “আমাদের ভাইদের ওপর স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। এটা আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের কাজ। এ ঘটনায় একজন সন্ত্রাসীকে কেবল গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা সব সন্ত্রাসীকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলতে চাই, আমরা আপনাদের আশ্বাসের উপর আস্থা রাখতে পারছি না। ইতোপূর্বে আমাদের ভাইদের ওপর যে হামলা হয়েছে, তার বিচার করতে পারেনি প্রশাসন।”

এছাড়াও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় সব শিক্ষার্থীদের আবাসনের ব্যবস্থাসহ নারীদের জন্য হলে শতভাগ আবাসিকতার দাবি জানান তিনি।

ঢাকা/রিশাদ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

ধান ক্ষেতে বিএনপি নেতার মরদেহ, স্ট্রোকে মৃত্যু ধারণা পুলিশের

যশোরের মনিরামপুর উপজেলাার হাকিমপুর বাবুর মোড় নামক স্থানের একটি ধান ক্ষেত থেকে আব্দুর রশিদ গাইন (৫২) নামে বিএনপি নেতার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) মরদেহটি উদ্ধার হয়।

মনিরামপুর থানার ওসি নূর মোহাম্মদ গাজী বলেন, “আজ সকালে ঘন কুয়াশার মধ্যে মোটরসাইকেল চালিয়ে কেশবপুরের বাড়িতে ফিরছিলেন আব্দুর রশিদ। হাকিমপুর বাবুর মোড়ে রাস্তার একটি বাক রয়েছে। বাক ঘুরতে গিয়ে তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার নিচে পড়ে যান। ধারণা করা হচ্ছে, হৃদরোগে তার মৃত্যু হয়েছে।” 

মারা যাওয়া আব্দুর রশিদ গাইন কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের ঘোপসানা গ্রামের জোহর আলী গাইনের ছেলে। তিনি সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক। আব্দুর রশিদ গাইনকে বিএনপি নেতা হিসেবে নিশ্চিত করেন দলটির সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের সভাপতি আকরাম হোসেন। 

আরো পড়ুন:

শিবচরে রেললাইনের পাশে মিলল যুবকের মরদেহ

গাইবান্ধায় রেললাইনের পাশে মরদেহ

আকরাম হোসেন বলেন, “আজ সকালে হাকিমপুর এলাকার একটি ধান ক্ষেতে আব্দুর রশিদের মরদেহ পড়ে থাকার খবর স্থানীয় লোকজন আমাদের ফোনে জানান। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আব্দুর রশিদের মরদেহের পাশে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল পড়ে থাকতে দেখেছি। তিনি হত্যা, নাকি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন এটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।”

ওসি নূর মোহাম্মদ গাজী বলেন, “কেশবপুর-পুলেরহাট ভায়া রাজগঞ্জ সড়ক সংস্কারের কাজ চলছে। রাজগঞ্জ এলাকায় একটি মাঠে ঠিকাদারের নির্মাণ সামগ্রী রাখা আছে। আব্দুর রশিদ সেখানে নৈশপ্রহরীর কাজ করতেন।”

তিনি আরো বলেন, “আজ সকালে খবর পেয়ে স্বজনরা এসে নিহতের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যান। আমরা খবর পেয়ে স্বজনদের বুঝিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।”

ঢাকা/রিটন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ